বিশ্বের
সবচেয়ে দ্রুতগামী মোটরগাড়ি তৈরির পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার কাজ
শুরু হয়েছে। গাড়িটির নাম ব্লাডহাউন্ড। নকশা অনুযায়ী এটির কাঠামো সংযোজন
করছেন যুক্তরাজ্যের ব্রিস্টলের একদল প্রকৌশলী। তাঁদের আশা, মোটরগাড়িটি
আগামী আগস্ট মাসে একটি বিমানবন্দরে ধীরগতিতে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো সম্ভব
হবে।
ওই পরীক্ষা সফল হলে ব্লাডহাউন্ডকে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঠানো হবে। সেখানে এটি স্থলভূমিতে সবচেয়ে দ্রুতগামী যানের বর্তমান রেকর্ড (ঘণ্টায় ১ হাজার ২২৮ কিলোমিটার গতি) ভাঙতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। গাড়িটি চালাবেন উইং কমান্ডার অ্যান্ডি গ্রিন। তিনিই ১৯৯৭ সালে টুইট-জেট থার্স্ট সুপার সনিক কার (এসএসসি) চালিয়ে বর্তমান রেকর্ডটি গড়েন। ওই মোটরগাড়িতে জেট বিমানের দুটি ইঞ্জিন যুক্ত ছিল। তবে ব্লাডহাউন্ডে আরও উন্নত বায়ুগতিবিদ্যার প্রয়োগ ঘটানো হয়েছে। এতে যুক্ত রয়েছে একটি ইউরোফাইটার জেট ইঞ্জিন এবং একটি রকেট। যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান এই মোটরগাড়ি নিয়ে কাজ করছে। ফলে এতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সন্নিবেশ নিশ্চিত হয়েছে। যেমন গাড়িটির সামনের তীক্ষ্ণ যে নাকটি রয়েছে, তা ত্রিমাত্রিক (থ্রিডি) প্রযুক্তিতে তৈরি।
ব্লাডহাউন্ড প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে প্রায় ৭০০টি স্বতন্ত্র উপাদান তৈরি করা হচ্ছে। আর নির্মাণ শেষ হওয়া উপাদানগুলো প্রতিদিন এনে রাখা হচ্ছে অ্যাভনমাউথ কারিগরি কেন্দ্রে। ওপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে কার্বন-তন্তুর তৈরি বিভিন্ন অংশের সমন্বয়ে গঠিত কাঠামো। পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবারের মতো এগুলো সংযোজন করা হয়েছে।
গাড়িটি রেকর্ড গতিতে চলার সময় সামনের অংশের উপরিতলকে প্রচুর ভার নিতে হবে, যার পরিমাণ প্রতি বর্গমিটারে প্রায় ১১ টন। গাড়ির সামনের নাকের মতো অংশটির চাকায় চলন্ত অবস্থায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা ও ব্যাটারি রাখা হয়েছে। এ ছাড়া গাড়িটিতে রয়েছে নাইট্রোজেনের ট্যাংক, যা রকেটে আগুন ধরে যাওয়ার পর জারক পদার্থ নিষ্কাশন করবে।
ব্লাডহাউন্ড প্রকল্পটি বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে। তবে যুক্তরাজ্য সরকার এতে উল্লেখযোগ্য সহায়তা করছে।
গাড়িটি কেন এত দ্রুতগতিতে চলবে—সেই ব্যাখ্যা দিয়ে গবেষকেরা বলছেন, সাড়ে সাত টন ওজনের ব্লাডহাউন্ডের ইঞ্জিনগুলো ফর্মুলা ওয়ান কার রেসিংয়ের সব কটি মোটরগাড়ির সম্মিলিত শক্তির চেয়ে ছয় গুণ বেশি শক্তি উৎপাদন করতে পারে। ব্লাডহাউন্ড তৈরির ক্ষেত্রে মোটরগাড়ি এবং বিমান তৈরির প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটানো হয়েছে। গাড়িটির সামনের অংশের অর্ধেক হচ্ছে রেসিং কারের মতো কার্বন-তন্তুর মনোকক। আর পেছনের অর্ধেক হলো উড়োজাহাজের মতো একটি ধাতব কাঠামো।
ওই পরীক্ষা সফল হলে ব্লাডহাউন্ডকে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঠানো হবে। সেখানে এটি স্থলভূমিতে সবচেয়ে দ্রুতগামী যানের বর্তমান রেকর্ড (ঘণ্টায় ১ হাজার ২২৮ কিলোমিটার গতি) ভাঙতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। গাড়িটি চালাবেন উইং কমান্ডার অ্যান্ডি গ্রিন। তিনিই ১৯৯৭ সালে টুইট-জেট থার্স্ট সুপার সনিক কার (এসএসসি) চালিয়ে বর্তমান রেকর্ডটি গড়েন। ওই মোটরগাড়িতে জেট বিমানের দুটি ইঞ্জিন যুক্ত ছিল। তবে ব্লাডহাউন্ডে আরও উন্নত বায়ুগতিবিদ্যার প্রয়োগ ঘটানো হয়েছে। এতে যুক্ত রয়েছে একটি ইউরোফাইটার জেট ইঞ্জিন এবং একটি রকেট। যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান এই মোটরগাড়ি নিয়ে কাজ করছে। ফলে এতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সন্নিবেশ নিশ্চিত হয়েছে। যেমন গাড়িটির সামনের তীক্ষ্ণ যে নাকটি রয়েছে, তা ত্রিমাত্রিক (থ্রিডি) প্রযুক্তিতে তৈরি।
ব্লাডহাউন্ড প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে প্রায় ৭০০টি স্বতন্ত্র উপাদান তৈরি করা হচ্ছে। আর নির্মাণ শেষ হওয়া উপাদানগুলো প্রতিদিন এনে রাখা হচ্ছে অ্যাভনমাউথ কারিগরি কেন্দ্রে। ওপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে কার্বন-তন্তুর তৈরি বিভিন্ন অংশের সমন্বয়ে গঠিত কাঠামো। পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমবারের মতো এগুলো সংযোজন করা হয়েছে।
গাড়িটি রেকর্ড গতিতে চলার সময় সামনের অংশের উপরিতলকে প্রচুর ভার নিতে হবে, যার পরিমাণ প্রতি বর্গমিটারে প্রায় ১১ টন। গাড়ির সামনের নাকের মতো অংশটির চাকায় চলন্ত অবস্থায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা ও ব্যাটারি রাখা হয়েছে। এ ছাড়া গাড়িটিতে রয়েছে নাইট্রোজেনের ট্যাংক, যা রকেটে আগুন ধরে যাওয়ার পর জারক পদার্থ নিষ্কাশন করবে।
ব্লাডহাউন্ড প্রকল্পটি বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে। তবে যুক্তরাজ্য সরকার এতে উল্লেখযোগ্য সহায়তা করছে।
গাড়িটি কেন এত দ্রুতগতিতে চলবে—সেই ব্যাখ্যা দিয়ে গবেষকেরা বলছেন, সাড়ে সাত টন ওজনের ব্লাডহাউন্ডের ইঞ্জিনগুলো ফর্মুলা ওয়ান কার রেসিংয়ের সব কটি মোটরগাড়ির সম্মিলিত শক্তির চেয়ে ছয় গুণ বেশি শক্তি উৎপাদন করতে পারে। ব্লাডহাউন্ড তৈরির ক্ষেত্রে মোটরগাড়ি এবং বিমান তৈরির প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটানো হয়েছে। গাড়িটির সামনের অংশের অর্ধেক হচ্ছে রেসিং কারের মতো কার্বন-তন্তুর মনোকক। আর পেছনের অর্ধেক হলো উড়োজাহাজের মতো একটি ধাতব কাঠামো।