‘এটি
খুবই দ্রুতগতির, সুঠাম, অভিজাত এবং খুবই সুন্দর’ বলেন পরিবেশবাদী সংগঠন
‘রিভারওয়াচের’ উলরিখ আইশেলমান। শুনলে হয়তো মনে হবে তিনি কোন রেসিং কারের
বর্ণনা দিচ্ছেন। তবে উলরিখ বলছিলেন একটি মাছের কথা।
ল্যাটিনে এই মাছটিকে বলা হয়, হুচো হুচো, জার্মানে হুচেন এবং ইংরেজিতে এটি পরিচিত দানিয়ুব স্যামন নামে। কারণ, একসময় দানিয়ুব অববাহিকাজুড়ে এই মাছটি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যেতো।
দানিয়ুব স্যামন আকারে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের সমান হতে পারে এবং ৩০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। তবে বলকান অঞ্চলে এই মাছটির শেষ আবাসস্থল এখন বাঁধ নির্মাণের কারণে হুমকির মুখে।
তবে এখন বলকান অঞ্চলই এই মাছের শেষ আশ্রয়স্থল। স্লোভেনিয়া এবং মন্টেনিগ্রোর উপত্যকার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া আঁঁকাবাঁকা নদী এবং জলপ্রবাহের মাঝেই এখন বসবাস করে দানিয়ুবের এই দানবেরা।
সম্প্রতি ওয়েইসসহ বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন, যেখানে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে যে নতুন বাঁধ নির্মাণের ফলে অনেক মত্স্যপ্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। প্রাকৃতিক জনগোষ্ঠী ধরে রাখার জন্য এই মাছগুলোর প্রচুর জায়গা, দ্রুত বহমান পরিষ্কার পানি এবং খুব নির্দিষ্ট আবাসস্থলের প্রয়োজন।
স্লোভেনিয়া মত্স্যশিকারী সমিতিকে সাথে নিয়ে পরিবেশবিদরা এখন দানিউব স্যামনকে রক্ষা করার জন্য একটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। কৃত্রিমভাবে প্রজনন করে তারা দানিউব স্যামন ছেড়ে দিচ্ছেন বলকান অঞ্চলের নদীগুলোতে।
প্রাকৃতিক পরিবেশে স্যামন কিভাবে প্রজনন করে তা ব্যাখ্যা করছিলেন ওয়েইস। নদীর তলদেশে পছন্দসই একটি জায়গা বেছে নেন স্যামন রাণী, আর তার পাশে খুব যত্নের সাথে অবস্থান নেন রাজা স্যামন। তারপর তারা দুজন মিলে একটি নৃত্য করতে থাকেন, আর সেই নৃত্যের তোড়ে নুড়ি পাথর সরে কিছুটা জায়গা তৈরি হয় ডিম পাড়ার জন্য। এরপরই রাজা স্যামন তার বীজ ছড়িয়ে দেয় পানির তলদেশে একটি মেঘের আকারে।
পুরো
প্রক্রিয়াটি শেষ হলে রাণী স্যামনটি তার লেজ দিয়ে বালির একটি আস্তর তৈরি
করে ডিমের ওপরে। আর প্রায় এক মাস পর জন্ম হয় নতুন মাছের, বলকানের রাজপুত্র ও
রাজকন্যাদের। ল্যাটিনে এই মাছটিকে বলা হয়, হুচো হুচো, জার্মানে হুচেন এবং ইংরেজিতে এটি পরিচিত দানিয়ুব স্যামন নামে। কারণ, একসময় দানিয়ুব অববাহিকাজুড়ে এই মাছটি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যেতো।
দানিয়ুব স্যামন আকারে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের সমান হতে পারে এবং ৩০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। তবে বলকান অঞ্চলে এই মাছটির শেষ আবাসস্থল এখন বাঁধ নির্মাণের কারণে হুমকির মুখে।
তবে এখন বলকান অঞ্চলই এই মাছের শেষ আশ্রয়স্থল। স্লোভেনিয়া এবং মন্টেনিগ্রোর উপত্যকার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া আঁঁকাবাঁকা নদী এবং জলপ্রবাহের মাঝেই এখন বসবাস করে দানিয়ুবের এই দানবেরা।
সম্প্রতি ওয়েইসসহ বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন, যেখানে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে যে নতুন বাঁধ নির্মাণের ফলে অনেক মত্স্যপ্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। প্রাকৃতিক জনগোষ্ঠী ধরে রাখার জন্য এই মাছগুলোর প্রচুর জায়গা, দ্রুত বহমান পরিষ্কার পানি এবং খুব নির্দিষ্ট আবাসস্থলের প্রয়োজন।
স্লোভেনিয়া মত্স্যশিকারী সমিতিকে সাথে নিয়ে পরিবেশবিদরা এখন দানিউব স্যামনকে রক্ষা করার জন্য একটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। কৃত্রিমভাবে প্রজনন করে তারা দানিউব স্যামন ছেড়ে দিচ্ছেন বলকান অঞ্চলের নদীগুলোতে।
প্রাকৃতিক পরিবেশে স্যামন কিভাবে প্রজনন করে তা ব্যাখ্যা করছিলেন ওয়েইস। নদীর তলদেশে পছন্দসই একটি জায়গা বেছে নেন স্যামন রাণী, আর তার পাশে খুব যত্নের সাথে অবস্থান নেন রাজা স্যামন। তারপর তারা দুজন মিলে একটি নৃত্য করতে থাকেন, আর সেই নৃত্যের তোড়ে নুড়ি পাথর সরে কিছুটা জায়গা তৈরি হয় ডিম পাড়ার জন্য। এরপরই রাজা স্যামন তার বীজ ছড়িয়ে দেয় পানির তলদেশে একটি মেঘের আকারে।