শিশুরা
দল বেঁধে পড়তে যায়। বিদ্যালয় বা স্কুলে দিনের অনেকটা সময় কাটে তাদের।
শিক্ষক-শিক্ষিকা ও সহপাঠী বন্ধুদের সঙ্গে ভাব-বিনিময় আর কখনো খেলার ছলে
হরেক বিষয় শিখে নেয় তারা। শ্রেণিকক্ষ বা ক্লাসরুমটা তাদের মনের মতো হওয়া
চাই। তাই সেখানে সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে পড়াশোনায়
আনন্দের পাশাপাশি সাফল্যও পাওয়া যাবে। যুক্তরাজ্যের একদল গবেষক এ পরামর্শ
দিয়েছেন।
ম্যানচেস্টারে অবস্থিত স্যালফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বলা হয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ সুন্দর করে সাজানো থাকলে শিশুদের পড়াশোনায় ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। পড়াশোনার জায়গাটার বিন্যাস, নির্মাণকৌশল ও সাজসজ্জা শিশুদের ওপর তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলে। পড়া, লেখা ও গণিতে তাদের দক্ষতা বাড়াতে হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সার্বিক পরিবেশের প্রতি কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের মনোযোগী হওয়া উচিত।
গবেষকেরা আরও বলেন, শ্রেণিকক্ষে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক আলো ও তাপমাত্রা এবং বাতাসের গুণমান নিশ্চিত করাটা গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি স্থানটির স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য থাকা ভালো। সামগ্রিকভাবে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা এবং আয়তন গুরুত্বপূর্ণ হলেও সেগুলো শিশুদের ওপর শ্রেণিকক্ষের তুলনায় কম প্রভাব ফেলে।
যুক্তরাজ্যের ওই গবেষকেরা বৈচিত্র্যময় ২৭টি বিদ্যালয়ের ১৫৩টি শ্রেণিকক্ষের ওপর তিন বছর ধরে জরিপ চালান। তাঁরা বলেন, শিশুদের পড়াশোনায় অর্জিত ফলাফলে বিভিন্নতার ১৬ শতাংশ কারণের ব্যাখ্যা পাওয়া যায় শ্রেণিকক্ষের বাহ্যিক বা গঠন-বৈশিষ্ট্য থেকে। জরিপে ৩ হাজার ৭৬৬টি শিশুর এক বছরের ফলাফল ও অগ্রগতি বিবেচনায় নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় গড়পড়তা ফলাফল থেকে শুরু করে আকর্ষণীয় সাফল্য অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা রয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনটির প্রধান লেখক অধ্যাপক পিটার ব্যারেট বলেন, শ্রেণিকক্ষের সুন্দর নকশা তৈরির ক্ষেত্রে তিনটি প্রভাবক বা বৈশিষ্ট্য গুরুত্বপূর্ণ। আর এগুলো হচ্ছে স্বাতন্ত্র্য, উদ্দীপনা ও স্বাভাবিকতা। এই তিনটি গুণ থাকলে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা সফল হবে। শেষের গুণটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বাতাসের গুণগত মান, আলো ও তাপমাত্রার স্বাভাবিকতা বজায় থাকলে ফল ভালো হওয়ার ক্ষেত্রে অর্ধেক পথ এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা নিশ্চিত হয়ে যায়।
অধ্যাপক ব্যারেট আরও বলেন, মানুষ আসলে একটি প্রাণী। আর তাদের মস্তিষ্ক বা মন সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশে স্বভাবতই ভালো সাড়া দেয়। কেবল শ্রেণিকক্ষের নকশাটাই শিশুদের পড়াশোনার ওপর বিদ্যালয়ের অন্যান্য গুণের চেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করে। ব্যাপারটা প্রথম জানতে পেরে তাঁরা বেশ বিস্মিত হন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটা শিশুর জন্য শ্রেণিকক্ষটাই একটা জগতের সমতুল্য। তাই যখন বিদ্যালয়ের নকশা করা হয়, প্রতিটি শ্রেণিকক্ষকেই কার্যকরভাবে গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। তা না হলে গোটা উদ্দেশ্যটাই ব্যাহত হতে পারে। শ্রেণিকক্ষের সামগ্রিক পরিবেশ বা রূপটাকে উদ্দীপনার উৎস হিসেবে তৈরি করতে হবে। দেয়াল থেকে শুরু করে আসবাব ও অন্যান্য উপকরণ হবে আকর্ষণীয় ও মনোমুগ্ধকর।
যুক্তরাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষাবিষয়ক জাতীয় সমিতির প্রতিনিধি জন কো বলেন, অধ্যাপক ব্যারেটের গবেষণা প্রতিবেদনটি ‘চাঙা করে দেওয়ার মতো’। এতে স্পষ্ট যে, শিশুদের উদ্দেশে শিক্ষক যা যা বলেন, সেগুলো যথেষ্ট নয়। বিদ্যালয়ে গিয়ে অর্জিত গোটা অভিজ্ঞতাটাই গুরুত্বপূর্ণ। এই গবেষণা শিশুদের নিজস্ব মনোজগতের দিকে সবার নজর ফিরিয়ে দিচ্ছে। তারা শুধু একেকটি সংখ্যা নয়, একেকজন ব্যক্তিমানুষ। তাই শিশুদের ভালোর জন্য আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত।
