বসন্তবরণ
হলো বেশ আয়োজন করেই। কান পাতলেই কুহু কুহু। পলাশ-শিমুল-ডালিয়া মাতিয়ে
দেয় মন। আগুনরাঙা ফাগুনে প্রকৃতির সঙ্গে মনটাও বেশ ফুরফুরে। মনের এই
ফুরফুরে ভাব এখন প্রকাশ পাচ্ছে আমাদের সাজ-পোশাকেও। প্রকৃতির রঙে রাঙিয়ে
নিচ্ছি নিজেকে।
‘ফাগুনের এই সময়ে সাজ-পোশাকে বেশ রঙিন হওয়া যায়। বসন্তে উজ্জ্বল রঙের হাতছানি থাকবেই। আর আবহাওয়াটাও এমন, খুব শীত নয় আবার খুব গরমও নয়। তাই ইচ্ছেমতো রঙিন পোশাকে নিজেদের রাঙিয়ে নেওয়া যায়।’ বললেন ফ্যাশন হাউস রঙ-এর ডিজাইনার বিপ্লব সাহা। তিনি আরও বলেন, প্রকৃতিতে এখন এত ফুলের সমাহার, ইচ্ছা করলেই ফুলের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে পোশাক পরতে পারি আমরা। বসন্তবরণে হলুদ-লাল-কমলা-লেবু রংগুলোকে যেমনটা প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল, এখন সেই রঙিন পোশাকগুলোই পরতে পারি। স্বাধীনতার মাস বলেই হয়তো পোশাকে লাল-সবুজ তো থাকবে, সেই সঙ্গে ফিরোজা-ম্যাজেন্টা রঙের পোশাকও পরা যায়। তবে প্রাধান্য দিতে হবে সুতি কাপড়কেই। কারণ, আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হন অনেকে। হঠাৎ শরীর ঘেমে যায়, কাপড়টা সুতি হলে স্বস্তি পাওয়া যায়। কথা হয় ফ্যাশন হাউস বিবিয়ানার ডিজাইনার লিপি খন্দকারের সঙ্গে। তিনি মনে করেন, এই সময়ে আবহাওয়াটা এত সুন্দর যে মনের মাধুরী মিশিয়ে পোশাক পরা যায়। খুব শীতে আমরা রঙিন কাপড় পরতে পারি, কিন্তু তা শীতবস্ত্র দিয়ে জড়িয়ে রাখতে হয় অনেকখানি। আর গরমে তো রঙিন কাপড়ের জায়গাটা নিয়ে নেয় সাদা এবং হালকা রঙের পোশাকগুলো। তাই বসন্তেই প্রকৃতির সঙ্গে নিজেদের রঙিন পোশাকে সাজিয়ে নেওয়া যায় ইচ্ছেমতো।
‘ফাগুনের এই সময়ে সাজ-পোশাকে বেশ রঙিন হওয়া যায়। বসন্তে উজ্জ্বল রঙের হাতছানি থাকবেই। আর আবহাওয়াটাও এমন, খুব শীত নয় আবার খুব গরমও নয়। তাই ইচ্ছেমতো রঙিন পোশাকে নিজেদের রাঙিয়ে নেওয়া যায়।’ বললেন ফ্যাশন হাউস রঙ-এর ডিজাইনার বিপ্লব সাহা। তিনি আরও বলেন, প্রকৃতিতে এখন এত ফুলের সমাহার, ইচ্ছা করলেই ফুলের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে পোশাক পরতে পারি আমরা। বসন্তবরণে হলুদ-লাল-কমলা-লেবু রংগুলোকে যেমনটা প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল, এখন সেই রঙিন পোশাকগুলোই পরতে পারি। স্বাধীনতার মাস বলেই হয়তো পোশাকে লাল-সবুজ তো থাকবে, সেই সঙ্গে ফিরোজা-ম্যাজেন্টা রঙের পোশাকও পরা যায়। তবে প্রাধান্য দিতে হবে সুতি কাপড়কেই। কারণ, আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হন অনেকে। হঠাৎ শরীর ঘেমে যায়, কাপড়টা সুতি হলে স্বস্তি পাওয়া যায়। কথা হয় ফ্যাশন হাউস বিবিয়ানার ডিজাইনার লিপি খন্দকারের সঙ্গে। তিনি মনে করেন, এই সময়ে আবহাওয়াটা এত সুন্দর যে মনের মাধুরী মিশিয়ে পোশাক পরা যায়। খুব শীতে আমরা রঙিন কাপড় পরতে পারি, কিন্তু তা শীতবস্ত্র দিয়ে জড়িয়ে রাখতে হয় অনেকখানি। আর গরমে তো রঙিন কাপড়ের জায়গাটা নিয়ে নেয় সাদা এবং হালকা রঙের পোশাকগুলো। তাই বসন্তেই প্রকৃতির সঙ্গে নিজেদের রঙিন পোশাকে সাজিয়ে নেওয়া যায় ইচ্ছেমতো।
কাপড়টা রঙিন হবে, সেই সঙ্গে সুতির। ইচ্ছা করলে অ্যান্ডি কাপড়ের পোশাকও পরা যায়। কিন্তু কাপড়ের কাট কিংবা পোশাক বানানোর ধরনটা কেমন হবে—লিপি খন্দকার বললেন, এই সময়ে ইচ্ছেমতো কাটের পোশাক পরা যায়। লম্বা ছাঁটের কিংবা দু-তিনটি স্তরের (লেয়ার) পোশাকও পরতে পারেন। তবে সুতির পোশাক মাঝারি বা খাটো দৈর্ঘ্যের পরা উচিত। লম্বা পোশাকের জন্য সুতি ছাড়া অন্য কোনো আরামদায়ক কাপড় পছন্দ করা উচিত।
ফ্যাশন হাউস যাত্রার ধানমন্ডি শাখায় ফাগুনের আয়োজন থেকে দুটি পোশাক কিনেছেন সামিরা আঞ্জুম। কর্মজীবী এই নারী জানালেন, ফাগুনের এই উজ্জ্বল পোশাকগুলো তো সব সময়ই পরা যায়। তাই কমলা রঙের শাড়ি আর লাল-বাদামি সমন্বয়ের সালোয়ার-কামিজটি কিনলেন তিনি। যাত্রার এই শাখার ইনচার্জ সোনিয়া আক্তার জানালেন, সুতির মধ্যে রঙিন কাপড়গুলোর বিক্রি সব সময়ই ভালো।
রঙিন পোশাকে সাজসজ্জা
রূপবিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান বললেন, পোশাকটা যদি খুব উজ্জ্বল হয়, তাহলে মানুষের চোখে সেটাই বেশি পড়বে। এর সঙ্গে যদি বেশি মেকআপ নেওয়া হয়, তাহলে দৃষ্টিকটু লাগবে। তাই উজ্জ্বলরঙা পোশাকের সঙ্গে হালকা সাজসজ্জাই ভালো। আমরা যখন উজ্জ্বলরঙা পোশাকটি পরব, তখন তা ব্যক্তিত্বের সঙ্গে কতটা মানায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পোশাক নির্বাচন এবং পরার পর নিজেকে যেন নিজের মতোই লাগে—এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। ফাগুনের এই সময়টায় আমরা পোশাক পরি সাধারণত হলুদ, কমলা, লাল। উজ্জ্বল রঙের পোশাকের সঙ্গে সাজসজ্জায় খুব হালকা ভাব আনার জন্য ম্যাট প্রসাধনীই উপযুক্ত। দিনের বেলায় মেকআপের আগে ভালো করে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। ফাউন্ডেশন ব্যবহার না করে হালকা পাউডার দিতে হবে। ত্বকের সঙ্গে মানানসই ফেস পাউডার মুখে-ঘাড়ে-গলায় লাগাতে হবে। এরপর একটু আউশ্যাডো-ব্লাশন লাগাতে হবে। চোখে মাশকারা এবং খুব ঘন করে আইলাইনার লাগালে ভালো লাগবে। এখানে খেয়াল রাখতে হবে, দুই চোখের আইলাইনার-মাশকারা যেন একই রকম হয়, দুটি দুই রকম হলে সেটা বেশ দৃষ্টিকটু লাগবে।
লিপস্টিকের ক্ষেত্রেও হালকা রঙের পক্ষে মত দিলেন কানিজ আলমাস খান। ‘মনে রাখতে হবে, যখন কমলা রঙের পোশাক পরবেন, তখন যেন কমলা রঙের লিপস্টিক না পরা হয়, এর সঙ্গে বাদামি রংটাই মানানসই হবে। যেন জবরজং না লাগে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। একটা ক্যাজুয়াল ভাব রঙিন পোশাকে এনে দেবে স্নিগ্ধতা।’