গত এক বছরে মহাসড়কগুলোতে পুলিশের এফআইআর অনুযায়ী ২ হাজার ২৭টি দুর্ঘটনা
ঘটেছে। এতে ২ হাজার ৬৭ জন নিহত এবং ১ হাজার ৫৩৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল
সোমবার জাতীয় সংসদে সামশুল হকের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী
ওবায়দুল কাদের সংসদে এসব তথ্য জানান।
মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ
প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দুর্ঘটনা রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (আইআরআই)
মাধ্যমে মহাসড়কে ২০৯টি দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে
সওজ কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে আরো ১৮টি দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান চিহ্নিত করে।
এর মধ্যে ২৭টি স্থানে রক্ষণাবেক্ষণ খাত থেকে সওজ এর মাঠ পর্যায় কর্তৃক
ইতিমধ্যে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ৫৬টি স্থানের কাজ
বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় করা হচ্ছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৩১টি এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ১০টি স্থানে রোড ডিভাইডার নির্মাণসহ চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলমান রয়েছে।
হরতাল-অবরোধে পরিবহন খাতে ক্ষতি ৭০ কোটি
সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী
বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোটের অব্যাহত হরতাল-অবরোধের ২৯ দিনে পরিবহন খাতে ৭০
কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। গত ৫ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ের
হিসাব তুলে ধরেন তিনি। মন্ত্রীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী, এই সময়ে ৩২৫টি যানবাহনে
অগ্নিসংযোগ এবং ৫০০টি যানবাহনে ভাঙচুর করা হয়েছে। এই সময়কালে সরকারি
পরিবহন সংস্থা বিআরটিসির ক্ষতি হয়েছে ১৬ কোটি ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার ৯০০ টাকা। এর
মধ্যে অগ্নিসংযোগে ক্ষতি হয়েছে ৭৭ লাখ ৩৬ হাজার ৩০০ টাকা, ভাঙচুরের ?কারণে
ক্ষতি ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা, রাজস্ব ক্ষতি ১৫ কোটি ৬২ লাখ ৬৩ হাজার ১০০
টাকা।