লেখক ও ব্লগার অভিজিত্ রায় হত্যাকাণ্ডে সংগৃহীত আলামত পরীক্ষার জন্য
ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) ল্যাবে পাঠানোর সিদ্ধান্ত
নিয়েছে মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এরই মধ্যে অভিজিত্ হত্যা
মামলার তদন্তে বাংলাদেশে আসা এফবিআইয়ের সদস্যরা জব্দকৃত আলামতের নমুনা
যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে সবকিছু নির্ভর
করছে আদালতের নির্দেশনার ওপর। আদালতের নির্দেশনা নেয়ার জন্য প্রক্রিয়া
শুরু করেছে মামলার তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান,
যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাব আমাদের দেশের ল্যাবের চাইতে আরো বেশি উন্নত
প্রযুক্তিসম্পন্ন। এ কারণে সেখানে পরীক্ষা করা হলে কিছু বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া
যাবে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল থেকে যে
আলামত উদ্ধার করা হয়েছে সেখান থেকে কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। সেসব
আলামত থেকে খুনিদের হাতের ছাপসহ ফেলে যাওয়া ক্লু পাওয়া যেতে পারে। অভিজিতের
খুনিরা খুবই ধূর্ত। তারা অত্যন্ত সুচারুভাবে অভিজিতকে হত্যা করেছে। হত্যার
পর যাতে তাদের হাতের ছাপ না পাওয়া যায় এ জন্য চাপাতির হাতলে কাগজ দিয়ে
মোড়ানো ছিল। সেসব কাগজ ও ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা খুনিদের ব্যবহূত পিঠে
ঝুলানো কাপড়ের ব্যাগ আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে।
তদন্ত সূত্র
জানায়, কোনও আলামত থেকে হাতের ছাপ খুনিদের কারো ডিএনএ নমুনা শনাক্ত করা
গেলে সন্দেহভাজনদের সঙ্গে মিলিয়ে খুনিদের শনাক্ত করা সহজ হবে। ডিবির যুগ্ম
কমিশনার আরো বলেন, গ্রেফতারকৃত ফারাবীর ফেইসবুকের লিস্টে আছে বা কমেন্ট ও
হত্যা করতে চেয়েছে—এমন ব্যক্তিদের তালিকা করা হয়েছে। এছাড়া ফেইসবুকের
বাইরের কেউ অভিজিেক হত্যা করতে পারে। এখন পর্যন্ত ফারাবীর জিজ্ঞাসাবাদ শেষ
হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে ফেরার পথে লেখক ও
ব্লগার অভিজিত্ রায় ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
টিএসসি মোড়ে আসলে দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর হামলা চালায়। দুর্বৃত্তদের ধারালো
অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন অভিজিত্ রায়। আর গুরুতর আহত হন রাফিদা আহমেদ বন্যা।
বর্তমানে তাকে উন্নত চিকিত্সার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে নেয়া হয়েছে। অভিজিত্ ও
বন্যা দুইজনই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।