শরীরের
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ চালনা নিয়ন্ত্রিত করে মন, যার মধ্যে রয়েছে রক্তমাংসের
হাতও। কিন্তু এমনটা কি শুনেছেন যে কৃত্রিম রোবটিক হাতকেও মানুষের মন দ্বারা
নিয়ন্ত্রণ করা যায়? অবাক করার মতো হলেও এরকম অসাধ্য সাধন করেছেন ইউরোপের
একদল চিকিৎসক ও প্রকৌশলী।
বুধবার
চিকিৎসা বিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেট-এ গবেষণাবিষয়ক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
সেখানে গবেষকরা দাবি করেছেন, দুর্ঘটনার কারণে অকেজো হয়ে যাওয়া হাতের স্থানে
‘বায়োনিক হাত’ প্রতিস্থাপন করে রোগীদের মন দ্বারা সেটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
গবেষকরা
নয় মাস আগে দুর্ঘটনায় হাত হারানো তিন অস্ট্রেলিয়ানের হাতে বায়োনিক হাত
স্থাপন করেন। এখন তারা কৃত্রিম হাত দিয়ে দৈনন্দিন কাজকর্ম, জিনিসপত্র
উঠানো, পানি পান করা, চাবি ব্যবহার ও বোতাম লাগানোর কাজ করতে পারেন।
প্রফেসর
অস্কার অজম্যান জানান, আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন হলো রোবটিক হাতে স্নায়বিক
সংকেত উদ্দীপিত করা। আর এই সংকেত কৃত্রিম হাতকে কাজ করার জন্য উপযোগী করে
তোলে।
প্রযুক্তি
উদ্ভাবনে কাজ করা ড. স্টিফেন স্যালমিঙ্গার বলেছেন, এটি বৈধ চিকিৎসা। তবে
এটি নির্ভর করে রোগীর মানসিকতার উপর। আমরা কাউকে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে
জোর করতে পারি না। রোগীদের জন্য এটা বড় বিষয় যে তারা এটা গ্রহণ করার জন্য
তৈরি কিনা।
গত বছর একজন ডেনিশ রোগী বায়োনিক হাত গ্রহণ করেছিলেন। তিনি টেক্সচার ও বস্তুর আকৃতি অনুভব করতে পারতেন।