Lifestyle news - ‘যোগ ব্যায়াম ধর্মীয় শিক্ষা নয়’

যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতের রায়ে বলা হয়, যোগ ব্যায়াম ধর্মীয় বিশ্বাস নির্ভর কোনো শিক্ষা নয়। প্রতীকী ছবি।
অভিভা ​বকদের অভিযোগ বিদ্যালয়ে যোগ ব্যায়াম শিখিয়ে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের আচারকে উৎ​সাহিত করা হচ্ছে। কিন্তু আদালত বলছে যোগ ব্যায়ামের শিক্ষায় শিশুদের ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার ক্ষুণ্ন হয় না। যুক্তরাষ্ট্রের সান ডিয়েগোর একটি বিদ্যালয়ের প্রবেশিকা স্তরে যোগ ব্যায়াম শেখানো নিয়ে এই অভিযোগ উঠেছিল। তারই প্রেক্ষিতে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আদালত এই রায় দেয়। খবর এএফপির।

সান ডিয়েগোর এনসিনিটাসের একটা জিলা স্কুলে শারীরিক শিক্ষা পাঠ্যক্রমের অধীনে ছাত্র-ছাত্রীদের যোগ ব্যায়াম শেখানো হয়। এতে শিশুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং শিশুদের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক। বিষয়টি আদালতে গড়ালে দীর্ঘ এক বছর ধরে এই মামলা চলে।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনী​ অনুযায়ী স্কুলে প্রার্থনা ও ধর্ম চর্চা উৎ​সাহিত করা নিষিদ্ধ থাকায় এই মামলা নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। অবশেষে আদালতের রায়ে বলা হয়, যোগ ব্যায়াম ধর্মীয় বিশ্বাস নির্ভর কোনো শিক্ষা নয়।

বিচারক সিনথিয়া আরন ​রায়ে লিখেছেন,‘আমরা এই উপসংহারে পৌঁছেছি যে, উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই শিক্ষাক্রম ধর্মনিরপেক্ষ (সেক্যুলার), এর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় ধর্মের দিকে ঝুঁকে পড়া বা অগ্রসর হওয়ার কিছু নেই এবং এটা স্কুলটিতে (ছাত্র-ছাত্রীদের) প্রবলভাবে ধর্মীয় চর্চায় জড়িয়ে পড়ার মতো কোনো কিছু ঘটাচ্ছে না।’ তিনি স্পষ্ট ভাষায় লেখেন,‘এই ​জিলাস্কুলের যোগ পাঠ্যক্রম আমাদের সংবিধান লঙ্ঘন করছে না।’

আদালতের এই রায়ে নিম্ন আদালতের রায় বহাল থাকল। নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে অভিভাবকেরা আপিল করায় মামলাটি উচ্চ আদালতে গড়িয়েছিল।

প্রাচ্য সংস্কৃতিতে যোগ ব্যায়ামের সঙ্গে আধ্যাত্মিক চর্চার সম্মিলন রয়েছে। তবে, অনেকে ধর্মীয় বিশ্বাস বা আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয়েই এই চর্চা করেন। হালের পশ্চিমা দুনিয়াতেও যোগ ব্যায়াম ব্যাপক জনপ্রিয়। সাধারণভাবে ইয়োগা নামে এই চর্চা উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপেও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts