জাপানের
যেসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চীনে ব্যবসা করছে, তারা আগামী দু-এক বছরের মধ্যে
নতুন কোনো দেশে বিনিয়োগ করতে চান। এ ক্ষেত্রে তাদের প্রথম পছন্দ ভারত।
আর তালিকায় দ্বিতীয় দেশটি বাংলাদেশ।
শ্রমিকের স্বল্প মজুরি, সাশ্রয়ী উৎপাদন ব্যয়, কম ব্যয়ে ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি এ দেশে ব্যবসা করে মুনাফা করা সম্ভব—এমনটাই মনে করেন জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা (সিইও)। সে জন্যই তাঁরা ২০১৫ সালে বাংলাদেশে অধিক হারে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
জাপান সরকারের বাণিজ্যবিষয়ক সংস্থার (জেট্রো) সাম্প্রতিক এক জরিপে এসব বিষয় উঠে এসেছে। ‘এশিয়া ও ওশেনিয়া মহাদেশে জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে জরিপ ২০১৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
জেট্রো বলছে, বিশ্বের ২০টি দেশে ব্যবসা পরিচালনা করছে—জাপানের এমন ১০ হাজার ৭৮টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ওপর গত বছরের অক্টোবর ও নভেম্বরে জরিপ করেছে তারা। এ ক্ষেত্রে প্রশ্নপত্রের ভিত্তিতে এসব প্রতিষ্ঠানের সিইওদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, চীনে ব্যবসা পরিচালনায় নানা বাধার কারণে অনেক জাপানি ব্যবসায়ী সে দেশ থেকে তাঁদের ব্যবসা গুটিয়ে নিতে চান। জরিপ বলছে, জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলোর সিইওদের প্রথম পছন্দ ভারত। ৭৮ শতাংশই সে দেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। আর বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ৭১ দশমিক ৭ শতাংশ সিইও। ভিয়েতনাম আর থাইল্যান্ডে বিনিয়োগ করতে চান যথাক্রমে ৬৬ শতাংশ ও ৬০ দশমিক ৯ শতাংশ সিইও। ৪৬ শতাংশ সিইও চীনেই ব্যবসা বাড়াতে চান।
বাংলাদেশকে নিয়ে এখন রীতিমতো স্বপ্ন দেখছেন জাপানি বিনিয়োগকারীরা, অন্তত জেট্রোর জরিপ তা-ই বলছে। জাপানি ব্যবসায়ীদের কাছে ২০১৫ সালে ব্যবসার আস্থা সূচকে সবচেয়ে ওপরে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সূচক ৭১, যেখানে ভারতের সূচক হচ্ছে ৪৮।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে যেখানে বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ডলার, ২০১৩ সালে তা বেড়ে হয়েছে প্রায় সাড়ে ৯ কোটি ডলার। আর ২০১৪ সালের প্রথম ৯ মাসে ৮ কোটি ১২ লাখ ডলারের জাপানি বিনিয়োগ এসেছে।
জরিপে অংশ নেওয়া ৭১ শতাংশ সিইও-ই আশা করেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে অধিক মুনাফা অর্জন করা সম্ভব। এর বড় কারণ হলো বাংলাদেশে শ্রমিকের মজুরি খুবই কম, মাসে সর্বোচ্চ ১০০ ডলার দিয়েই এদেশের শ্রমিকদের কাজ করানো যায়; যা চীনে ৪০৩ ডলা ও ভারতে ২৩৯ ডলার।
জেট্রো বলছে, জাপানে ১০০ ডলারে যে পণ্য উৎপাদন করা যায়, বাংলাদেশে তা উৎপাদন করা যায় অর্ধেক দামে (৪৮ দশমিক ৭ ডলারে)। সংস্থাটি এটাকে বর্ণনা করেছে ‘একই পণ্য, অর্ধেক দামে উৎপাদন’ হিসেবে।
মজার ব্যাপার হলো, জাপানের বিনিয়োগকারীরা মনে করেন, বাংলাদেশে ব্যবসার ব্যয় বহুলাংশে কমানোর সুযোগ রয়েছে। জেট্রোর জরিপে অংশ নেওয়া ৮৪ শতাংশ সিইও মনে করেন, বাংলাদেশে ব্যবসার ব্যয় কমানো সম্ভব। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে শুধু মিয়ানমার (৮৯ শতাংশ)।
জরিপে বেশ কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরেছে জেট্রো। এর মধ্যে আছে জাপানে রপ্তানি বাড়ানো। এ জন্য বাংলাদেশি পণ্যের প্রতি জাপানকে আকৃষ্ট করতে হবে। জাপানি বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে পরামর্শ হচ্ছে, যেহেতু বাংলাদেশে বিনিয়োগে জাপানি ব্যবসায়ীদের আস্থা বেড়েছে, তাই তাঁরা বিনিয়োগ করতে পারেন। তবে তাঁদের অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে যে বাংলাদেশে মুনাফার পরিবর্তে লোকসান হওয়ার আশঙ্কাও আছে।
শ্রমিকের স্বল্প মজুরি, সাশ্রয়ী উৎপাদন ব্যয়, কম ব্যয়ে ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি এ দেশে ব্যবসা করে মুনাফা করা সম্ভব—এমনটাই মনে করেন জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা (সিইও)। সে জন্যই তাঁরা ২০১৫ সালে বাংলাদেশে অধিক হারে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
জাপান সরকারের বাণিজ্যবিষয়ক সংস্থার (জেট্রো) সাম্প্রতিক এক জরিপে এসব বিষয় উঠে এসেছে। ‘এশিয়া ও ওশেনিয়া মহাদেশে জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে জরিপ ২০১৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
জেট্রো বলছে, বিশ্বের ২০টি দেশে ব্যবসা পরিচালনা করছে—জাপানের এমন ১০ হাজার ৭৮টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ওপর গত বছরের অক্টোবর ও নভেম্বরে জরিপ করেছে তারা। এ ক্ষেত্রে প্রশ্নপত্রের ভিত্তিতে এসব প্রতিষ্ঠানের সিইওদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, চীনে ব্যবসা পরিচালনায় নানা বাধার কারণে অনেক জাপানি ব্যবসায়ী সে দেশ থেকে তাঁদের ব্যবসা গুটিয়ে নিতে চান। জরিপ বলছে, জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলোর সিইওদের প্রথম পছন্দ ভারত। ৭৮ শতাংশই সে দেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। আর বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ৭১ দশমিক ৭ শতাংশ সিইও। ভিয়েতনাম আর থাইল্যান্ডে বিনিয়োগ করতে চান যথাক্রমে ৬৬ শতাংশ ও ৬০ দশমিক ৯ শতাংশ সিইও। ৪৬ শতাংশ সিইও চীনেই ব্যবসা বাড়াতে চান।
বাংলাদেশকে নিয়ে এখন রীতিমতো স্বপ্ন দেখছেন জাপানি বিনিয়োগকারীরা, অন্তত জেট্রোর জরিপ তা-ই বলছে। জাপানি ব্যবসায়ীদের কাছে ২০১৫ সালে ব্যবসার আস্থা সূচকে সবচেয়ে ওপরে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সূচক ৭১, যেখানে ভারতের সূচক হচ্ছে ৪৮।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে যেখানে বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ডলার, ২০১৩ সালে তা বেড়ে হয়েছে প্রায় সাড়ে ৯ কোটি ডলার। আর ২০১৪ সালের প্রথম ৯ মাসে ৮ কোটি ১২ লাখ ডলারের জাপানি বিনিয়োগ এসেছে।
জরিপে অংশ নেওয়া ৭১ শতাংশ সিইও-ই আশা করেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে অধিক মুনাফা অর্জন করা সম্ভব। এর বড় কারণ হলো বাংলাদেশে শ্রমিকের মজুরি খুবই কম, মাসে সর্বোচ্চ ১০০ ডলার দিয়েই এদেশের শ্রমিকদের কাজ করানো যায়; যা চীনে ৪০৩ ডলা ও ভারতে ২৩৯ ডলার।
জেট্রো বলছে, জাপানে ১০০ ডলারে যে পণ্য উৎপাদন করা যায়, বাংলাদেশে তা উৎপাদন করা যায় অর্ধেক দামে (৪৮ দশমিক ৭ ডলারে)। সংস্থাটি এটাকে বর্ণনা করেছে ‘একই পণ্য, অর্ধেক দামে উৎপাদন’ হিসেবে।
মজার ব্যাপার হলো, জাপানের বিনিয়োগকারীরা মনে করেন, বাংলাদেশে ব্যবসার ব্যয় বহুলাংশে কমানোর সুযোগ রয়েছে। জেট্রোর জরিপে অংশ নেওয়া ৮৪ শতাংশ সিইও মনে করেন, বাংলাদেশে ব্যবসার ব্যয় কমানো সম্ভব। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে শুধু মিয়ানমার (৮৯ শতাংশ)।
জরিপে বেশ কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরেছে জেট্রো। এর মধ্যে আছে জাপানে রপ্তানি বাড়ানো। এ জন্য বাংলাদেশি পণ্যের প্রতি জাপানকে আকৃষ্ট করতে হবে। জাপানি বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে পরামর্শ হচ্ছে, যেহেতু বাংলাদেশে বিনিয়োগে জাপানি ব্যবসায়ীদের আস্থা বেড়েছে, তাই তাঁরা বিনিয়োগ করতে পারেন। তবে তাঁদের অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে যে বাংলাদেশে মুনাফার পরিবর্তে লোকসান হওয়ার আশঙ্কাও আছে।