বাংলাদেশ
রেলওয়ের ৪ হাজার ৩৯১ দশমিক ৩৯ একর জমি বেদখল হয়ে আছে। এরমধ্যে
সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার দখলেই আছে ৯২২ দশমিক ৩৪ একর।
সোমবার সংসদ সদস্য সালমা ইসলামের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক সংসদে এসব কথা জানান।
মন্ত্রী
জানান, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায়ে ৩ হাজার ৪২১ দশমিক ৩৯ একর
জমি দখলে রয়েছে। এছাড়া ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের দখলে আছে ৯০ দশমিক ৮৩ একর।
জাতীয়
পার্টির সংসদ সদস্য নুর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী, গত
পাঁচ বছরে বাংলাদেশ রেলওয়ে ৩ হাজার ৪৮৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা আয় করেছে।
এর
মধ্যে সর্বাধিক আয় হয়েছে গত অর্থবছরে, যার পরিমাণ ৮০৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।
তবে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় প্রতি বছরই লোকসান থেকে যাচ্ছে ।
রেলপথ
মন্ত্রী বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াত জোটের
ধ্বংসাত্মক কর্মসূচির কারণে গত নভেম্বর ও ডিসেম্বর দু’মাসে রেলওয়ের প্রায়
৭০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।
সরকারি দলের সদস্য এনামুল হকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশের ৪৪টি জেলা রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতাধীন।
বর্তমান
সরকার ২০১০ থেকে ২০৩০ পর্যন্ত ২৩৫টি প্রকল্প চারটি পর্যায়ে বাস্তবায়নের
জন্য রেলওয়ে মহাপরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। ‘মহাপরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন হলে
আরও ১৫টি জেলা রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে।
সংসদ
সদস্য নুরুল ইসলাম সুজনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ
রেলওয়েতে বর্তমানে ৬৫৯ দশমিক ৩৩ কিলোমিটার ব্রড গেজ এবং ১ হাজার ৮০৮
কিলোমিটার মিটার গেজ রয়েছে। আর ডুয়েল গেজ রেল লাইন রয়েছে ৪০৯ কিলোমিটার।