মেকআপ না তুলে ঘুমিয়ে
পড়লে ঠিক কী কী সমস্যার মুখোমুখি আপনি হতে পারেন, সে ব্যাপারে জানালেন
ঢাকার রেড বিউটি স্যালনের প্রধান নির্বাহী ও রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভিন।
রসায়নশাস্ত্রের ভাষায়, অবিরত আমাদের চারপাশের পরিবেশে কিছু মুক্ত যৌগমূলক ঘুরে বেড়ায়। অনেকটা সময় ধরে মেকআপ নিয়ে ঘুমালে আপনার মেকআপের উপাদানগুলো এসব যৌগমূলককে সহজেই ধরে ফেলে। পরিণামে সেগুলো আপনার ত্বকের স্বাস্থ্যকর কোলাজেন প্রোটিনকে ভেঙে ফেলে। এতে ত্বকে অনাকাঙ্ক্ষিত চিকন চিকন দাগ বা রেখাগুলো জন্মায়। এ ছাড়া দীর্ঘক্ষণ ঘুমানোর ফলে মেকআপ ত্বকের ছোট ছোট লোমকূপ নিখুঁতভাবে ভরাট করে ফেলে আর ব্রণের বিস্তার ঘটাতে থাকে ক্রমাগত।
এক-দুই রাত ঘুমালে কী আর হবে!
আপাতদৃষ্টিতে খুব একটা পরিবর্তন চোখে না পড়লেও তা আপনার ত্বককে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় ফেলবে। ত্বকের উজ্জ্বলতা কিংবা প্রতিরোধক্ষমতা কমিয়ে দিতে এক রাতই যথেষ্ট!
বলিরেখা
সারা দিনের ছোটাছুটিতে বাইরের ধুলাবালুসহ সব ধরনের জীবাণুই আপনার ত্বকে ভর করে। তার ওপর আপনি যখন মেকআপ নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ছেন, তখন ওই জীবাণুগুলো আটকা পড়ে যাচ্ছে আপনার ত্বকে। তাদের বের হওয়ার সুযোগ তো দিলেনই না, বরং যেন পথটা আরও জোর করে বন্ধ করে রাখলেন। এতে আপনার ত্বকে বলিরেখা পড়তে থাকবে খুব সহজেই। আর অকালেই যেন বয়সটাও বাড়িয়ে দেবে।
চোখের মেকআপ নিয়ে ঘুমানোর পরিণাম
চোখের মেকআপ নিয়ে ঘুমালে ব্রণ কিংবা বলিরেখা সমস্যার মধ্য দিয়ে না গেলেও আরেক ধরনের সমস্যায় পড়তেই হবে। চোখে মাসকারা কিংবা আইলাইনার নিয়ে নিয়মিত ঘুমাতে থাকলে চোখের পাতার ছোট ছোট লোমকূপগুলো কিংবা তেলগ্রন্থিগুলো বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় সেখানে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয় অনায়াসেই। চোখের জ্বালাপোড়াসহ বিভিন্ন রকমের যন্ত্রণা তৈরি করে চোখে। এ ক্ষেত্রে চোখ ফুলেও যায় অনেক সময়। এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বেশ সময়সাপেক্ষ একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
ফাউন্ডেশন যদি খুব পুরু হয়!
জেনে রাখুন, রাতে ঘুমানোর সময় যখন আপনার ত্বক নতুনভাবে নিজেকে উজ্জীবিত করে তোলে ঠিক তখনই ফাউন্ডেশন তাতে বাধার সৃষ্টি করে। যার ফলে ব্ল্যাক-হেড, ব্রণ কিংবা বলিরেখার মতো নানা ধরনের ত্বকীয় সমস্যা আপনার সঙ্গে আঠার মতো লেগে যায়।
বাহ্যিক রূপের মূলে রয়েছে আমাদের ত্বক। সেই ত্বককে সুস্থ রাখার জন্য সূক্ষ্মভাবে কাজ করে আমাদের মন। আমরা যত হাসি-খুশি কিংবা প্রাণবন্ত থাকব, ততই তার ছায়া পড়বে আমাদের বাইরের আবরণে। তবু নিজেকে আরও একটু গোছানোর জন্য আমরা মেকআপ করে থাকি প্রায়ই। মেকআপে ক্ষারীয় প্রভাব একটু বেশি থাকে, তবে ঠিকমতো নিয়মকানুন মেনে চললে এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
মেকআপ নিয়ে রাতে ঘুমানো মানে চিরস্থায়ীভাবে ত্বককে ক্ষতির মুখে ঠেলে দেওয়া। আফরোজা পারভিন বললেন, দাগমুক্ত সঞ্জীবনী প্রাকৃতিক রূপ ধরে রাখতে চাইলে শুরুতে যেমন খুব যত্ন করে মেকআপ করবেন, ঠিক তেমনি মেকআপ তুলবেনও খুব যত্ন করে। আর মেকআপ নিয়ে ঘুম তো একেবারেই ঠিক নয়!
রসায়নশাস্ত্রের ভাষায়, অবিরত আমাদের চারপাশের পরিবেশে কিছু মুক্ত যৌগমূলক ঘুরে বেড়ায়। অনেকটা সময় ধরে মেকআপ নিয়ে ঘুমালে আপনার মেকআপের উপাদানগুলো এসব যৌগমূলককে সহজেই ধরে ফেলে। পরিণামে সেগুলো আপনার ত্বকের স্বাস্থ্যকর কোলাজেন প্রোটিনকে ভেঙে ফেলে। এতে ত্বকে অনাকাঙ্ক্ষিত চিকন চিকন দাগ বা রেখাগুলো জন্মায়। এ ছাড়া দীর্ঘক্ষণ ঘুমানোর ফলে মেকআপ ত্বকের ছোট ছোট লোমকূপ নিখুঁতভাবে ভরাট করে ফেলে আর ব্রণের বিস্তার ঘটাতে থাকে ক্রমাগত।
এক-দুই রাত ঘুমালে কী আর হবে!
আপাতদৃষ্টিতে খুব একটা পরিবর্তন চোখে না পড়লেও তা আপনার ত্বককে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় ফেলবে। ত্বকের উজ্জ্বলতা কিংবা প্রতিরোধক্ষমতা কমিয়ে দিতে এক রাতই যথেষ্ট!
বলিরেখা
সারা দিনের ছোটাছুটিতে বাইরের ধুলাবালুসহ সব ধরনের জীবাণুই আপনার ত্বকে ভর করে। তার ওপর আপনি যখন মেকআপ নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ছেন, তখন ওই জীবাণুগুলো আটকা পড়ে যাচ্ছে আপনার ত্বকে। তাদের বের হওয়ার সুযোগ তো দিলেনই না, বরং যেন পথটা আরও জোর করে বন্ধ করে রাখলেন। এতে আপনার ত্বকে বলিরেখা পড়তে থাকবে খুব সহজেই। আর অকালেই যেন বয়সটাও বাড়িয়ে দেবে।
চোখের মেকআপ নিয়ে ঘুমানোর পরিণাম
চোখের মেকআপ নিয়ে ঘুমালে ব্রণ কিংবা বলিরেখা সমস্যার মধ্য দিয়ে না গেলেও আরেক ধরনের সমস্যায় পড়তেই হবে। চোখে মাসকারা কিংবা আইলাইনার নিয়ে নিয়মিত ঘুমাতে থাকলে চোখের পাতার ছোট ছোট লোমকূপগুলো কিংবা তেলগ্রন্থিগুলো বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় সেখানে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয় অনায়াসেই। চোখের জ্বালাপোড়াসহ বিভিন্ন রকমের যন্ত্রণা তৈরি করে চোখে। এ ক্ষেত্রে চোখ ফুলেও যায় অনেক সময়। এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বেশ সময়সাপেক্ষ একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
ফাউন্ডেশন যদি খুব পুরু হয়!
জেনে রাখুন, রাতে ঘুমানোর সময় যখন আপনার ত্বক নতুনভাবে নিজেকে উজ্জীবিত করে তোলে ঠিক তখনই ফাউন্ডেশন তাতে বাধার সৃষ্টি করে। যার ফলে ব্ল্যাক-হেড, ব্রণ কিংবা বলিরেখার মতো নানা ধরনের ত্বকীয় সমস্যা আপনার সঙ্গে আঠার মতো লেগে যায়।
বাহ্যিক রূপের মূলে রয়েছে আমাদের ত্বক। সেই ত্বককে সুস্থ রাখার জন্য সূক্ষ্মভাবে কাজ করে আমাদের মন। আমরা যত হাসি-খুশি কিংবা প্রাণবন্ত থাকব, ততই তার ছায়া পড়বে আমাদের বাইরের আবরণে। তবু নিজেকে আরও একটু গোছানোর জন্য আমরা মেকআপ করে থাকি প্রায়ই। মেকআপে ক্ষারীয় প্রভাব একটু বেশি থাকে, তবে ঠিকমতো নিয়মকানুন মেনে চললে এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
মেকআপ নিয়ে রাতে ঘুমানো মানে চিরস্থায়ীভাবে ত্বককে ক্ষতির মুখে ঠেলে দেওয়া। আফরোজা পারভিন বললেন, দাগমুক্ত সঞ্জীবনী প্রাকৃতিক রূপ ধরে রাখতে চাইলে শুরুতে যেমন খুব যত্ন করে মেকআপ করবেন, ঠিক তেমনি মেকআপ তুলবেনও খুব যত্ন করে। আর মেকআপ নিয়ে ঘুম তো একেবারেই ঠিক নয়!