দাঁত ও হৃদরোগ: মাড়ির মধ্যে জমে থাকা ডেন্টাল প্লাক থেকে সৃষ্ট মাড়ির রোগের (পেরিওডন্টাল ডিজিজ) কারণে যে প্রদাহ হয়, তা রক্তের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়ে হৃদযন্ত্রের সমস্যা তৈরি করতে পারে। মাড়ি ও দাঁতের প্রদাহ থেকে অনেক সময় এন্ডোকার্ডাইটিস, হৃদ্যন্ত্রের ভালভে প্রদাহ ইত্যাদি মারাত্মক সমস্যা হয়।
মস্তিষ্কের রোগ: গবেষকেরা মুখের রোগের সঙ্গে মস্তিষ্কের স্মৃতিভ্রংশ বা আলঝেইমারস রোগের সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন। এ ছাড়া এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে দীর্ঘদিন মাড়ির প্রদাহ থাকলে মস্তিষ্কের বোধশক্তি বা কগনিটিভ কার্যকারিতা লোপ পায়।
ফুসফুসের রোগ: গবেষণায় দেখা যায়, মাড়িতে প্রদাহের জীবাণুগুলো ফুসফুসেও সংক্রামিত হতে পারে এবং প্রদাহ তৈরি করতে পারে।
ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস ও মুখের স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কটি হচ্ছে একটা দ্বিমুখী রাস্তার মতো। ডায়াবেটিসের কারণে মুখের প্রদাহসহ অন্যান্য সমস্যা অতিমাত্রায় বেড়ে যায়। আবার মুখের প্রদাহের কারণে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখা মুশকিল হয়ে পড়ে। তাই দুটো চিকিৎসাই সমানতালে চালিয়ে যাওয়া জরুরি।
অস্টিওপোরোসিস: অস্টিওপোরোসিস রোগ হলে হাড়ের ক্ষয় হয়। একইভাবে দাঁতের ও চোয়ালেরও ক্ষয় হয়। যদি কারও এ রোগ থাকে, তাদের দন্তক্ষয় প্রতিরোধে বাড়তি প্রতিরোধব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
গর্ভকালীন জটিলতা: গবেষণায় দেখা যায়, গর্ভাবস্থায় যাঁদের মাড়ির রোগ বা মাড়ির প্রদাহ থাকে, তাঁদের গর্ভের সন্তান কম ওজন নিয়ে অথবা নির্ধারিত সময়ের আগেই জন্ম নিতে পারে।
মানসিক সমস্যা: আশ্চর্য হলেও সত্যি যে দাঁতের বা মুখের নানা সমস্যা থেকে মানসিক সমস্যাও হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি দাঁতের রোগে ভুগলে সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা: খাদ্য পরিপাক শুরু হয় মুখে। ঠিকমতো খাবার চিবুতে বা পিষতে না পারার কারণে খাবার হজমে সমস্যা হতে পারে। দেখা দিতে পারে অপুষ্টি।
শিশুদের আচরণ ও বিকাশে সমস্যা: শৈশবকাল থেকে দাঁতের সমস্যার কারণে শিশুর বৃদ্ধিপ্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে। দাঁতে ব্যথার ভয়ে শিশুরা সঠিকভাবে চিবুতে পারে না, অপুষ্টির শিকার হয়। তাদের আচরণেও সমস্যা দেখা দিতে পারে