বসে
আছি ক্যাচিং ঘাটে। একটু আগেই দুপুরের খাওয়া শেষ করেছি। টমটমচালক সৈয়দ
নুরসহ এবার আমরা দলে সাতজন। উদ্দেশ্য নৌকাভ্রমণ, ক্যাচিং ঘাট থেকে বেতছড়া
বাজার পর্যন্ত। বান্দরবান যতবার এসেছি ততবার শুনেছি অপরূপ সাঙ্গু নদীর কথা।
কিন্তু আসার সময় হয়ে ওঠেনি। এবার চলেই এলাম।
ক্যাচিং ঘাট থেকেই দরদাম ঠিক করে ভাড়া করা হলো নৌকা। যেতে-আসতে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগবে। ইঞ্জিনচালিত নৌকায় অনায়াসে ২০ জন বসা যায়। ভাড়া ঠিক হলো ৯০০ টাকা। নদীভ্রমণেই তো এলাম, ছইয়ের তলায় বসে কী করব। কড়া রোদেও তাই বসে পড়লাম নৌকার ছাদে। তবে বেশিক্ষণ রইল না রোদের উত্তাপ। একটু পরই নৌকা পাহাড় ঘেঁষে ছায়ায় চলতে লাগল।
ক্যাচিং ঘাট থেকে একটু দূরে যাওয়ার পরই রূপ খুলল সাঙ্গুর। দুই পাশে পাহাড়, একটু পর পর নদের বাঁক। পাহাড়জুড়ে বিশাল কলাবাগান, সারি সারি আরও নানা জাতের গাছপালা ও পাখপাখালির ডাক, পাহাড়িদের জুম চাষের নানা ফলন, আঁকাবাঁকা পথে ঝুড়ি কাঁধে মহিলাদের যাত্রা, সব মিলে দারুণ মুগ্ধতা চারপাশে। পাহাড়-নদের চোখধাঁধানো মিতালি বন্দী করে রাখলাম ক্যামেরায়। ছবি তুলতে তুলতে যেন হাঁপিয়ে উঠলাম।
আমরা রোয়াংছড়ি ঢোকার পর রোদ মিষ্টি হতে শুরু করল। দলে কেউ কেউ গা এলিয়ে দিল আরামে। কিছুটা ক্লান্তও আমরা। সকালে শিলকুম ঝরনায় গিয়েছিলাম, পানি বেশি না থাকলেও খুব সুন্দর। কথিত আছে, এখানে প্রতিবছর একটি হরিণ দেখা যায় এবং হরিণটি ডাকলে ওই দিন বা পরের দিন ওই পথে গাড়ি দুর্ঘটনা হয়। চোখ বুজে আসছে। এ সময়ে সচকিত হয়ে দেখি, আঁকাবাঁকাভাবে এক সাপ পার হচ্ছে নদী। সঙ্গে সঙ্গে ক্লিক! নদীর পাড় ছেয়ে গেছে সাদা বকে। মাছ শিকারের অপেক্ষায় বসে আছে তারা দল বেঁধে। বেতছড়ার কাছাকাছি আসার পর নদের রূপ বেড়ে গেল আরও। বেতছড়া নেমে বাজারে একটু ঘোরাঘুরি। গরম গরম চা-ও চলল।
পাশেই বেতছড়া সেনাক্যাম্প, চাইলে অনুমতি নিয়ে ঘুরে আসা যায়। এবার ফেরার পালা। দুপুরের পর যাত্রা শুরু, এখন বেলা প্রায় শেষ। হেলে পড়া সূর্যের লালচে আলোয় সাঙ্গু এখন অন্য রকম। ইঞ্জিনের ভটভট শব্দটাই শুধু একটু জ্বালাচ্ছে।
চট্টগ্রাম বা বান্দরবান থেকে সহজেই ঘুরে আসা যায় সাঙ্গু। সারা বছরই পানি থাকে বিশাল সাঙ্গুতে।
কীভাবে যাবেনচট্টগ্রাম বা ঢাকা থেকে বান্দরবান আসবেন। তারপর টমটম নিয়ে ক্যাচিং ঘাট যাবেন। ওখান থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে ঘুরে আসুন বেতছড়া বাজার। ওখানে থাকার ব্যবস্থা নেই, তাই সন্ধ্যার আগেই বান্দরবান শহরে ফিরে যাবেন। দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার যাত্রায় চাইলে মাঝপথে কিছুটা বিরতি নিতে পারেন।
ক্যাচিং ঘাট থেকেই দরদাম ঠিক করে ভাড়া করা হলো নৌকা। যেতে-আসতে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগবে। ইঞ্জিনচালিত নৌকায় অনায়াসে ২০ জন বসা যায়। ভাড়া ঠিক হলো ৯০০ টাকা। নদীভ্রমণেই তো এলাম, ছইয়ের তলায় বসে কী করব। কড়া রোদেও তাই বসে পড়লাম নৌকার ছাদে। তবে বেশিক্ষণ রইল না রোদের উত্তাপ। একটু পরই নৌকা পাহাড় ঘেঁষে ছায়ায় চলতে লাগল।
ক্যাচিং ঘাট থেকে একটু দূরে যাওয়ার পরই রূপ খুলল সাঙ্গুর। দুই পাশে পাহাড়, একটু পর পর নদের বাঁক। পাহাড়জুড়ে বিশাল কলাবাগান, সারি সারি আরও নানা জাতের গাছপালা ও পাখপাখালির ডাক, পাহাড়িদের জুম চাষের নানা ফলন, আঁকাবাঁকা পথে ঝুড়ি কাঁধে মহিলাদের যাত্রা, সব মিলে দারুণ মুগ্ধতা চারপাশে। পাহাড়-নদের চোখধাঁধানো মিতালি বন্দী করে রাখলাম ক্যামেরায়। ছবি তুলতে তুলতে যেন হাঁপিয়ে উঠলাম।
আমরা রোয়াংছড়ি ঢোকার পর রোদ মিষ্টি হতে শুরু করল। দলে কেউ কেউ গা এলিয়ে দিল আরামে। কিছুটা ক্লান্তও আমরা। সকালে শিলকুম ঝরনায় গিয়েছিলাম, পানি বেশি না থাকলেও খুব সুন্দর। কথিত আছে, এখানে প্রতিবছর একটি হরিণ দেখা যায় এবং হরিণটি ডাকলে ওই দিন বা পরের দিন ওই পথে গাড়ি দুর্ঘটনা হয়। চোখ বুজে আসছে। এ সময়ে সচকিত হয়ে দেখি, আঁকাবাঁকাভাবে এক সাপ পার হচ্ছে নদী। সঙ্গে সঙ্গে ক্লিক! নদীর পাড় ছেয়ে গেছে সাদা বকে। মাছ শিকারের অপেক্ষায় বসে আছে তারা দল বেঁধে। বেতছড়ার কাছাকাছি আসার পর নদের রূপ বেড়ে গেল আরও। বেতছড়া নেমে বাজারে একটু ঘোরাঘুরি। গরম গরম চা-ও চলল।
পাশেই বেতছড়া সেনাক্যাম্প, চাইলে অনুমতি নিয়ে ঘুরে আসা যায়। এবার ফেরার পালা। দুপুরের পর যাত্রা শুরু, এখন বেলা প্রায় শেষ। হেলে পড়া সূর্যের লালচে আলোয় সাঙ্গু এখন অন্য রকম। ইঞ্জিনের ভটভট শব্দটাই শুধু একটু জ্বালাচ্ছে।
চট্টগ্রাম বা বান্দরবান থেকে সহজেই ঘুরে আসা যায় সাঙ্গু। সারা বছরই পানি থাকে বিশাল সাঙ্গুতে।
কীভাবে যাবেনচট্টগ্রাম বা ঢাকা থেকে বান্দরবান আসবেন। তারপর টমটম নিয়ে ক্যাচিং ঘাট যাবেন। ওখান থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে ঘুরে আসুন বেতছড়া বাজার। ওখানে থাকার ব্যবস্থা নেই, তাই সন্ধ্যার আগেই বান্দরবান শহরে ফিরে যাবেন। দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার যাত্রায় চাইলে মাঝপথে কিছুটা বিরতি নিতে পারেন।