আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল
ছিলেন গিটারশিল্পী। বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রায় সব সংগীতশিল্পীর সঙ্গে গিটার
বাজিয়েছেন। তিনি যে গান লিখছেন, সুর করছেন তা অনেকেই জানতেন না। তত দিনে
তাঁর লেখা আর সুর করা গানের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এবার শিল্পীদের দিয়ে
গাওয়াতে হবে। সত্তর দশকের গোড়ার দিকের সব জনপ্রিয় শিল্পীই তাঁকে চেনেন।
কিন্তু তাঁর গান গাওয়ার জন্য কাকে বলবেন? শেষ পর্যন্ত সাহস করে একদিন
সাবিনা ইয়াসমিনের বাসায় যান। তাঁকে কয়েকটি গান শোনান। গান শুনে তো সাবিনা
ইয়াসমিন মুগ্ধ। কদিন পরই বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে ডাক পেলেন আহমেদ ইমতিয়াজ
বুলবুল। সাবিনা ইয়াসমিনের একক গানের অনুষ্ঠান হবে। ওই অনুষ্ঠানের সব কটি
গান হবে তাঁর লেখা আর সুর করা।
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের ভাষায়, ‘ওই অনুষ্ঠানের দুটি গান এখনো খুব জনপ্রিয়, ও মাঝি নাও ছাইড়া দে আর ও আমার মন কান্দে। বাকি গানগুলো মরে গেছে। আরেকটা কথা, গীতিকার ও সুরকার হিসেবে বিটিভিতে ওটাই ছিল আমার প্রথম অনুষ্ঠান।’
১৯৭৬ সালে ‘সাবিনা ইয়াসমিনের একক গানের অনুষ্ঠান’ বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার হওয়ার পর রাতারাতি পরিচিতি পেয়ে যান আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। বাইরে বের হলেই সবাই তাঁকে ঘিরে ধরে। তখন তাঁর মুখে ছিল দাড়ি। সবার চোখকে ফাঁকি দিতে একসময় দাড়ি ফেলে দেন।
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল বললেন, ‘ওই অনুষ্ঠানে সাবিনা ইয়াসমিনের পাশে বসে আমি গিটার বাজিয়েছিলাম। ফলে পরে সবাই আমাকে চিনে ফেলে। তখন সবাই আমাকে দাড়িওয়ালা বুলবুল নামে চিনতেন।’
এরপর তিনি দেশের গান নিয়েই বেশি কাজ করেছেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুরোধে প্রতিবছর একটা করে অনুষ্ঠান করতেন। আর পুরো অনুষ্ঠানটিই ছিল দেশের গান নিয়ে। এভাবেই তাঁর দেশের গানের একটা বড় সংগ্রহ তৈরি হয়। আর বেশির ভাগই দারুণ জনপ্রিয়। এই যেমন ‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’, ‘ও মাঝি নাও ছাইড়া দে’, ‘সুন্দর সুবর্ণ তারুণ্য লাবণ্য’, ‘একাত্তরের মা জননী’, ‘সেই রেললাইনের ধারে’, ‘একতারা লাগে না আমার’, ‘উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম’, ‘মাগো আর তোমাকে ঘুমপাড়ানি মাসি হতে দেব না’, ‘একদিন ঘুম ভেঙে দেখি’।
চলচ্চিত্রে তাঁর টার্নিং পয়েন্ট ১৯৭৮ সালে। ছবির নাম নয়নের আলো। পরিচালক বেলাল আহমেদ। আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল বললেন, ‘ওই ছবির সব কটি গান এখনো সমান জনপ্রিয়।’
নয়নের আলো ছবির গানগুলো হলো ‘আমার বুকের মধ্যিখানে’, ‘আমার সারা দেহ’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান’, ‘আমি তোমার দুটি চোখে’, ‘এই আছি এই নাই’।
এ পর্যন্ত প্রায় তিন শ ছবির গান লিখেছেন, সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। বললেন, ‘দেশের গানের সংখ্যা ৫০টি। চলচ্চিত্রে ১৮০০ গানের হিসাব পাই। অ্যালবামেও তো গান করেছি। এই গানের সংখ্যা ২১০টি।’
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের ভাষায়, ‘ওই অনুষ্ঠানের দুটি গান এখনো খুব জনপ্রিয়, ও মাঝি নাও ছাইড়া দে আর ও আমার মন কান্দে। বাকি গানগুলো মরে গেছে। আরেকটা কথা, গীতিকার ও সুরকার হিসেবে বিটিভিতে ওটাই ছিল আমার প্রথম অনুষ্ঠান।’
১৯৭৬ সালে ‘সাবিনা ইয়াসমিনের একক গানের অনুষ্ঠান’ বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার হওয়ার পর রাতারাতি পরিচিতি পেয়ে যান আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। বাইরে বের হলেই সবাই তাঁকে ঘিরে ধরে। তখন তাঁর মুখে ছিল দাড়ি। সবার চোখকে ফাঁকি দিতে একসময় দাড়ি ফেলে দেন।
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল বললেন, ‘ওই অনুষ্ঠানে সাবিনা ইয়াসমিনের পাশে বসে আমি গিটার বাজিয়েছিলাম। ফলে পরে সবাই আমাকে চিনে ফেলে। তখন সবাই আমাকে দাড়িওয়ালা বুলবুল নামে চিনতেন।’
এরপর তিনি দেশের গান নিয়েই বেশি কাজ করেছেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুরোধে প্রতিবছর একটা করে অনুষ্ঠান করতেন। আর পুরো অনুষ্ঠানটিই ছিল দেশের গান নিয়ে। এভাবেই তাঁর দেশের গানের একটা বড় সংগ্রহ তৈরি হয়। আর বেশির ভাগই দারুণ জনপ্রিয়। এই যেমন ‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’, ‘ও মাঝি নাও ছাইড়া দে’, ‘সুন্দর সুবর্ণ তারুণ্য লাবণ্য’, ‘একাত্তরের মা জননী’, ‘সেই রেললাইনের ধারে’, ‘একতারা লাগে না আমার’, ‘উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম’, ‘মাগো আর তোমাকে ঘুমপাড়ানি মাসি হতে দেব না’, ‘একদিন ঘুম ভেঙে দেখি’।
চলচ্চিত্রে তাঁর টার্নিং পয়েন্ট ১৯৭৮ সালে। ছবির নাম নয়নের আলো। পরিচালক বেলাল আহমেদ। আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল বললেন, ‘ওই ছবির সব কটি গান এখনো সমান জনপ্রিয়।’
নয়নের আলো ছবির গানগুলো হলো ‘আমার বুকের মধ্যিখানে’, ‘আমার সারা দেহ’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান’, ‘আমি তোমার দুটি চোখে’, ‘এই আছি এই নাই’।
এ পর্যন্ত প্রায় তিন শ ছবির গান লিখেছেন, সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। বললেন, ‘দেশের গানের সংখ্যা ৫০টি। চলচ্চিত্রে ১৮০০ গানের হিসাব পাই। অ্যালবামেও তো গান করেছি। এই গানের সংখ্যা ২১০টি।’