আজ
হৃদিতার (ছদ্মনাম) জন্মদিন, অথচ বন্ধুরা কেউই তা মনে রাখেনি! তার খুব মন
খারাপ। ফেসবুকে বার্থডে নোটিফিকেশন আগেই অফ করে রেখেছিল সে। কে কে তার
জন্মদিন মনে রাখে তা দেখবে বলে। কারোরই মনে নেই? অভিমানে চোখ ভিজে আসে
হৃদিতার। মনে মনে ভেবেছিল বিকেলে বন্ধুদের বাসায় আসতে বলবে। কিন্তু সঙ্গে
সঙ্গেই সেই চিন্তা ক্যানসেল। সামিয়া, রাব্বী, সুহান—এদের প্রত্যেকের
বার্থডে পালন করেছিল। অথচ ওরা একবার উইশ পর্যন্ত করল না। দরকার নেই এই
বন্ধুত্বের!
রাগে টগবগ করতে করতে ক্যাম্পাস থেকে বাসায় ফিরল হৃদিতা। হাত দিয়ে দরজা ঠেলতেই সমবেত কণ্ঠের চিৎকার, ‘হ্যাপি বার্থডে হৃদিতা!!! হ্যাপি বার্থডে টু ডিয়ার হৃদিতা!’ হতভম্ব হৃদিতা কথাও বলতে পারছিল না। একি! সামিয়া, রাব্বী, সুহান, মাইশা, জেরিন সবাই-ই তো আছে! সবার হাতেই কিছু না কিছু গিফট। ওরা তাহলে আগে থেকেই জানত! হৃদিতার চোখ আবার ভিজে উঠল, এবার আনন্দে।
আজকাল জন্মদিনে এমন সারপ্রাইজ বা চমকে দেওয়াটা খুবই জনপ্রিয় একটা ব্যাপার হয়ে উঠেছে। আগে থেকে পরিকল্পনা করে জন্মদিন পালন না করে বন্ধুকে এভাবে চমকে দেওয়ার মধ্যেও একটা দারুণ আনন্দ আছে। তা ছাড়া চমকটা অপ্রত্যাশিত থাকে বলে যার জন্মদিন তার আনন্দও বেড়ে যায় বহুগুণে। আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সিএসই ডিপার্টমেন্টের ছাত্র রাফসানকে যেমন তার বন্ধুরা সারপ্রাইজ দিল অনেকগুলো মগ দিয়ে। তবে মগগুলো সাধারণ ছিল না। প্রতিটি মগই ছিল নানান ছবি দিয়ে প্রিন্ট করা, রাফসানসহ সব বন্ধুর ছবিও আছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি পড়ুয়া ইমরুল, অনিক, হানিদের ঘটনা আরও চমকপ্রদ! বন্ধু আদিত্যকে জন্মদিনে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য বন্ধুরা মিলে বানিয়ে ফেলেন আস্ত একটা শর্টফিল্ম! ছবির বিষয়বস্তু ছিল আদিত্যকে নিয়ে কার কী অনুভূতি। এ ছাড়া ছিল ওর প্রিয় গায়কের ছবিসহ টি শার্ট। এত সব সারপ্রাইজ পেয়ে আদিত্যর চোখ তো ছানাবড়া। আদিত্যের কথায়, ‘আমার লাইফে সবচেয়ে বড় চমক ছিল এটি। আমি তো কিছুই বুঝতে পারি নাই। শর্ট ফিল্মটা আসলেই অন্য রকম আইডিয়া ছিল। এতগুলো চমক, এতগুলো গিফট, এতগুলো সুইট ফ্রেন্ড...আমার দিনটাই অন্য রকম হয়ে গেল। লাভ ইউ, ফ্রেন্ডস!’
মানুষ চমকাতে ভালোবাসে। এটা মানুষের জন্মগত অভ্যাস। এমন চমক আমাদের বাস্তবতা আর প্রত্যাশার মধ্যে পার্থক্য দেখিয়ে দেয়। মনোবিদেরা বলেন, মানুষ জীবনে নানান ঘটনায় ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুভাবেই চমকে যেতে পারে। ইতিবাচক চমক মানুষের প্রতি বিশ্বাস জোগায় আর নেতিবাচক চমকে মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলি আমরা।
জন্মদিন সব মানুষের কাছেই একটা বিশেষ দিন, প্রিয় দিন। এ দিনটি নিয়ে সবার মনেই একটা আলাদা প্রত্যাশা থাকে, স্বপ্ন থাকে। তাই বন্ধু বা কাছের মানুষটিকে চমকে দিয়ে তার দিনটি খুব সহজেই রঙিন করে দেওয়া যায়। আপনার প্রিয় মানুষটি কীভাবে চমকে যেতে পারেন, সেটা আপনারই তো ভালো করে জানার কথা। সুতরাং তাকে সেভাবেই চমকে দিন।
ধরা যাক নবদম্পতি আহসান-সাদিয়ার কথা। সাদিয়ার ঘুরে বেড়ানোর খুবই শখ। তাই বিয়ের পর সাদিয়ার প্রথম জন্মদিনে আহসান কাউকে কিছু না জানিয়ে অফিস থেকে তিন দিনের ছুটি নেন। জন্মদিনের আগের রাতে দুজনে মিলে চলে যান কক্সবাজারে। সমুদ্রসৈকতেই ক্যান্ডেললাইট ডিনারে বার্থডে কেক কাটেন সাদিয়া। অনেক কিছু ভুলে গেলেও সাদিয়া কোনোদিনও ভালোবাসার মানুষের এই উপহারের কথা ভুলতে পারবেন না। আর কেবল জন্মদিনই কিংবা বিয়েবার্ষিকী না বন্ধু-স্বজনদের যে কোনো বিশেষ দিনকে স্মরণ করেই এমন সারপ্রাইজ পার্টিতে চমকে দিতে পারেন তাঁদের।
