Traveller news - ছুটিতে পানিতে ঘোরাঘুরি

উৎ​সবের ছুটিতে পরিবার বা প্রিয়জনের সঙ্গে নৌকায় করে ঘুরতে পারেন। মডেল: এলভিন ও ফাহাদ। ছবি: সুমন ইউসুফ

     

একটু ছুটি মিললেই কেউ কেউ পরিবারসহ শিশুপার্ক, পার্ক, জাদুঘরসহ নানা জায়গা ঘুরতে যান। এবারের ছুটিতে না হয় একটু ঢেউয়ের তালে তালে পানিতে ঘুরলেন। মানে নৌকায় করে ঘোরার কথা বলছি। কোনো কোনো নদীর তীরের পাশে কাশবনও দেখতে পারবেন। কোথায় কোথায় ঘুরতে পারবেন এমনই কিছু জায়গার খোঁজ দেওয়া হলো।

বুড়িগঙ্গা, সদরঘাট
বুড়িগঙ্গায় নৌকায় করে ঘোরার সময় দেখতে পারবেন পো পো শব্দে লঞ্চ ঘাটে ভিড়ছে, কোনটা ছেড়ে যাচ্ছে। চোখের পলকে শাঁই শাঁই ছেড়ে যাচ্ছে স্পিডবোটগুলো।
এখানে ঘণ্টা হিসেবে নৌকা ভাড়া দেওয়া হয়। প্রতি ঘণ্টা নৌকাভ্রমণে ভাড়া পড়বে ২০০-৩০০ টাকা। ২৫-৩০ জনের বেলায় ট্রলার ভাড়া নিতে পারেন, সে ক্ষেত্রে গুনতে হবে ১৫০০-২০০০ টাকা। তবে নির্দিষ্ট গন্তব্য ছাড়া স্পিডবোটে চড়ার সুযোগ নেই এখানে।
বুড়িগঙ্গায় নৌকায় ঘোরার সময় খেয়াল করতে হবে লঞ্চ বা অন্য নৌযান কোথায় কোথায় চলাচল করছে। সেসব জায়গা এড়িয়ে চলাচল করা ভালো। নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তবেই নৌকায় ভ্রমণ করুন।
ধানমন্ডি লেক
ঈদের দিনে নৌকাভ্রমণের শখটাও মেটাতে পারেন এই ধানমন্ডি লেকের পানিতে। তবে ভয় নেই, প্রত্যেকের জন্যই লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা আছে এখানে। ‘ডিঙি বোট’-এর এই নৌকাভ্রমণে নৌকাপ্রতি প্রথম ৩০ মিনিট ১০০ টাকা, পরবর্তী ১৫ মিনিট ৫০ টাকা ভাড়া। প্রতি নৌকায় শিশুসহ সর্বোচ্চ তিনজন, শিশু ছাড়া সর্বোচ্চ দুজন চড়তে পারবেন। তবে অভিভাবক ছাড়া ১২ বছরের ছোট শিশুদের নৌকাভ্রমণ নিষিদ্ধ।
মিরপুর বেড়িবাঁধ, ঢাকা
মিরপুর বেড়িবাঁধে নৌকাভ্রমণের আগেই অনেক কিছু দেখার সুযোগ আছে। এক পাশে ইট-পাথরের যান্ত্রিক শহর আর অন্য পাশে দিগন্তবিস্তৃত জলরাশির তুরাগ নদী। এখানে-ওখানে ফুটে আছে নাম না জানা ফুল। বাঁধের পাথুরে ব্লকগুলোয় ফাঁকে ফাঁকে সবুজ ঘাস জাল বিছিয়ে আছে যেন। পা মেলে একটু বসলেই ছুটে আসা ফুরফুরে বাতাসে প্রাণ জুড়িয়ে যায়।
বাঁধকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বাঁশ ও কাঠের কাঠামোর ওপর দাঁড়ানো জলে ভাসা রেস্তোরাঁ। নামগুলোও চমৎকার: শীতল, স্বপ্নচূড়া, স্বপ্ন বিলাস, গাঙচিল। গাঙচিলের পাশে নৌকার ঘাট। পাঁচজনের ছোট ডিঙি নৌকায় জনপ্রতি ১০০ টাকায় বেড়ানো যাবে ঘণ্টাব্যাপী। আর ৩০-৩৫ জনের বেলায় ট্রলার বা ইঞ্জিনচালিত নৌকায় পুরো দিন কাটিয়ে দেওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে ভাড়া পড়বে সর্বোচ্চ ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত।
আশুলিয়া বেড়িবাঁধ
মিরপুর বেড়িবাঁধ থেকেই নৌকায় কিংবা বাসে চেপে যেতে পারেন আশুলিয়ায়। নামতে পারেন রুস্তমপুর, না হয় তালতলায়। এখানেও মিরপুরের মতো পানিতে ভাসা রেস্তোরাঁ যেমন আছে, আছে নৌকাভ্রমণের সুযোগও। ভাড়া পড়বে ১০০-৩০০ টাকা।
শীতলক্ষ্যা, নারায়ণগঞ্জ
কাঁচপুর ব্রিজ থেকেই শীতলক্ষ্যার দেখা মিললেও এর প্রকৃত রূপে দেখা মিলবে রূপগঞ্জের দিকে। আঁকাবাঁকা বয়ে চলা নদীর টলটলে পানি। ছোটখাটো ফেরি পারাপারও নজরে আসবে। জনপ্রতি ১৫০-২০০ টাকায় ডিঙি নৌকায় বেড়িয়ে আসতে পারেন শীতলক্ষ্যার বুকে।
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts