শিশুর
খাওয়া নিয়ে বায়নাক্কার শেষ নেই। মা-বাবা এ নিয়ে চিন্তিতও থাকেন বেশ। শিশুর
ইচ্ছার সঙ্গে মিলিয়ে তাকে খাওয়ানো অনেক সময় কষ্টসাধ্যই। স্কুলের টিফিন
হলে তো কথাই নেই। মা-বাবা দুজনেই মিলে ভাবেন, শিশু স্কুলে গিয়ে কী খাবে?
ঢাকার ওয়াইডব্লিউসিএ উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নার্সারির ছাত্রী ফারিজাহের মা-বাবারও এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। তাঁদের কথা, ‘ফারিজাহ যেসব খাবার খেতে পছন্দ করে, সেগুলো জাঙ্ক ফুড। আমরা চাই না ও সেগুলো প্রতিদিন টিফিন হিসেবে নিয়ে যাক। নিত্যনতুন খাবার বাসা থেকে বানিয়ে দিলেও তেমন একটা খায় না। কী করব বুঝতে পারি না।’
সাদমান পড়ে ঢাকার সেন্ট জুডস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের কেজি ওয়ানে। সাদমানের মা সাবিহা সুলতানার কাছ থেকে জানা গেল ওর পছন্দ চিপস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, জুস—এসব খাবার। আর এগুলো বাসায় তৈরি করে দিলেও খায় না। বেশির ভাগ সময় দোকান থেকে টিফিন কিনে দিতে হয়। আর পছন্দসই খাবার না দিলে তো সাদমান নাকি টিফিন বক্স খুলেই দেখে না। সাদমানের বাবা মশিউর রহমানও একই কথা বললেন। তিনি সাদমানকে বেশির ভাগ দিন স্কুলে নিয়ে যান। ফলে কী টিফিন নিল তা জেনে নেন। কিন্তু স্কুলে যাওয়ার পথে সাদমান বাইরের খাবারের জন্য বায়না করে।
ঢাকার বারডেম জেনারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ আখতারুন নাহার আলোর সঙ্গে কথা হয় এ বিষয়ে। তিনি বলেন, শিশুদের বোঝাতে হবে যেন বাইরের খাবার না খায়। এসব খাবারের অপকারিতা সম্পর্কে ওদের জানাতে হবে। বাইরের খাবার কিনে না দিয়ে বরং ঘরেই বাইরের খাবারের মতো টিফিন তৈরি করে দিতে হবে। মা-বাবার উচিত নয় বাইরের খাবারের সঙ্গে ওকে পরিচিত করানো। মাঝেমধ্যেই বাইরে খেতে যাওয়ার অভ্যাস বা শিশু বায়না করলেই বাইরের খাবার কিনে দেওয়া ঠিক নয়। স্কুলে শিশুকে টিফিন খাওয়ার জন্য টাকা দেওয়া ঠিক নয়। এতে সে বাইরের খাবার কেনার প্রতি উৎসাহী হবে।
বিভিন্নভাবে খাবার সাজিয়ে শিশুদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুললে শিশুরা পুষ্টিকর খাবারও খেতে চাইবে। স্যান্ডউইচের চেহারাটায় গাজর, টমেটো আর মটরশুঁটি দিয়ে চোখ, নাক, মুখ বানিয়ে দিতে পারেন। নুডলসে সবজি দিয়ে হাসিমুখ বানিয়ে দিন। অথবা পাউরুটিতে ঘরে বানানো জেলি লাগিয়ে তিন বা চারকোনা করে কেটে ঘরের আকৃতি দিতে পারেন। ঘরেই ফলের রস তৈরি করুন স্বাস্থ্যসম্মত রেসিপি দেখে। আপনার সন্তানের পছন্দ অনুযায়ী এমন সব চমৎকার আইডিয়া তো আপনিই বের করে ফেলতে পারেন। শুধু টিফিনেই না, বিকেলের নাশতাও এভাবে সাজিয়ে দিন তাদের।
অনেক মা অভিযোগ করেন, শিশুরা সবজি খেতে চায় না। এ ক্ষেত্রে আখতারুন নাহার কিছু পরামর্শ দিলেন, সবজি খেতে না চাইলে সবজি সেদ্ধ করে চটকিয়ে বড়া ভেজে দিলে বা নুডলসে মিশিয়ে দিলে বাচ্চারা পছন্দ করবে। মাংসের বদলে বার্গারের রুটির ভেতর সবজির চপ বানিয়ে দেওয়া যেতে পারে। তবে কোনো রান্নাতেই অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আর নুডলসে স্বাদলবণ (টেস্টিং সল্ট) ও সয়া সস ব্যবহার না করে একদম সাধারণভাবে রান্না করে তাদের খাওয়ানোর অভ্যাস করাতে হবে প্রথম থেকেই। কেননা, টেস্টিং সল্ট ও সয়া সস শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর।
যেসব শিশু মিষ্টিজাতীয় খাবার পছন্দ করে তাদের জন্য আখতারুন নাহার বললেন, গাজরের হালুয়া করে তা জেলির বিকল্প হিসেবে পাউরুটিতে লাগিয়ে টিফিন তৈরি করা যেতে পারে।
ঢাকার ওয়াইডব্লিউসিএ উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নার্সারির ছাত্রী ফারিজাহের মা-বাবারও এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। তাঁদের কথা, ‘ফারিজাহ যেসব খাবার খেতে পছন্দ করে, সেগুলো জাঙ্ক ফুড। আমরা চাই না ও সেগুলো প্রতিদিন টিফিন হিসেবে নিয়ে যাক। নিত্যনতুন খাবার বাসা থেকে বানিয়ে দিলেও তেমন একটা খায় না। কী করব বুঝতে পারি না।’
সাদমান পড়ে ঢাকার সেন্ট জুডস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের কেজি ওয়ানে। সাদমানের মা সাবিহা সুলতানার কাছ থেকে জানা গেল ওর পছন্দ চিপস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, জুস—এসব খাবার। আর এগুলো বাসায় তৈরি করে দিলেও খায় না। বেশির ভাগ সময় দোকান থেকে টিফিন কিনে দিতে হয়। আর পছন্দসই খাবার না দিলে তো সাদমান নাকি টিফিন বক্স খুলেই দেখে না। সাদমানের বাবা মশিউর রহমানও একই কথা বললেন। তিনি সাদমানকে বেশির ভাগ দিন স্কুলে নিয়ে যান। ফলে কী টিফিন নিল তা জেনে নেন। কিন্তু স্কুলে যাওয়ার পথে সাদমান বাইরের খাবারের জন্য বায়না করে।
ঢাকার বারডেম জেনারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ আখতারুন নাহার আলোর সঙ্গে কথা হয় এ বিষয়ে। তিনি বলেন, শিশুদের বোঝাতে হবে যেন বাইরের খাবার না খায়। এসব খাবারের অপকারিতা সম্পর্কে ওদের জানাতে হবে। বাইরের খাবার কিনে না দিয়ে বরং ঘরেই বাইরের খাবারের মতো টিফিন তৈরি করে দিতে হবে। মা-বাবার উচিত নয় বাইরের খাবারের সঙ্গে ওকে পরিচিত করানো। মাঝেমধ্যেই বাইরে খেতে যাওয়ার অভ্যাস বা শিশু বায়না করলেই বাইরের খাবার কিনে দেওয়া ঠিক নয়। স্কুলে শিশুকে টিফিন খাওয়ার জন্য টাকা দেওয়া ঠিক নয়। এতে সে বাইরের খাবার কেনার প্রতি উৎসাহী হবে।
বিভিন্নভাবে খাবার সাজিয়ে শিশুদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুললে শিশুরা পুষ্টিকর খাবারও খেতে চাইবে। স্যান্ডউইচের চেহারাটায় গাজর, টমেটো আর মটরশুঁটি দিয়ে চোখ, নাক, মুখ বানিয়ে দিতে পারেন। নুডলসে সবজি দিয়ে হাসিমুখ বানিয়ে দিন। অথবা পাউরুটিতে ঘরে বানানো জেলি লাগিয়ে তিন বা চারকোনা করে কেটে ঘরের আকৃতি দিতে পারেন। ঘরেই ফলের রস তৈরি করুন স্বাস্থ্যসম্মত রেসিপি দেখে। আপনার সন্তানের পছন্দ অনুযায়ী এমন সব চমৎকার আইডিয়া তো আপনিই বের করে ফেলতে পারেন। শুধু টিফিনেই না, বিকেলের নাশতাও এভাবে সাজিয়ে দিন তাদের।
অনেক মা অভিযোগ করেন, শিশুরা সবজি খেতে চায় না। এ ক্ষেত্রে আখতারুন নাহার কিছু পরামর্শ দিলেন, সবজি খেতে না চাইলে সবজি সেদ্ধ করে চটকিয়ে বড়া ভেজে দিলে বা নুডলসে মিশিয়ে দিলে বাচ্চারা পছন্দ করবে। মাংসের বদলে বার্গারের রুটির ভেতর সবজির চপ বানিয়ে দেওয়া যেতে পারে। তবে কোনো রান্নাতেই অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আর নুডলসে স্বাদলবণ (টেস্টিং সল্ট) ও সয়া সস ব্যবহার না করে একদম সাধারণভাবে রান্না করে তাদের খাওয়ানোর অভ্যাস করাতে হবে প্রথম থেকেই। কেননা, টেস্টিং সল্ট ও সয়া সস শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর।
যেসব শিশু মিষ্টিজাতীয় খাবার পছন্দ করে তাদের জন্য আখতারুন নাহার বললেন, গাজরের হালুয়া করে তা জেলির বিকল্প হিসেবে পাউরুটিতে লাগিয়ে টিফিন তৈরি করা যেতে পারে।