দেশে
চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্বেও রেমিট্যান্স প্রবাহের ধারা ভাল থাকায়
বৈদেশিক মুদ্রার মজুদে আবারো নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। দেশের ইতিহাসে
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ২৩ বিলিয়ন (২ হাজার তিনশ’ কোটি
মার্কিন ডলার) অতিক্রম করেছে।
বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ নতুন এ মাইলফলক ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের
বর্তমান রিজার্ভ সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। রফতানি আয়
বৃদ্ধি ও রেমিট্যান্স প্রবাহের ইতিবাচক ধারা, বিদেশ থেকে কর্পোরেট ঋণ গ্রহণ
এবং কাঙ্ক্ষিত হারে আমদানি ব্যয় না হওয়া রিজার্ভ বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে
বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
এ
বিষয়ে ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের
মহাব্যবস্থাপক কাজী ছাইদুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার দিন শেষে রিজার্ভ ২
হাজার ৩০৫ কোটি ডলারের ঘর অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের
মতো রিজার্ভ এ মাইল ফলক অতিক্রম করেছে। তিনি বলেন, এ রিজার্ভ দিয়ে সাত
মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। তবে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু)
পরবর্তী আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভের পরিমাণ কিছুটা কমে যেতে পারে
বলেও আশঙ্কা করেন তিনি।
এর
আগে, ২০১৪ সালের ৭ মে রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ১৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে।
এরপর একের পর এক রেকর্ড অর্জন করতে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ। একই
বছরের ১৯ ডিসেম্বর বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয় ১৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। পরে
২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। একই বছরের ১০
এপ্রিল রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন, ১৬ এপ্রিল রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন এবং ৭ আগস্ট ২২
বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। রিজার্ভের দিক দিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে
ভারতের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান।