নাগরিক ব্যস্ততায় ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে দৌড়ায় জীবন। কর্মজীবীরা তো ঘরের কাজ, বাইরের কাজ করে রোজকার রান্নায় হাঁপিয়েই ওঠেন। গৃহিণীরাও নিজের জন্য রাখতে পারেন না কোনো সময়। একটু গুছিয়ে কাজ করলে এ ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় সহজেই। ইচ্ছে করলেই অর্ধেক রান্না করে ফেলতে পারেন কোনো কোনো খাবার। তাতে করে প্রতিদিনের রান্নার ঝামেলা কমে যায় অনেকখানি। অতিথি এলে রান্নাঘরে হুড়োহুড়ি না করে সময় নিয়ে আড্ডা দেওয়া যায়।
খাবার অর্ধেক
তৈরির প্রসঙ্গে রান্নাবিদ সিতারা ফিরদৌস দিয়েছেন নানা পরামর্শ। তিনি
জানালেন, প্রতিদিনের রান্নার ঝামেলা কমাতে কিংবা রান্নার কাজ সহজ করতে কিছু
কিছু খাবার ‘হাফ ডান’ করেই রাখা যায়। এতে সময় বাঁচে। স্বস্তি পাওয়া যায়।
যেমন ধরুন, আপনি জানেন, দুই দিন পর বাসায় অতিথি আসবেন, সে জন্য আগে থেকেই
তৈরি করে রাখতে পারেন কিছু নাশতা। পুরি, শিঙাড়া, সমুচা, কাবাব, চপ, নাগেটস
ইত্যাদি খাবার আগে বানিয়ে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিলে অতিথিদের ঝটপট ভেজে সসের
সঙ্গে পরিবেশন করা যায়। যদি ঘরে বানানো সম্ভব না হয়, তবে সুপারশপ থেকে
কিনে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন। প্রতিদিন বিকেলের নাশতা নিয়ে
ভাবতে হয়, ইচ্ছে করলে এই খাবারগুলো বিকেলের নাশতায় দিতে পারেন। আবার
নুডলস, ছোলা এগুলো সেদ্ধ করে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। কিছু সবজি মিশিয়ে
প্রয়োজনমতো ভেজে দিতে পারেন। এতে করে খাবার তৈরি করাটাকে আপনার ঝামেলা
মনে হবে না।
এ তো গেল নাশতার কথা। প্রতিদিনের রান্না? এ ব্যাপারে সিতারা ফিরদৌস মনে করেন, কাজের ঝক্কি কমানোর জন্য মাছ-মাংস ইচ্ছে করলেই এক-দুই দিন আগে ম্যারিনেট করে রাখা যায়। কিছুটা হলুদ-মরিচ-লবণ দিয়ে মাংস সেদ্ধ করে ফ্রিজে রেখে দিলে রান্না করার সময় শুধু তা একটু কষিয়ে কিংবা ভেজে নিলেই হয়। রুচিমতো কেউ কেউ সয়াসস, অয়েস্টার সসও ব্যবহার করেন। ভাজা কিংবা রান্নার জন্য মাছ-মাংস এভাবে নানা রকম সস দিয়ে ম্যারিনেট করে রেখে দেওয়া যায় দু-তিন দিন। আর শাকসবজির ক্ষেত্রে শাকগুলো কুটে-ধুয়ে লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে বায়ুরোধী পাত্রে রাখা যায়। রান্নার আগে নামিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে রান্না করা যায়। সবজির ক্ষেত্রেও ঠিক এমন। একটু হলুদ-লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে বাক্স ভর্তি করে রাখা যায়। আবার ইচ্ছে করলে তাড়াহুড়ো এড়ানোর জন্য সবজিগুলো আগের দিন রাতে কেটে বাক্সে ভরে রাখা যায়। তাহলে রান্নার আগে কাটা-ধোয়ার ঝামেলা এড়ানো যায়। একটা পাত্রে কিছু পেঁয়াজ কেটে ঢেকে রেখে দিতে পারেন দু-তিন দিনের জন্য। পেঁয়াজ কাটা থাকলে রান্না এগিয়ে যায় অনেকখানি। এভাবে একটু বুদ্ধি করে রান্নার কাজ গুছিয়ে রাখলে প্রতিদিনের রান্নাটাকে খুব কষ্টকর মনে হবে না।
খাবার খাওয়ার দু-এক দিন আগে থেকে তা মোটামুটি তৈরি করে রাখা, এমনকি সবজি পর্যন্তও। এতে কি খাবারের পুষ্টিগুণ যথার্থ থাকে? এমন প্রশ্ন জাগতে পারে মনে। এ ব্যাপারে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ আখতারুন্নাহার বলেন, ‘যখন খাব তখন রান্না করাটা তো সবচেয়ে ভালো। তবে এখনকার জীবনযাত্রায় নানা কাজের চাপে কিংবা গৃহকর্মে সহায়তাকারীর অভাবে আমাদের অনেককেই খাবারটা এ রকম হাফ ডান করে রাখতে হয়। কিছু কিছু খাবার ইচ্ছে করলেই আমরা আগে তৈরি করে রেখে দিতে পারি। যেমন নানা রকম নাশতা।’
আখতারুন্নাহার আরেকটা বিষয়ে গুরুত্ব দিলেন। তা হলো, আমরা অনেকেই রান্না করে বেশি দিনের জন্য ফ্রিজে রেখে খাই। এটা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। ফ্রিজে রাখা খাবারের মান দুই থেকে তিন দিন ভালো থাকে। আরও বেশি দিনের জন্য সংরক্ষণ করার প্রয়োজন হলে ডিপ ফ্রিজে রাখতে হবে খাবার।
সেদ্ধ করে রাখার ক্ষেত্রে খাবার কয়েকটি বাটিতে ভাগ করে রাখা ভালো। একবারে বড় বাটি থেকে চামচ দিয়ে কয়েকবার খাবার বের করা ঠিক নয়। দিন অনুযায়ী কয়েকটি বাটি রাখুন। তাতে পুষ্টিমান ঠিক থাকে। যদি সাত-আট দিন রাখতে চান, তবে ডিপ ফ্রিজে রেখেও রান্না করা যায়। এতেও পুষ্টির তেমন হেরফের হবে না।
এ তো গেল নাশতার কথা। প্রতিদিনের রান্না? এ ব্যাপারে সিতারা ফিরদৌস মনে করেন, কাজের ঝক্কি কমানোর জন্য মাছ-মাংস ইচ্ছে করলেই এক-দুই দিন আগে ম্যারিনেট করে রাখা যায়। কিছুটা হলুদ-মরিচ-লবণ দিয়ে মাংস সেদ্ধ করে ফ্রিজে রেখে দিলে রান্না করার সময় শুধু তা একটু কষিয়ে কিংবা ভেজে নিলেই হয়। রুচিমতো কেউ কেউ সয়াসস, অয়েস্টার সসও ব্যবহার করেন। ভাজা কিংবা রান্নার জন্য মাছ-মাংস এভাবে নানা রকম সস দিয়ে ম্যারিনেট করে রেখে দেওয়া যায় দু-তিন দিন। আর শাকসবজির ক্ষেত্রে শাকগুলো কুটে-ধুয়ে লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে বায়ুরোধী পাত্রে রাখা যায়। রান্নার আগে নামিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে রান্না করা যায়। সবজির ক্ষেত্রেও ঠিক এমন। একটু হলুদ-লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে বাক্স ভর্তি করে রাখা যায়। আবার ইচ্ছে করলে তাড়াহুড়ো এড়ানোর জন্য সবজিগুলো আগের দিন রাতে কেটে বাক্সে ভরে রাখা যায়। তাহলে রান্নার আগে কাটা-ধোয়ার ঝামেলা এড়ানো যায়। একটা পাত্রে কিছু পেঁয়াজ কেটে ঢেকে রেখে দিতে পারেন দু-তিন দিনের জন্য। পেঁয়াজ কাটা থাকলে রান্না এগিয়ে যায় অনেকখানি। এভাবে একটু বুদ্ধি করে রান্নার কাজ গুছিয়ে রাখলে প্রতিদিনের রান্নাটাকে খুব কষ্টকর মনে হবে না।
খাবার খাওয়ার দু-এক দিন আগে থেকে তা মোটামুটি তৈরি করে রাখা, এমনকি সবজি পর্যন্তও। এতে কি খাবারের পুষ্টিগুণ যথার্থ থাকে? এমন প্রশ্ন জাগতে পারে মনে। এ ব্যাপারে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ আখতারুন্নাহার বলেন, ‘যখন খাব তখন রান্না করাটা তো সবচেয়ে ভালো। তবে এখনকার জীবনযাত্রায় নানা কাজের চাপে কিংবা গৃহকর্মে সহায়তাকারীর অভাবে আমাদের অনেককেই খাবারটা এ রকম হাফ ডান করে রাখতে হয়। কিছু কিছু খাবার ইচ্ছে করলেই আমরা আগে তৈরি করে রেখে দিতে পারি। যেমন নানা রকম নাশতা।’
আখতারুন্নাহার আরেকটা বিষয়ে গুরুত্ব দিলেন। তা হলো, আমরা অনেকেই রান্না করে বেশি দিনের জন্য ফ্রিজে রেখে খাই। এটা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। ফ্রিজে রাখা খাবারের মান দুই থেকে তিন দিন ভালো থাকে। আরও বেশি দিনের জন্য সংরক্ষণ করার প্রয়োজন হলে ডিপ ফ্রিজে রাখতে হবে খাবার।
সেদ্ধ করে রাখার ক্ষেত্রে খাবার কয়েকটি বাটিতে ভাগ করে রাখা ভালো। একবারে বড় বাটি থেকে চামচ দিয়ে কয়েকবার খাবার বের করা ঠিক নয়। দিন অনুযায়ী কয়েকটি বাটি রাখুন। তাতে পুষ্টিমান ঠিক থাকে। যদি সাত-আট দিন রাখতে চান, তবে ডিপ ফ্রিজে রেখেও রান্না করা যায়। এতেও পুষ্টির তেমন হেরফের হবে না।