পাবনার ঈশ্বরদীতে মুলাডুলি ইউনিয়নের
বহরপুর গ্রামে একটি বেসরকারি কারখানার ছাই, বর্জ্য ও শব্দে সেখানকার মানুষ
অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এতে ওই এলাকার তিন বর্গকিলোমিটারের মধ্যে থাকা বাগান,
সবজি ও অন্য ফসলও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বহরপুর গ্রামে ২০০৯ সালে ‘রশিদ অয়েল মিলস লিমিটেড’ নামে ওই কারখানাটি গড়ে ওঠে। এ কারখানায় ধানের কুঁড়া থেকে তৈরি হয় ভোজ্যতেল; যা রাইস ব্র্যান অয়েল নামে পরিচিত। প্রতিদিন ৫০ মেট্রিক টন তেল উৎপাদিত হয় এখানে। ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত এ কারখানাটির উত্তর-দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে সীমানাপ্রাচীর আছে। কিন্তু কারখানার পেছনে মানুষের আবাসস্থলের অংশে কোনো প্রাচীর নেই। এই খোলা জায়গায় ছাই ও বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। এ কারণে সেখানে বসবাসকারী ৩০০ পরিবার বিপাকে পড়েছে। এ ছাড়া কারখানার আশপাশে লিচু, আম, কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফলের গাছ ও কৃষি আবাদি জমি রয়েছে।
ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা অভিযোগ করেন, প্রতিদিন শত শত টন ছাই উন্মুক্তভাবে ফেলা হচ্ছে সেখানে। সেই ছাই নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি অনুসরণ না করায় বাতাসে সেগুলো উড়ে ছড়িয়ে পড়ছে তাঁদের ঘর-বাড়িতে। ছাইয়ের গাদার পাশেই ফেলা হচ্ছে কারখানার বর্জ্য পদার্থ। এতে বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। মেশিনের বিকট শব্দেও বসবাস করা যাচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে অনেকে জমি বিক্রি করে অন্যত্র চলে গেছেন।
জানা গেছে, কারখানার তিন কিলোমিটারের মধ্যে সবজি, ফসল, ফলসহ বিভিন্ন গাছের পাতায় ছাই পড়ে কালো হয়ে আছে।
গ্রামের বাসিন্দা মর্জিনা বেগম বলেন, ‘আমরা ভাতের সঙ্গে এখন ছাই খাচ্ছি।’ আয়েশা বেগম জানান, কারখানার কালো ধোঁয়া, শব্দ ও দুর্গন্ধে বসবাস করতে না পেরে তিনি বাধ্য হয়ে কারখানার মালিকের কাছে বসতভিটা বিক্রি করে দিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সদাশুরিয়া কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, কারখানার শব্দে ঠিকমতো পড়াশোনা করা যায় না।
রাজশাহী বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর বগুড়ার উপপরিচালক মেজ-বাবুল আলম জানান, কৃষিজমিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি তিনি তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান।
ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খুরশীদ আলম জানান, কোনো সমস্যা হলে তিনি কৃষি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
এ ব্যাপারে রশিদ অয়েল মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রশীদ বলেন, অচিরেই এসব সমস্যা সমাধানের জন্য কারখানায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বহরপুর গ্রামে ২০০৯ সালে ‘রশিদ অয়েল মিলস লিমিটেড’ নামে ওই কারখানাটি গড়ে ওঠে। এ কারখানায় ধানের কুঁড়া থেকে তৈরি হয় ভোজ্যতেল; যা রাইস ব্র্যান অয়েল নামে পরিচিত। প্রতিদিন ৫০ মেট্রিক টন তেল উৎপাদিত হয় এখানে। ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত এ কারখানাটির উত্তর-দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে সীমানাপ্রাচীর আছে। কিন্তু কারখানার পেছনে মানুষের আবাসস্থলের অংশে কোনো প্রাচীর নেই। এই খোলা জায়গায় ছাই ও বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। এ কারণে সেখানে বসবাসকারী ৩০০ পরিবার বিপাকে পড়েছে। এ ছাড়া কারখানার আশপাশে লিচু, আম, কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফলের গাছ ও কৃষি আবাদি জমি রয়েছে।
ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা অভিযোগ করেন, প্রতিদিন শত শত টন ছাই উন্মুক্তভাবে ফেলা হচ্ছে সেখানে। সেই ছাই নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি অনুসরণ না করায় বাতাসে সেগুলো উড়ে ছড়িয়ে পড়ছে তাঁদের ঘর-বাড়িতে। ছাইয়ের গাদার পাশেই ফেলা হচ্ছে কারখানার বর্জ্য পদার্থ। এতে বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। মেশিনের বিকট শব্দেও বসবাস করা যাচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে অনেকে জমি বিক্রি করে অন্যত্র চলে গেছেন।
জানা গেছে, কারখানার তিন কিলোমিটারের মধ্যে সবজি, ফসল, ফলসহ বিভিন্ন গাছের পাতায় ছাই পড়ে কালো হয়ে আছে।
গ্রামের বাসিন্দা মর্জিনা বেগম বলেন, ‘আমরা ভাতের সঙ্গে এখন ছাই খাচ্ছি।’ আয়েশা বেগম জানান, কারখানার কালো ধোঁয়া, শব্দ ও দুর্গন্ধে বসবাস করতে না পেরে তিনি বাধ্য হয়ে কারখানার মালিকের কাছে বসতভিটা বিক্রি করে দিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সদাশুরিয়া কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, কারখানার শব্দে ঠিকমতো পড়াশোনা করা যায় না।
রাজশাহী বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর বগুড়ার উপপরিচালক মেজ-বাবুল আলম জানান, কৃষিজমিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি তিনি তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান।
ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খুরশীদ আলম জানান, কোনো সমস্যা হলে তিনি কৃষি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
এ ব্যাপারে রশিদ অয়েল মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রশীদ বলেন, অচিরেই এসব সমস্যা সমাধানের জন্য কারখানায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।