রাগে টগবগ করতে করতে ক্যাম্পাস থেকে বাসায় ফিরল হৃদিতা। হাত দিয়ে দরজা ঠেলতেই সমবেত কণ্ঠের চিৎকার, ‘হ্যাপি বার্থডে হৃদিতা!!! হ্যাপি বার্থডে টু ডিয়ার হৃদিতা!’ হতভম্ব হৃদিতা কথাও বলতে পারছিল না। একি! সামিয়া, রাব্বী, সুহান, মাইশা, জেরিন সবাই-ই তো আছে! সবার হাতেই কিছু না কিছু গিফট। ওরা তাহলে আগে থেকেই জানত! হৃদিতার চোখ আবার ভিজে উঠল, এবার আনন্দে।
আজকাল জন্মদিনে এমন সারপ্রাইজ বা চমকে দেওয়াটা খুবই জনপ্রিয় একটা ব্যাপার হয়ে উঠেছে। আগে থেকে পরিকল্পনা করে জন্মদিন পালন না করে বন্ধুকে এভাবে চমকে দেওয়ার মধ্যেও একটা দারুণ আনন্দ আছে। তা ছাড়া চমকটা অপ্রত্যাশিত থাকে বলে যার জন্মদিন তার আনন্দও বেড়ে যায় বহুগুণে। আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সিএসই ডিপার্টমেন্টের ছাত্র রাফসানকে যেমন তার বন্ধুরা সারপ্রাইজ দিল অনেকগুলো মগ দিয়ে। তবে মগগুলো সাধারণ ছিল না। প্রতিটি মগই ছিল নানান ছবি দিয়ে প্রিন্ট করা, রাফসানসহ সব বন্ধুর ছবিও আছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি পড়ুয়া ইমরুল, অনিক, হানিদের ঘটনা আরও চমকপ্রদ! বন্ধু আদিত্যকে জন্মদিনে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য বন্ধুরা মিলে বানিয়ে ফেলেন আস্ত একটা শর্টফিল্ম! ছবির বিষয়বস্তু ছিল আদিত্যকে নিয়ে কার কী অনুভূতি। এ ছাড়া ছিল ওর প্রিয় গায়কের ছবিসহ টি শার্ট। এত সব সারপ্রাইজ পেয়ে আদিত্যর চোখ তো ছানাবড়া। আদিত্যের কথায়, ‘আমার লাইফে সবচেয়ে বড় চমক ছিল এটি। আমি তো কিছুই বুঝতে পারি নাই। শর্ট ফিল্মটা আসলেই অন্য রকম আইডিয়া ছিল। এতগুলো চমক, এতগুলো গিফট, এতগুলো সুইট ফ্রেন্ড...আমার দিনটাই অন্য রকম হয়ে গেল। লাভ ইউ, ফ্রেন্ডস!’
মানুষ চমকাতে ভালোবাসে। এটা মানুষের জন্মগত অভ্যাস। এমন চমক আমাদের বাস্তবতা আর প্রত্যাশার মধ্যে পার্থক্য দেখিয়ে দেয়। মনোবিদেরা বলেন, মানুষ জীবনে নানান ঘটনায় ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুভাবেই চমকে যেতে পারে। ইতিবাচক চমক মানুষের প্রতি বিশ্বাস জোগায় আর নেতিবাচক চমকে মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলি আমরা।
জন্মদিন সব মানুষের কাছেই একটা বিশেষ দিন, প্রিয় দিন। এ দিনটি নিয়ে সবার মনেই একটা আলাদা প্রত্যাশা থাকে, স্বপ্ন থাকে। তাই বন্ধু বা কাছের মানুষটিকে চমকে দিয়ে তার দিনটি খুব সহজেই রঙিন করে দেওয়া যায়। আপনার প্রিয় মানুষটি কীভাবে চমকে যেতে পারেন, সেটা আপনারই তো ভালো করে জানার কথা। সুতরাং তাকে সেভাবেই চমকে দিন।
ধরা যাক নবদম্পতি আহসান-সাদিয়ার কথা। সাদিয়ার ঘুরে বেড়ানোর খুবই শখ। তাই বিয়ের পর সাদিয়ার প্রথম জন্মদিনে আহসান কাউকে কিছু না জানিয়ে অফিস থেকে তিন দিনের ছুটি নেন। জন্মদিনের আগের রাতে দুজনে মিলে চলে যান কক্সবাজারে। সমুদ্রসৈকতেই ক্যান্ডেললাইট ডিনারে বার্থডে কেক কাটেন সাদিয়া। অনেক কিছু ভুলে গেলেও সাদিয়া কোনোদিনও ভালোবাসার মানুষের এই উপহারের কথা ভুলতে পারবেন না। আর কেবল জন্মদিনই কিংবা বিয়েবার্ষিকী না বন্ধু-স্বজনদের যে কোনো বিশেষ দিনকে স্মরণ করেই এমন সারপ্রাইজ পার্টিতে চমকে দিতে পারেন তাঁদের।