এই ভাইরাসটি কোনো একটি কম্পিউটারে আঘাত হানতে পারলে
তা ওই কম্পিউটারে সেভ করা সব গেমস ও ফাইলকে এনক্রিপ্ট করে ফেলার চেষ্টা
করে। এরপর গেমাররা যখনই কোনো গেম খেলতে চান, তখনই ‘মুক্তিপণ চাওয়া বার্তা’
ভেসে ওঠে কম্পিউটারের মনিটরে। ব্যবহারকারী ‘বিটকয়েন’ বা বিশেষ অনলাইন
মুদ্রায় অন্ততপক্ষে ৫০০ ডলার মুক্তিপণ দিলেই কেবল আক্রান্ত গেম বা ফাইল
‘আনলক’ করার ‘চাবি’ সরবরাহ করা হয়।
এই ধরনের ভাইরাসের বিষয়ে
অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই ম্যালওয়্যারটি দেখতে অনেকটা বহুলভাবে
ছড়িয়ে পড়া ক্রিপটোলকার র্যানসমওয়্যারের মতো। তবে, কয়েক বছর ধরে
গেমারদের ব্যাপক যন্ত্রণা দেওয়া ওই ভাইরাসের সঙ্গে কোডের কোনো মিল নেই এবং
সম্ভবত ভিন্ন কোনো সাইবার অপরাধী গোষ্ঠী এটি বানিয়েছে।
অনলাইন
নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ব্রোমিয়ামের গবেষক ভাদিম কোতোভ বলেছেন, একটা
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভাইরাসটি মানুষজনকে শিকার বানাচ্ছে। যাঁরা ওই
ওয়েবসাইট ভিজিট করতে যাচ্ছেন, তাঁরাই এই ভাইরাসের শিকার হতে পারেন। সাইটটি
একটা ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন কোতোভ।