প্রায়
৪ বিলিয়ন বছর আগে একসময় ছোটো, সিক্ত ও নীলাভ ছিল লাল গ্রহ হিসেবে পরিচিত
মঙ্গলগ্রহ। কিন্তু কালের পরিক্রমায় এটি রুক্ষ ও লাল ধূলোর গ্রহে পরিণত
হয়েছে। কিভাবে এটি হলো সেটি গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
জার্নাল
সায়েন্স পত্রিকায় প্রকাশিত এক গবেষণা থেকে জানা যায়, মঙ্গলের উত্তর
গোলার্ধে জলের পরিধি আমাদের আটলান্টিক মহাসাগরের মতো বিস্তৃত ছিল। কোনো
কোনো স্থানে এর গভীরতা এক মাইলও ছিল ।
নাসার
গোডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের বিজ্ঞানী ও লেখক গ্যারোনিমো ভিলানিউভা তার
গবেষণায় জানিয়েছেন, ‘মঙ্গল কতখানি পানি হারিয়েছে, তার মূল্যায়ন করার
আপ্রাণ চেষ্টা চলছে।
গ্যারোনিমো
ও তার দল ছয় বছর ধরে মঙ্গলের বায়ুস্তরে জলকণার বৈশিষ্ট্য নিয়ে নিরন্তর
প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা পানি বণ্টন ও ঋতু পরিবর্তনের মানচিত্র এঁকে এই
চমকপ্রদ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।
কালের
পরিক্রমায় এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, কালের পরিক্রমায় মঙ্গলগ্রহ তার
বায়ুমণ্ডল হারিয়েছে। আর একারণে পানিও হারিয়ে গেছে। যদিও মঙ্গলগ্রহের
ভূপৃষ্টের নিচে হিমাকারে বিপুল পরিমাণ পানি রয়েছে যা গ্রহটিকে ঠাণ্ডা
রাখছে।
তারা
আরো জানান, পানির অণুর দুই ধরনের গঠন দেখা গেছে। একটি পৃথিবীর মতোই সাধারণ
পানি যার সংকেত H2O, যেখানে দুটো হাইড্রোজেন পরমাণুর সঙ্গে একটি অক্সিজেন
পরমাণু যোগ হয়েছে। আরেক গঠন হলো HDO, এখানে হাইড্রোজেনের একটি পরমাণুকে
সরিয়ে সেই স্থান দখল করেছে ডিউটেরিয়াম। এই পানির অণু অনেক ভারি। এই দুই
ধরনের পানির তুলনা করে বিজ্ঞানীরা জানান চেষ্টা করেন যে, শূন্যে কিভাবে
পানি হারিয়ে গেল।