Lifestyle news - স্মার্টফোনে আসক্তি কমানোর উপায়

বিখ্যাত গ্রাফিতিশিল্পী ব্যাঙ্কসির আঁকা ‘মোবাইল লাভার্স’ নামের এই দেয়ালচিত্রে আধুনিক মানুষদের স্মার্টফোনে আসক্তিকে বিষয় করা হয়েছে।
স্মার্টফোনে আসক্তি এখন পরিবার ও সামাজিক পরিসর, এমনকি কর্মক্ষেত্রেও সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। আড্ডা তো বটেই, কাজের আলাপের সময়ও কারও কারও চোখ পড়ে থাকে স্মার্টফোনে! চারপাশে কী হচ্ছে, সেসবে যেন খেয়াল করেন না তাঁরা। প্রাত্যহিক কিছু চর্চার মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে এই স্মার্টফোনে আসক্তি কমিয়ে আনা সম্ভব। এ বিষয়ে সিএনএন অবলম্বনে এক চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীর কিছু পরামর্শ তুলে ধরা হলো।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্মার্টফোনের এই আসক্তি অনেকটাই সংক্রামক। কোনো ঘরে বা কোনো আড্ডায় কেউ একজন হাতে স্মার্টফোন তুলে নিলে দ্রুতই অন্যরাও একে একে হাতে নিয়ে তাতে নজর বুলাতে শুরু করেন। চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী ক্যাথেরিন স্টাইনার-অ্যাডায়ার সিএনএনকে বলেন, অনেক মানুষেরই কিছুক্ষণ পরপর স্মার্টফোন চেক করার বাতিক আছে। প্রতিটি নোটিফিকেশন, লাইক, কমেন্ট এসব যেন তাঁদের মস্তিষ্কে একটা আনন্দ সংবাদের মতো প্রতিক্রিয়া করে এবং তাঁরা উদগ্রীব হয়ে ফোন দেখতে শুরু করেন।

স্মার্টফোনে আসক্তি কমানোর জন্য নিয়মিত কিছু চর্চার জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ:
১. প্রয়োজনীয় কথাবার্তার বাইরে স্মার্টফোনে সামাজিক যোগাযোগের জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে নেওয়া। ধরা যাক, রাতের খাবারের পর ১৫ মিনিট।
২. বাড়িতে কিছু ‘স্ক্রিন-মুক্ত এলাকা’ তৈরি করা, যেখানে কেউই স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট ইত্যাদি নিয়ে মেতে থাকতে পারবেন না।
৩. স্মার্টফোনে ব্যয় করার সময়টুকু শিশুদের সঙ্গে কাটানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া, শিশুদের সময় দেওয়া।
৪. যেসব কাজ শিগগিরই শেষ করতে হবে, তার একটা তালিকা কাগজে লিখে রাখুন। কাগজটি স্মার্টফোনের সঙ্গে রেখে দিন, যাতে ফোন তুলতে গেলেই ওই কাজের তালিকায় চোখ যায়।
৫. অনলাইনে শেয়ার করতে হবে এমন লেখালেখিগুলো অফলাইন থাকা অবস্থাতেই শেষ করে নিন।
৬. অপ্রয়োজনীয় সব নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখুন, বিশেষ প্রয়োজন থাকলে ব্যতিক্রমের তালিকা আপডেট করে কেবল তাঁদের নোটিফিকেশনই চালু রাখুন।
৭. নির্দিষ্ট কাজের সময়গুলোর জন্য টাইমার সেট করে রেখে বিরক্তিকর অ্যাপসগুলোর অ্যাকসেস ও নোটিফিকেশন অফ করে রাখুন।
৮. ‘মোমেন্ট’-এর মতো কোনো একটা অ্যাপস ডাউনলোড করে নিন, যা আপনাকে দিনে কতবার ফোন তুলে নিচ্ছেন তা মনে করিয়ে দেবে এবং আপনাকে এই কাজে নিরুৎসাহিত করবে।
৯. আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, আপনাকে ‘একঘেয়ে লাগা’ ও ‘ভালো না লাগা’র মতো অনুভূতিগুলোর সঙ্গেও কিছুটা সময় মানিয়ে চলতে শিখতে হবে, এসবে অভ্যস্ত হতে হবে।
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts