হঠাৎ
দেখলে কেউই তাঁকে ‘নায়ক’ বলতে চাইবে না। কারণ, নায়কসুলভ কোনো কিছুই নেই
ধানুশের। না-সিক্স প্যাক অ্যাব, না-শ্বেতশুভ্র গায়ের রং, আর না-আকর্ষণীয়
উচ্চতা। বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিচারে ধানুশ অনেক বলিউড নায়কের চেয়েই
পিছিয়ে। এর পরও এই অভিনেতার প্রশংসায় এখন পুরো বলিউড যেন ভাসছে। মূল
আকর্ষণটাই তো এখানে। আর দশটা অভিনেতার মতো তিনি তাঁর চেহারা দিয়ে নন,
ভক্তদের মাত করেন অভিনয় দিয়ে। কারণ, অভিনয়টাই তাঁর মূল অস্ত্র। আর এই
অস্ত্র দিয়ে বলিউডে তাঁর অবস্থা দিন দিন আরও দৃঢ় হয়ে উঠছে।
বলিউডে ধানুশ মাত্র দুই ছবি পুরোনো। কিন্তু এরই মধ্যে এই অভিনেতা যে প্রভাব ফেলেছেন, তা অনেক পুরোনো বলিউডশিল্পীর পক্ষে করাও কষ্টসাধ্য। ২০১৩ সালে মুক্তি পাওয়া প্রথম ছবি রাঞ্ঝনা দিয়েই ভারতবাসীকে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন ধানুশ রাজা। এবার এল শামিতাভ। কোনো ব্যতিক্রম ছাড়া এবারও তিনি নিজের আগের অবস্থানকেই ধরে রেখেছেন। বরং প্রথম ছবির চেয়ে এবার তিনি এগিয়ে গেলেন আরও কয়েক ধাপ। পাল্লা দিয়ে অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে। যেখানে বলিউড কাঁপানো শাহরুখ খান, সালমান খান, আমির খানেরাও অমিতাভের চোখের দিকে তাকাতেই ঘাবড়ে যান, সেখানে ধানুশের নির্লিপ্ত অভিনয় দর্শকদের বুঝিয়ে দিয়েছে, এ ছেলে আসলেই গড়পড়তা নায়ক নন।
ধানুশ নিজেও অবশ্য নিজেকে ‘নায়ক’-এর মোড়কে জড়াতে নারাজ। নিজেকে তিনি অভিনেতা কিংবা ‘পারফর্মার’ বলতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তাই তো কিছুদিন আগেই দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি নায়কসুলভ নই। আমি অভিনেতা মাত্র। তাই নিজের সীমাবদ্ধতাগুলোকে মেনে নিয়ে পরিশ্রম করতে ভালোবাসি। নিজেকে সেই ছাঁচেই রাখতে চাই, যার যোগ্য আমি।’
বলিউডে ধানুশ মাত্র দুই ছবি পুরোনো। কিন্তু এরই মধ্যে এই অভিনেতা যে প্রভাব ফেলেছেন, তা অনেক পুরোনো বলিউডশিল্পীর পক্ষে করাও কষ্টসাধ্য। ২০১৩ সালে মুক্তি পাওয়া প্রথম ছবি রাঞ্ঝনা দিয়েই ভারতবাসীকে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন ধানুশ রাজা। এবার এল শামিতাভ। কোনো ব্যতিক্রম ছাড়া এবারও তিনি নিজের আগের অবস্থানকেই ধরে রেখেছেন। বরং প্রথম ছবির চেয়ে এবার তিনি এগিয়ে গেলেন আরও কয়েক ধাপ। পাল্লা দিয়ে অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে। যেখানে বলিউড কাঁপানো শাহরুখ খান, সালমান খান, আমির খানেরাও অমিতাভের চোখের দিকে তাকাতেই ঘাবড়ে যান, সেখানে ধানুশের নির্লিপ্ত অভিনয় দর্শকদের বুঝিয়ে দিয়েছে, এ ছেলে আসলেই গড়পড়তা নায়ক নন।
ধানুশ নিজেও অবশ্য নিজেকে ‘নায়ক’-এর মোড়কে জড়াতে নারাজ। নিজেকে তিনি অভিনেতা কিংবা ‘পারফর্মার’ বলতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তাই তো কিছুদিন আগেই দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি নায়কসুলভ নই। আমি অভিনেতা মাত্র। তাই নিজের সীমাবদ্ধতাগুলোকে মেনে নিয়ে পরিশ্রম করতে ভালোবাসি। নিজেকে সেই ছাঁচেই রাখতে চাই, যার যোগ্য আমি।’
চলচ্চিত্র
পরিবারে জন্ম ধানুশের। তাই লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের জগৎটা তাঁর খুব চেনা। এ
জন্যই ছেলেবেলা থেকেই এ জগতে ভেড়ার ইচ্ছা ছিল না তাঁর। স্বপ্ন ছিল বড়
রাঁধুনি হওয়ার, অর্থাৎ শেফ। কিন্তু ভাগ্যে যে তারকাখ্যাতিই অনিবার্য,
হেঁশেলঘর কি তাঁর জন্য যথেষ্ট? তাই তো ২০০২ সালে চলচ্চিত্র নির্মাতা বাবা
কস্তুরি রাজার চাপাচাপি একটা তামিল ছবিতে অভিনয় করেন ধানুশ। তখন সবে কৈশোর
পেরিয়েছেন তিনি। গায়ে টগবগে তারুণ্য-রক্ত। তাই ছবি মুক্তির পর যখন তা
নিয়ে তুমুল সমালোচনা হলো তাঁর দেহগড়ন, অভিনয়মেধা, গায়ের রং নিয়ে; তখনই
বদলে গেলেন তিনি। দারুণ জেদি ছেলেটা ঠিক করলেন বিশ্ববাসীকে তিনি সফল নায়ক
হয়ে দেখাবেনই। এর পর থেকেই শুরু করলেন তাঁর দুর্দান্ত অভিনয় ক্যারিয়ার।
একে একে ঝুলিতে এখন ২৭টি চলচ্চিত্র। সেই সঙ্গে আছে ২০১১ সালে জেতা জাতীয়
চলচ্চিত্র পুরস্কার, আর পাঁচটি সেরা অভিনেতার ফিল্মফেয়ার (দক্ষিণ)
পুরস্কার।
শুধু অভিনয়েই থেমে নেই এই অভিনেতা। ভারত তোলপাড় করা ধানুশের ‘কোলাভেরি ডি’ গানটি শুনলেই বোঝা যায় এ ছেলের মেধার ডালপালা ছড়িয়ে কোন পর্যন্ত গেছে। গান গাওয়া, লেখা, সুর করা থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র প্রযোজনায় পর্যন্ত সাবলীল ৩১ বছর বয়সী এই অভিনেতা।
এবার আসা যাক তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে। সেখানেও তিনি অভিনয়জীবনের মতোই সফল ও স্থির। স্থির না হয়ে উপায় আছে? দক্ষিণা মহাতারকা রজনীকান্তের মেয়ে ঐশ্বরিয়ার জামাই বলে কথা। তাই ব্যক্তিজীবনেও তাঁর অভিনয়ের প্রভাবটা অনেক বেশি। দুই ছেলের বাবা ধানুশ তাই ঘরে-বাইরে সবখানেই অভিনয়কে করেছেন নিত্যসঙ্গী।
শুধু অভিনয়েই থেমে নেই এই অভিনেতা। ভারত তোলপাড় করা ধানুশের ‘কোলাভেরি ডি’ গানটি শুনলেই বোঝা যায় এ ছেলের মেধার ডালপালা ছড়িয়ে কোন পর্যন্ত গেছে। গান গাওয়া, লেখা, সুর করা থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র প্রযোজনায় পর্যন্ত সাবলীল ৩১ বছর বয়সী এই অভিনেতা।
এবার আসা যাক তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে। সেখানেও তিনি অভিনয়জীবনের মতোই সফল ও স্থির। স্থির না হয়ে উপায় আছে? দক্ষিণা মহাতারকা রজনীকান্তের মেয়ে ঐশ্বরিয়ার জামাই বলে কথা। তাই ব্যক্তিজীবনেও তাঁর অভিনয়ের প্রভাবটা অনেক বেশি। দুই ছেলের বাবা ধানুশ তাই ঘরে-বাইরে সবখানেই অভিনয়কে করেছেন নিত্যসঙ্গী।