চাকচিক্যে
ভরা রুপালি জগতের বাসিন্দারা কখনোই বিষণ্নতায় ভুগতে পারেন না—প্রচলিত এমন
ধারণা ভুল প্রমাণ করে নিজের জীবনের বিষণ্নতার গল্প শোনালেন বলিউডের অন্যতম
জনপ্রিয় তারকা অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। গত বছরের শুরুর দিকে বিষণ্নতায়
আক্রান্ত হওয়ায় সবকিছু অর্থহীন মনে হচ্ছিল বলেই জানিয়েছেন তিনি। অবশ্য
নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করে বিষণ্নতাকে কাটিয়ে উঠতে পেরেছিলেন বলেও জানিয়েছেন ২৯
বছর বয়সী দীপিকা।
২০১৩ সাল ছিল দীপিকার ক্যারিয়ারের দারুণ সফল একটি
বছর। সে বছর ‘ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’, ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ এবং ‘গোলিও
কি রাসলীলা: রাম-লীলা’র মতো বক্স অফিস কাঁপানো ছবি উপহার দিয়ে সবাইকে তাক
লাগিয়ে দেন দীপিকা। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৪ সালের শুরু থেকেই একের পর
এক পুরস্কার জয় করতে থাকেন তিনি।
ক্যারিয়ারের এমন সুবর্ণ সময় পার
করলেও, হঠাৎ করেই বিষণ্নতা ভর করে দীপিকার ওপর। সবকিছু অর্থহীন মনে হতে
থাকে তাঁর কাছে। সম্প্রতি এনডিটিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটিই
জানিয়েছেন দীপিকা, তাঁর মা উজালা পাড়ুকোন ও দীপিকার চিকিৎসক।
দীপিকা
তাঁর বিষণ্নতার গল্প শোনাতে গিয়ে বলেন, ‘এর শুরুটা হয়েছিল গত বছরের ১৫
ফেব্রুয়ারি। সকালে ঘুম থেকে উঠেই সবকিছু শূন্য মনে হলো। অথচ সে সময় ২০১৩
সালের কাজের জন্য একের পর এক পুরস্কার জয় করছিলাম আমি। এমন দারুণ এক সময়ে
আমি কেন বিষণ্ন, তা নিয়ে হয়তো সবার মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে। কিন্তু সত্যিই
ভেতর ভেতর কেমন যেন এক ধরনের অবনমিত অনুভূতি কাজ করছিল। মনে হলো, এই বুঝি
কাঁদতে শুরু করব আমি।’
দীপিকা আরও বলেন, ‘ধীরে ধীরে অবস্থাটা এমন
হলো যে, কখনো ভালো অনুভব করি, আবার কখনো কখনো ভীষণ অবনমিত অনুভূতি কাজ করে
নিজের ভেতর। আশপাশে মানুষ থাকলে মাঝে-মধ্যে হয়তো ভালো লাগত, তবে সব সময়
নয়।’ কান্নাভেজা কণ্ঠে দীপিকা এও বলেন, ‘প্রায়ই ঘুম থেকে ওঠার পর নিজেকে
খুব ক্লান্ত মনে হতো। ঘুম থেকে জাগতে ইচ্ছে হতো না। দিনের পর দিন বিছানায়
শুয়ে ঘুমিয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুই করতে ইচ্ছে হতো না।’