পৃথিবী ২০০৭: কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ
মঙ্গল ২০০৯: মঙ্গলের পাশ দিয়ে উড়ে যাওয়া
ভেস্তা গ্রহাণু:
আবিষ্কার ১৮০৭ সালে
ব্যাস ৫৩০ কিমি
২০১১-১২: ভেস্তাকে ১৪ মাস ধরে প্রদক্ষিণ
বৃহস্পতি
সেরিস
আবিষ্কার ১৮০১ সালে
ব্যাস ৯৫০ কিমি
বামন গ্রহের মর্যাদা
২০০৬ সালে
মঙ্গল ২০০৯: মঙ্গলের পাশ দিয়ে উড়ে যাওয়া
ভেস্তা গ্রহাণু:
আবিষ্কার ১৮০৭ সালে
ব্যাস ৫৩০ কিমি
২০১১-১২: ভেস্তাকে ১৪ মাস ধরে প্রদক্ষিণ
বৃহস্পতি
সেরিস
আবিষ্কার ১৮০১ সালে
ব্যাস ৯৫০ কিমি
বামন গ্রহের মর্যাদা
২০০৬ সালে
মার্চ ২০১৫-জুলাই ২০১৬:
সেরিসকে প্রদক্ষিণ করার
জন্য নির্ধারিত সময়
ডনের অভিযান
৪৫০ কোটি বছর আগে সৌরজগতের উৎপত্তি নিয়ে অনুসন্ধান
যাত্রাকালে ওজন: ১২১৮ কেজি
চালিকাশক্তি: আয়ন ইঞ্জিন (সৌরশক্তি)
আকার: ২০ মি চওড়া, ১.৮ মি উঁচু
অভিযানের ব্যাপ্তি: ৯ বছর
সূত্র: নাসা/এএফপি
সেরিসকে প্রদক্ষিণ করার
জন্য নির্ধারিত সময়
ডনের অভিযান
৪৫০ কোটি বছর আগে সৌরজগতের উৎপত্তি নিয়ে অনুসন্ধান
যাত্রাকালে ওজন: ১২১৮ কেজি
চালিকাশক্তি: আয়ন ইঞ্জিন (সৌরশক্তি)
আকার: ২০ মি চওড়া, ১.৮ মি উঁচু
অভিযানের ব্যাপ্তি: ৯ বছর
সূত্র: নাসা/এএফপি
বামন
গ্রহ সেরিসের কক্ষপথে মার্কিন মহাকাশ সংস্থার (নাসা) অনুসন্ধানী নভোযান ডন
গত শুক্রবার আবর্তন শুরু করেছে। সৌরজগতের প্রধান গ্রহাণুগুলোর উৎপত্তি
সম্পর্কে জানার চেষ্টা করাই ডনের এ অভিযানের লক্ষ্য। এটি সেখানকার বিভিন্ন
তথ্য-উপাত্ত ও ছবি সংগ্রহ করবে বলে জানিয়েছে নাসা।
রহস্যময় ও বৃহত্তম গ্রহাণু হিসেবে পরিচিত সেরিসের কাছাকাছি ১৬ মাস ধরে অবস্থান করে সেখানকার ভৌগোলিক গঠন, খনিজ উপাদানগুলোর ধরন, মাধ্যাকর্ষণের প্রকৃতি ইত্যাদি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবে নভোযানটি। এতে পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহ সৃষ্টির প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ৩১০ কোটি মাইল পাড়ি দিয়ে সেরিসের কক্ষপথে পৌঁছাতে ডনের সাড়ে সাত বছর লেগেছে। তবে এ সময়ের মধ্যে ভেস্তা নামের আরেকটি গ্রহাণু পর্যবেক্ষণের জন্য বিরতি নিয়েছিল নভোযানটি।
সেরিসের উপরিতল থেকে প্রায় ৩৮ হাজার মাইল ওপরে বামন গ্রহটির মাধ্যাকর্ষণে গত শুক্রবার আটকা পড়ে ডন। এটি সেরিসের কাছাকাছি পৌঁছানোর এক ঘণ্টা পর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরিতে অভিযানের নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রে সংকেত পাঠায়। নাসা জানায়, নভোযানটি সম্পূর্ণ ঠিকঠাক অবস্থায় রয়েছে।
৪৭ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয়ে ডনের অভিযান ২০০৭ সালে শুরু হয়। নভোযানটির গতিবিধি পর্যবেক্ষক এবং লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ক্রিস রাসেল বলেন, তাঁরা আনন্দিত বোধ করছেন। আগামী দেড় বছরে আরও সাফল্যের খবর পাওয়া যাবে।
ডন আগামী নভেম্বর নাগাদ সেরিসের পৃষ্ঠতলের প্রায় ২৩০ মাইল কাছে যাবে। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, তখন বামন গ্রহটির বিভিন্ন স্থানের বিবরণসংবলিত একটি বিশদ মানচিত্র তৈরি করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি সেরিসে প্রাণের অস্তিত্বের সম্ভাবনাও যাচাই করে দেখার সুযোগ তৈরি হবে। নাসার প্ল্যানেটারি সায়েন্স ডিভিশনের পরিচালক জিম গ্রিন বলেন, তাঁরা সেরিসে বরফের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানেন। কিন্তু সেখানকার প্রকৃতি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চান।
সেরিসের উপরিতলে উজ্জ্বল দুটি চিহ্ন এবং পানির বাষ্পের অস্তিত্ব আছে কি না, তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার (ইএসএ) একাধিক দূরবীক্ষণ যন্ত্রে এসব চিহ্ন গত বছর ধরা পড়ে। ডনের অভিযাত্রা নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে যুক্ত আরেক বিজ্ঞানী ক্যারল র্যা মন্ড বলেন, ২০১৬ সালে অভিযানটি শেষ হলে তাঁরা সেরিস সম্পর্কে বিস্তারিত অনেক কিছু স্পষ্টভাবে জানতে পারবেন। সৌরজগতে ওই বামন গ্রহের উপস্থিতির কারণ ও তাৎপর্যও জানা সম্ভব হবে। ডন সম্ভবত আগামী এপ্রিলের মধ্যেই সেরিসের অন্ধকার অংশের ছবি পাঠাতে পারবে।
সিসিলির (ইতালি) জ্যোতির্বিদ ফাদার জুসেপ্পে পিয়াৎজি ১৮০১ সালে সেরিস আবিষ্কার করেন। তিনি এটিকে গ্রহ বলেই চিহ্নিত করেছিলেন। পরে এটিকে গ্রহাণু এবং আরও পরে বামন গ্রহের মর্যাদা দেওয়া হয়। সেরিস ও ভেস্তা হচ্ছে মঙ্গল ও বৃহস্পতির মাঝামাঝি গ্রহাণুপুঞ্জের মধ্যে সবচেয়ে বড় দুটি মহাজাগতিক কাঠামো।
রহস্যময় ও বৃহত্তম গ্রহাণু হিসেবে পরিচিত সেরিসের কাছাকাছি ১৬ মাস ধরে অবস্থান করে সেখানকার ভৌগোলিক গঠন, খনিজ উপাদানগুলোর ধরন, মাধ্যাকর্ষণের প্রকৃতি ইত্যাদি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবে নভোযানটি। এতে পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহ সৃষ্টির প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ৩১০ কোটি মাইল পাড়ি দিয়ে সেরিসের কক্ষপথে পৌঁছাতে ডনের সাড়ে সাত বছর লেগেছে। তবে এ সময়ের মধ্যে ভেস্তা নামের আরেকটি গ্রহাণু পর্যবেক্ষণের জন্য বিরতি নিয়েছিল নভোযানটি।
সেরিসের উপরিতল থেকে প্রায় ৩৮ হাজার মাইল ওপরে বামন গ্রহটির মাধ্যাকর্ষণে গত শুক্রবার আটকা পড়ে ডন। এটি সেরিসের কাছাকাছি পৌঁছানোর এক ঘণ্টা পর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরিতে অভিযানের নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রে সংকেত পাঠায়। নাসা জানায়, নভোযানটি সম্পূর্ণ ঠিকঠাক অবস্থায় রয়েছে।
৪৭ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয়ে ডনের অভিযান ২০০৭ সালে শুরু হয়। নভোযানটির গতিবিধি পর্যবেক্ষক এবং লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ক্রিস রাসেল বলেন, তাঁরা আনন্দিত বোধ করছেন। আগামী দেড় বছরে আরও সাফল্যের খবর পাওয়া যাবে।
ডন আগামী নভেম্বর নাগাদ সেরিসের পৃষ্ঠতলের প্রায় ২৩০ মাইল কাছে যাবে। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, তখন বামন গ্রহটির বিভিন্ন স্থানের বিবরণসংবলিত একটি বিশদ মানচিত্র তৈরি করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি সেরিসে প্রাণের অস্তিত্বের সম্ভাবনাও যাচাই করে দেখার সুযোগ তৈরি হবে। নাসার প্ল্যানেটারি সায়েন্স ডিভিশনের পরিচালক জিম গ্রিন বলেন, তাঁরা সেরিসে বরফের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানেন। কিন্তু সেখানকার প্রকৃতি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চান।
সেরিসের উপরিতলে উজ্জ্বল দুটি চিহ্ন এবং পানির বাষ্পের অস্তিত্ব আছে কি না, তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার (ইএসএ) একাধিক দূরবীক্ষণ যন্ত্রে এসব চিহ্ন গত বছর ধরা পড়ে। ডনের অভিযাত্রা নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে যুক্ত আরেক বিজ্ঞানী ক্যারল র্যা মন্ড বলেন, ২০১৬ সালে অভিযানটি শেষ হলে তাঁরা সেরিস সম্পর্কে বিস্তারিত অনেক কিছু স্পষ্টভাবে জানতে পারবেন। সৌরজগতে ওই বামন গ্রহের উপস্থিতির কারণ ও তাৎপর্যও জানা সম্ভব হবে। ডন সম্ভবত আগামী এপ্রিলের মধ্যেই সেরিসের অন্ধকার অংশের ছবি পাঠাতে পারবে।
সিসিলির (ইতালি) জ্যোতির্বিদ ফাদার জুসেপ্পে পিয়াৎজি ১৮০১ সালে সেরিস আবিষ্কার করেন। তিনি এটিকে গ্রহ বলেই চিহ্নিত করেছিলেন। পরে এটিকে গ্রহাণু এবং আরও পরে বামন গ্রহের মর্যাদা দেওয়া হয়। সেরিস ও ভেস্তা হচ্ছে মঙ্গল ও বৃহস্পতির মাঝামাঝি গ্রহাণুপুঞ্জের মধ্যে সবচেয়ে বড় দুটি মহাজাগতিক কাঠামো।