ম্যানচেস্টারে অবস্থিত স্যালফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বলা হয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ সুন্দর করে সাজানো থাকলে শিশুদের পড়াশোনায় ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। পড়াশোনার জায়গাটার বিন্যাস, নির্মাণকৌশল ও সাজসজ্জা শিশুদের ওপর তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলে। পড়া, লেখা ও গণিতে তাদের দক্ষতা বাড়াতে হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সার্বিক পরিবেশের প্রতি কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের মনোযোগী হওয়া উচিত।
গবেষকেরা আরও বলেন, শ্রেণিকক্ষে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক আলো ও তাপমাত্রা এবং বাতাসের গুণমান নিশ্চিত করাটা গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি স্থানটির স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য থাকা ভালো। সামগ্রিকভাবে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা এবং আয়তন গুরুত্বপূর্ণ হলেও সেগুলো শিশুদের ওপর শ্রেণিকক্ষের তুলনায় কম প্রভাব ফেলে।
যুক্তরাজ্যের ওই গবেষকেরা বৈচিত্র্যময় ২৭টি বিদ্যালয়ের ১৫৩টি শ্রেণিকক্ষের ওপর তিন বছর ধরে জরিপ চালান। তাঁরা বলেন, শিশুদের পড়াশোনায় অর্জিত ফলাফলে বিভিন্নতার ১৬ শতাংশ কারণের ব্যাখ্যা পাওয়া যায় শ্রেণিকক্ষের বাহ্যিক বা গঠন-বৈশিষ্ট্য থেকে। জরিপে ৩ হাজার ৭৬৬টি শিশুর এক বছরের ফলাফল ও অগ্রগতি বিবেচনায় নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় গড়পড়তা ফলাফল থেকে শুরু করে আকর্ষণীয় সাফল্য অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা রয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনটির প্রধান লেখক অধ্যাপক পিটার ব্যারেট বলেন, শ্রেণিকক্ষের সুন্দর নকশা তৈরির ক্ষেত্রে তিনটি প্রভাবক বা বৈশিষ্ট্য গুরুত্বপূর্ণ। আর এগুলো হচ্ছে স্বাতন্ত্র্য, উদ্দীপনা ও স্বাভাবিকতা। এই তিনটি গুণ থাকলে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা সফল হবে। শেষের গুণটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বাতাসের গুণগত মান, আলো ও তাপমাত্রার স্বাভাবিকতা বজায় থাকলে ফল ভালো হওয়ার ক্ষেত্রে অর্ধেক পথ এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা নিশ্চিত হয়ে যায়।
অধ্যাপক ব্যারেট আরও বলেন, মানুষ আসলে একটি প্রাণী। আর তাদের মস্তিষ্ক বা মন সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশে স্বভাবতই ভালো সাড়া দেয়। কেবল শ্রেণিকক্ষের নকশাটাই শিশুদের পড়াশোনার ওপর বিদ্যালয়ের অন্যান্য গুণের চেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করে। ব্যাপারটা প্রথম জানতে পেরে তাঁরা বেশ বিস্মিত হন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটা শিশুর জন্য শ্রেণিকক্ষটাই একটা জগতের সমতুল্য। তাই যখন বিদ্যালয়ের নকশা করা হয়, প্রতিটি শ্রেণিকক্ষকেই কার্যকরভাবে গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। তা না হলে গোটা উদ্দেশ্যটাই ব্যাহত হতে পারে। শ্রেণিকক্ষের সামগ্রিক পরিবেশ বা রূপটাকে উদ্দীপনার উৎস হিসেবে তৈরি করতে হবে। দেয়াল থেকে শুরু করে আসবাব ও অন্যান্য উপকরণ হবে আকর্ষণীয় ও মনোমুগ্ধকর।
যুক্তরাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষাবিষয়ক জাতীয় সমিতির প্রতিনিধি জন কো বলেন, অধ্যাপক ব্যারেটের গবেষণা প্রতিবেদনটি ‘চাঙা করে দেওয়ার মতো’। এতে স্পষ্ট যে, শিশুদের উদ্দেশে শিক্ষক যা যা বলেন, সেগুলো যথেষ্ট নয়। বিদ্যালয়ে গিয়ে অর্জিত গোটা অভিজ্ঞতাটাই গুরুত্বপূর্ণ। এই গবেষণা শিশুদের নিজস্ব মনোজগতের দিকে সবার নজর ফিরিয়ে দিচ্ছে। তারা শুধু একেকটি সংখ্যা নয়, একেকজন ব্যক্তিমানুষ। তাই শিশুদের ভালোর জন্য আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত।