এই মঙ্গল অভিযান প্রকল্পের প্রধান সুজানা লুকারোতি লেটুস চারা মঙ্গলে পাঠানোর কারণ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অন্য কোনো গ্রহে বাস করতে গেলে আমাদের সেখানে খাদ্য উৎপাদন করতে হবে। কেউই এই কাজ আগে করেনি। এটা আমরাই প্রথমে করতে চাই।’
লেটুসের চারা মঙ্গলে পৌঁছানোর পর সেটি অ্যালুমিনিয়াম ও পলিকারবোনেট গ্রিনহাউসে বেড়ে উঠবে। মঙ্গলে মানুষ গেলে যেখানে যাবে বলে ধারণা করা হয়, সেখানেই এই চারা রোপণ করা হবে।
মঙ্গলে সূর্যতাপ পৃথিবীর চেয়ে প্রায় অর্ধেক। এখানে দিনও পৃথিবীর চেয়ে ৪০ মিনিট দীর্ঘ। অর্থাৎ এসব লেটুস চারা একটি মেঘাচ্ছন্ন শীতের দিনে যতটা তাপ পাওয়া যায় তাই পাবে। লেটুস উৎপাদনে এই তাপ যথেষ্ট। লেটুস জন্মানোর পর এগুলোকে পুড়িয়ে ফেলা হবে। কোনো জৈব বস্তু মঙ্গলে নেই, সেটি নিশ্চিত করতেই এভাবে পোড়ানো হবে লেটুস।
মঙ্গলে পাঠানোর জন্য লেটুসকে বেছে নেওয়ার কারণ এই প্রজাতি নিয়ে ব্যাপক গবেষণা হয়েছে। এটি খাওয়া যায়, এটিও একটি কারণ। এটি পাঠানোও যথেষ্ট সহজ। পৃথিবীর মতো মহাশূন্যের কঠিন পরিবেশে লেটুস সফলভাবে উৎপাদনও করা হয়েছে।
নভোযানে লেটুসের বীজ পাঠানো হবে। মঙ্গলে পৌঁছানোর পর সেখান থেকে বীজ থেকে অঙ্কুরোদ্গম ঘটবে। মঙ্গলে লেটুস পাঠানোর প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা বলছেন, ভ্রমণপথে টিকে থাকার মতো যথেষ্ট শক্তিশালী লেটুসের বীজ। তবে কোন তাপমাত্রায় বীজ টিকতে পারে এ-সংক্রান্ত পর্যাপ্ত তথ্য নেই।
সাদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পেস ফ্লাইট সোসাইটির একদল ছাত্র এই প্রকল্পটি পরিচালনা করছে।