মার্কিন
মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (নাসা) বিজ্ঞানীরা কেপলার স্পেস টেলিস্কোপের
সাহায্যে আমাদের সৌরজগতের বাইরে আটটি নতুন গ্রহ শনাক্ত করেছেন। এদের মধ্যে
দুটির গঠন-বৈশিষ্ট্য পৃথিবীর সঙ্গে অনেকটাই মেলে বলে তাঁরা দাবি করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের সিয়াটলে আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির ২২৫তম সম্মেলনে নাসার ওই বিজ্ঞানীরা নতুন গ্রহগুলোর ব্যাপারে গত মঙ্গলবার বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেছেন। সেগুলো নিজ নিজ নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে।
সৌরজগতের বাইরে মানুষের বসবাসের উপযোগী পরিবেশসমৃদ্ধ গ্রহের খোঁজে বিজ্ঞানীরা বহুদিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছেন। নতুন আটটি গ্রহের মধ্যে দুটির পৃষ্ঠতল কঠিন এবং পাথুরে। আর তাদের অবস্থানও নিকটতম নক্ষত্র থেকে ততটাই দূরে, যতটা হলে পরিবেশ খুব বেশি গরম বা খুব বেশি ঠান্ডা না হয় এবং তরল পানির প্রাপ্যতা এবং প্রাণের উপস্থিতি থাকার সম্ভাবনা বাড়ে।
কেপলার সায়েন্স অফিসের জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ফার্গ্যাল মুলালি বলেন, পৃথিবীর একটি ‘যমজ গ্রহ’ অনুসন্ধানের চেষ্টায় তাঁরা সাফল্যের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন।
নাসার গ্রহ অনুসন্ধানী কেপলার অভিযানে ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত আমাদের সৌরজগতের বাইরে অন্তত দেড় লাখ নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি কেপলার টেলিস্কোপের শনাক্ত করা হাজারতম গ্রহটির অস্তিত্ব যাচাই করে দেখেছেন। অচেনা এসব সৌরজগৎ ও গ্রহের ব্যাপারে গবেষকদের একটি বড় দল বাড়তি তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাঁরা গ্রহগুলো কত বড় এবং নিজের নক্ষত্রের কতটা কাছাকাছি অবস্থান করছে, ইত্যাদি জানার চেষ্টা করছেন।
নাসার এক বিবৃতিতে বলা হয়, নতুন গ্রহগুলোর মধ্যে তিনটির অবস্থান সেগুলোর নক্ষত্র থেকে অনুকূল দূরত্বের মধ্যেই আছে। আর সেগুলোর মধ্যে দুটি পাথরের তৈরি, অনেকটা পৃথিবীর মতোই।
পৃথিবীর বাইরে একই রকম বৈশিষ্ট্যের কোনো গ্রহে মানুষের জীবনধারণের উপযোগী পরিবেশ পাওয়ার ধারণাটি সব সময়ই কৌতূহল তৈরি করে। এই সৌরজগতের বাইরে নতুন দুটি গ্রহের ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা আরও বিশদভাবে জানার চেষ্টা করবেন। প্রথমটির নাম কেপলার-ফোরথার্টিএইটবি। এটি পৃথিবী থেকে ৪৭০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত, নিজের নক্ষত্রকে প্রতি ৩৫ দিনে একবার প্রদক্ষিণ করে। গ্রহটির ব্যাস পৃথিবীর চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি। সেখানকার পৃষ্ঠতল পাথুরে হওয়ার সম্ভাবনা ৭০ শতাংশ বলে গবেষকেরা জানিয়েছেন।
দ্বিতীয় গ্রহটির নাম কেপলার-ফোরফোর্টিটুবি। এটির আকার পৃথিবীর চেয়ে এক-তৃতীয়াংশ বেশি। পৃথিবী থেকে দূরত্ব ১ হাজার ১০০ আলোকবর্ষ। নিজের নক্ষত্রকে একবার প্রদক্ষিণ করতে ১১২ দিন সময় নেয়। সেখানেও পাথুরে পরিবেশ থাকার সম্ভাবনা বেশি। আর দুটি গ্রহের তাপমাত্রাই পৃথিবীর চেয়ে কিছুটা বেশি হতে পারে। হার্ভার্ড-স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিকসের গবেষক ডেভিড কিপিং বলেন, ওই দুটি গ্রহের মধ্যে কোনোটি সত্যি সত্যিই মানুষের বসবাসের উপযোগী কি না, এখনো নিশ্চিত নয়। শুধু বলা যায়, সে রকম সম্ভাবনা রয়েছে।
দূরবীক্ষণযন্ত্র বা টেলিস্কোপের সাহায্যে রাতের আকাশে অনুজ্জ্বল অনেক বিন্দু দেখা গেলেও সেগুলোর সবই যে গ্রহ, তা নয়। মুলালি বলেন, নতুন গ্রহগুলোর ব্যাপারে আরও পর্যবেক্ষণ চালিয়ে হয়তো দেখা যাবে এর মধ্যে কোনো কোনোটি গ্রহ না-ও হতে পারে। এ জন্যই সেগুলোর ব্যাপারে আরও স্পষ্টভাবে জানা জরুরি। আর মানুষের বসবাসের উপযোগিতা যাচাই করতে হলে দেখতে হবে এসব গ্রহে মহাসাগর ও মাছ আছে কি না, গাছপালা ও মহাদেশ আছে কি না। পাশাপাশি গ্রহগুলো নিজ নিজ নক্ষত্র থেকে কী পরিমাণ শক্তি পাচ্ছে, সে ব্যাপারেও জানতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের সিয়াটলে আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির ২২৫তম সম্মেলনে নাসার ওই বিজ্ঞানীরা নতুন গ্রহগুলোর ব্যাপারে গত মঙ্গলবার বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেছেন। সেগুলো নিজ নিজ নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে।
সৌরজগতের বাইরে মানুষের বসবাসের উপযোগী পরিবেশসমৃদ্ধ গ্রহের খোঁজে বিজ্ঞানীরা বহুদিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছেন। নতুন আটটি গ্রহের মধ্যে দুটির পৃষ্ঠতল কঠিন এবং পাথুরে। আর তাদের অবস্থানও নিকটতম নক্ষত্র থেকে ততটাই দূরে, যতটা হলে পরিবেশ খুব বেশি গরম বা খুব বেশি ঠান্ডা না হয় এবং তরল পানির প্রাপ্যতা এবং প্রাণের উপস্থিতি থাকার সম্ভাবনা বাড়ে।
কেপলার সায়েন্স অফিসের জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ফার্গ্যাল মুলালি বলেন, পৃথিবীর একটি ‘যমজ গ্রহ’ অনুসন্ধানের চেষ্টায় তাঁরা সাফল্যের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন।
নাসার গ্রহ অনুসন্ধানী কেপলার অভিযানে ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত আমাদের সৌরজগতের বাইরে অন্তত দেড় লাখ নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি কেপলার টেলিস্কোপের শনাক্ত করা হাজারতম গ্রহটির অস্তিত্ব যাচাই করে দেখেছেন। অচেনা এসব সৌরজগৎ ও গ্রহের ব্যাপারে গবেষকদের একটি বড় দল বাড়তি তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাঁরা গ্রহগুলো কত বড় এবং নিজের নক্ষত্রের কতটা কাছাকাছি অবস্থান করছে, ইত্যাদি জানার চেষ্টা করছেন।
নাসার এক বিবৃতিতে বলা হয়, নতুন গ্রহগুলোর মধ্যে তিনটির অবস্থান সেগুলোর নক্ষত্র থেকে অনুকূল দূরত্বের মধ্যেই আছে। আর সেগুলোর মধ্যে দুটি পাথরের তৈরি, অনেকটা পৃথিবীর মতোই।
পৃথিবীর বাইরে একই রকম বৈশিষ্ট্যের কোনো গ্রহে মানুষের জীবনধারণের উপযোগী পরিবেশ পাওয়ার ধারণাটি সব সময়ই কৌতূহল তৈরি করে। এই সৌরজগতের বাইরে নতুন দুটি গ্রহের ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা আরও বিশদভাবে জানার চেষ্টা করবেন। প্রথমটির নাম কেপলার-ফোরথার্টিএইটবি। এটি পৃথিবী থেকে ৪৭০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত, নিজের নক্ষত্রকে প্রতি ৩৫ দিনে একবার প্রদক্ষিণ করে। গ্রহটির ব্যাস পৃথিবীর চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি। সেখানকার পৃষ্ঠতল পাথুরে হওয়ার সম্ভাবনা ৭০ শতাংশ বলে গবেষকেরা জানিয়েছেন।
দ্বিতীয় গ্রহটির নাম কেপলার-ফোরফোর্টিটুবি। এটির আকার পৃথিবীর চেয়ে এক-তৃতীয়াংশ বেশি। পৃথিবী থেকে দূরত্ব ১ হাজার ১০০ আলোকবর্ষ। নিজের নক্ষত্রকে একবার প্রদক্ষিণ করতে ১১২ দিন সময় নেয়। সেখানেও পাথুরে পরিবেশ থাকার সম্ভাবনা বেশি। আর দুটি গ্রহের তাপমাত্রাই পৃথিবীর চেয়ে কিছুটা বেশি হতে পারে। হার্ভার্ড-স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিকসের গবেষক ডেভিড কিপিং বলেন, ওই দুটি গ্রহের মধ্যে কোনোটি সত্যি সত্যিই মানুষের বসবাসের উপযোগী কি না, এখনো নিশ্চিত নয়। শুধু বলা যায়, সে রকম সম্ভাবনা রয়েছে।
দূরবীক্ষণযন্ত্র বা টেলিস্কোপের সাহায্যে রাতের আকাশে অনুজ্জ্বল অনেক বিন্দু দেখা গেলেও সেগুলোর সবই যে গ্রহ, তা নয়। মুলালি বলেন, নতুন গ্রহগুলোর ব্যাপারে আরও পর্যবেক্ষণ চালিয়ে হয়তো দেখা যাবে এর মধ্যে কোনো কোনোটি গ্রহ না-ও হতে পারে। এ জন্যই সেগুলোর ব্যাপারে আরও স্পষ্টভাবে জানা জরুরি। আর মানুষের বসবাসের উপযোগিতা যাচাই করতে হলে দেখতে হবে এসব গ্রহে মহাসাগর ও মাছ আছে কি না, গাছপালা ও মহাদেশ আছে কি না। পাশাপাশি গ্রহগুলো নিজ নিজ নক্ষত্র থেকে কী পরিমাণ শক্তি পাচ্ছে, সে ব্যাপারেও জানতে হবে।