Business news - দেশে তৈরি হয় এমন ওষুধই দ্বিগুণ দামে আমদানি

দেশে তৈরি হয় এমন ওষুধই দ্বিগুণ দামে আমদানি
বাংলাদেশে উত্পাদিত ওষুধ আন্তর্জাতিক মানের হওয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখান থেকে ওষুধ আমদানি করছে। দেশীয় চাহিদা পুরোপুরি মিটিয়ে ওষুধ রফতানি করে বাংলাদেশ প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। অবাক করা খবর হলো: বাংলাদেশে উত্পাদিত হয় এমন অনেক ওষুধই দ্বিগুণ বা তারও বেশি দামে বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে। বিষয়টি দেখার দায়িত্ব যে প্রতিষ্ঠানের সেই ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর চোখ খোলা রেখেও কিছু দেখছে না।  অধিদফতরের এক শীর্ষ কর্মকর্তা নিজের পছন্দের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ওষুধ              আমদানির সুযোগ করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আর এক্ষেত্রে কোন ধরনের নিয়মের তোয়াক্কা করা হচ্ছে না।
জানা গেছে, ২০-২৫টি প্রতিষ্ঠান বিদেশ থেকে ওষুধ আমদানির নামে গণডাকাতি করে আসছে। তারা কোন নিয়ম নীতি মানছে না। দেশে সংকটাপন্ন রোগীদের জীবন রক্ষার্থে কিংবা জটিল রোগ প্রতিরোধে বিদেশি অনেক ওষুধের চাহিদা রয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকরা ব্যবস্থাপত্রে ওইসব বিদেশি ওষুধের নাম দিয়ে থাকেন। বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির নেতারা এর সত্যতা স্বীকার করেন। তাদের মতে, বাংলাদেশে উত্পাদিত একই ওষুধ আমদানি করলে নীতিমালার আলোকে হওয়া উচিত। এই নীতিমালা উপেক্ষা করে আমদানিকারকদের তাদের ইচ্ছানুযায়ী দেয়া মূল্য তালিকায় ওষুধ আমদানি করার অনুমতি দিয়ে থাকে অধিদফতর।
অনুমতি দেয়ার আগে কর্মকর্তারা ঐসব ওষুধের মূল্য যাচাই বাছাই করেন না। এক্ষেত্রে মোটা অংকের উেকাচ প্রদানের রেটের উপর আমদানিকৃত ওষুধের মূল্য নির্ধারিত হয়ে থাকে বলে নেতারা অভিযোগ করেন।
এদিকে দেশীয় অনেক কোম্পানি নিম্নমানের ‘র’ মেটারিয়াল (কাঁচামাল) দিয়ে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তৈরি করে থাকে বলে অভিযোগ করেছেন অধিদফতরের কোন কোন কর্মকর্তা। তাদের মতে, কাঁচামালের গুণগতমানের ওপর ওষুধের গুণগত মান নির্ভর করে। এ কারণে ক্যান্সারসহ অনেক মরণব্যাধি কিংবা জটিল ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীদের জন্য বিদেশি ওষুধ চিকিত্সকরা ব্যবস্থাপত্রে দিয়ে থাকেন- এমন কথাও বলেন কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেছেন, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের শীর্ষ এক কর্মকর্তা ভেজাল, নকল ও ভুয়া ব্র্যান্ডের ওষুধ উত্পাদন নিয়ন্ত্রণ করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন। দুর্নীতি নির্মূলে তিনি উল্লেখযোগ্য কোন পদক্ষেপ নেননি। সমপ্রতি অধিদফতরের এক কর্মকর্তা নকল ওষুধ উত্পাদনে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন।
এদিকে গত জানুয়ারিতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র দেয়া থেকে শুরু করে ওষুধের ছাড়পত্র নবায়ন করা পর্যন্ত ১৩টি খাতে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৫০০ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেন। এতে বলা হয়, ওষুধ উত্পাদনকারী বিশেষ কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অধিদফতরের অনেক কর্মকর্তার অসাধু সম্পর্ক রয়েছে।
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts