পর্বতারোহণের প্রতি মৌসুমে ৭শ’র বেশি আরোহী এবং গাইড প্রায় দুই মাসের মত
সময় কাটান হিমালয়ে। এসময় তারা যে মলমূত্র ত্যাগ করেন তাতে ব্যাপক দূষণের
সৃষ্টি হয় বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
নেপালের পর্বতারোহণ সংস্থার
আং শেরিং বলেছেন, হিমালয়ে পর্বতারোহীদের মলমূত্র ত্যাগের ফলে পরিবেশ দূষণের
সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে রোগ সংক্রমণের আশঙ্কাও বাড়ছে। তিনি আশা করেন, নেপালের
সরকার পর্বতারোহীদেরকে তাদের বর্জ্যের যথাযথ বন্দোবস্ত করতে নির্দেশ দেবে।
আং শেরিং বলছিলেন, পাহাড়ের বরফের ভেতর গর্ত করেই লোকে প্রাকৃতিক কাজ সেরে
নিচ্ছে এবং এভাবেই মানুষের বর্জ্য ফেলে রাখা হচ্ছে। তাই সারা বছর হিমালয়
পর্বতের চারটি ক্যাম্পে মলমূত্রের স্তুূপ জমা হতে থাকে বলে উদ্বেগ জানান
তিনি। এবারও এই সপ্তাহে শুরু হয়েছে মৌসুম যা শেষ হবে মে মাসে। ২০০৮ সাল
থেকেই হিমালয় পর্বত পরিচ্ছন্নতা অভিযানে সম্পৃক্ত ডাওয়া স্টিভেন শেরপা
বিষয়টিকে একটি বড় স্বাস্থ্য সমস্যা বলে উল্লেখ করেন। তবে কিছু পর্বতারোহী
অবশ্য ভ্রাম্যমাণ শৌচাগার ব্যবহার করেন বলে জানান তিনি। এক্ষেত্রে নতুন
কিছু নিয়ম করার কথা ভাবছে সরকার। সরকারের পর্বতারোহণ বিভাগের প্রধান পুষ্পা
রাজ কাটুয়া জানিয়েছেন, নতুন নিয়মে পর্বতারোহীদের অবশ্যই ৮ কিলোগ্রাম
পর্যন্ত বর্জ্য বহন করে নিয়ে আসতে হবে।