মধ্যবর্তী পরীক্ষামূলক যান (আইএক্সভি):
ইএসএর ফ্রেন্স গায়ানার উৎক্ষেপণ প্যাড কউরু থেকে ভেগা উৎক্ষেপণকারী যানের সাহায্যে উৎক্ষেপণ
৩২০ কিমি ওপরে উৎক্ষেপণকারী যান থেকে বিচ্ছিন্ন হবে
৪৫০ কিমি উচ্চতায় ঘণ্টায় ২৫ হাজার কিমি ভ্রমণ করবে
নিয়ন্ত্রণ নজেল
ঘণ্টায় ২৭ হাজার কিমি গতিবেগে ভ্রমণের পর ১২০ কিমি ওপর থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসার পথে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে
বায়ুমণ্ডলে নিয়ন্ত্রণ অংশ খুলে যাবে
নিয়ন্ত্রিত অবতরণের জন্য ২৬ কিমি ওপরে থাকতে প্যারাস্যুট খুলে যাবে
প্রশান্ত মহাসাগরে অবতরণ করবে এবং বেলুন এটিকে ভাসিয়ে রাখবে
ইএসএর ফ্রেন্স গায়ানার উৎক্ষেপণ প্যাড কউরু থেকে ভেগা উৎক্ষেপণকারী যানের সাহায্যে উৎক্ষেপণ
৩২০ কিমি ওপরে উৎক্ষেপণকারী যান থেকে বিচ্ছিন্ন হবে
৪৫০ কিমি উচ্চতায় ঘণ্টায় ২৫ হাজার কিমি ভ্রমণ করবে
নিয়ন্ত্রণ নজেল
ঘণ্টায় ২৭ হাজার কিমি গতিবেগে ভ্রমণের পর ১২০ কিমি ওপর থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসার পথে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে
বায়ুমণ্ডলে নিয়ন্ত্রণ অংশ খুলে যাবে
নিয়ন্ত্রিত অবতরণের জন্য ২৬ কিমি ওপরে থাকতে প্যারাস্যুট খুলে যাবে
প্রশান্ত মহাসাগরে অবতরণ করবে এবং বেলুন এটিকে ভাসিয়ে রাখবে
দৈর্ঘ্য: ৫ মিটার
উচ্চতা: ১.৫ মিটার
প্রস্থ: ২.২ িমটার
ওজন: ২ টন
উচ্চতা: ১.৫ মিটার
প্রস্থ: ২.২ িমটার
ওজন: ২ টন
ইউরোপের মহাকাশ সংস্থা (ইএসএ) গাড়ি আকারের একটি মনুষ্যবিহীন
মহাকাশযানের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। পাখাবিহীন এই যানটি
ভবিষ্যতে পুনরায় ব্যবহারের উপযোগী করে নকশা করা হয়েছে। ‘মধ্যবর্তী
পরীক্ষামূলক যান (আইএক্সভি)’ নামে মহাকাশযানটির উৎক্ষেপণ করা হবে।
আগামীকাল বুধবার আন্তর্জাতিক মান সময় ১৩টায় ফ্রেন্স গায়ানার ইএসএর স্পেস প্যাড কউরু থেকে ভেগা রকেটে করে মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করা হবে। পাঁচ মিটার লম্বা এই যানটির ওজন দুই টন।
উৎক্ষেপণের ১৮ মিনিট পর ভূপৃষ্ঠের ৩২০ কিলোমিটার ওপরে উৎক্ষেপণযান থেকে এটি বিচ্ছিন্ন হবে। শব্দের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি গতিতে এটি ৪৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত যাবে।
তারপর আবার পৃথিবীতে ফিরে আসবে। প্রশান্ত মহাসাগরে নামার সময় গতি কমানোর জন্য এটি প্যারাস্যুট ব্যবহার করবে। পরে বিশ্লেষণের জন্য এটিকে একটি জাহাজ উদ্ধার করবে।
আইএক্সভির প্রকল্প ব্যবস্থাপক জিওরগই টিউমিনো বলেন, ‘এর মাধ্যমে আমরা মহাকাশে যেতে সক্ষম, কক্ষপথে অবস্থানে সক্ষম এবং কক্ষপথ থেকে ফিরে আসতে সক্ষম হব। এটিই মহাকাশবিজ্ঞানের সবচেয়ে জটিল অংশ।’
টিউমিনো আরও বলেন, ‘যানটিতে ইনফারেড ক্যামেরাসহ তিন শতাধিক ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। প্রথম উড্ডয়নেই এটি এমন কিছু তথ্য সরবরাহ করবে, যা সম্বন্ধে আমরা এখনো জানি না এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে এর ভবিষ্যদ্বাণীও করা যাবে না। এ জন্য আমাদের উড্ডয়ন অভিজ্ঞতার প্রয়োজন।
এ সময় এই উদ্ভাবনী নকশার সঙ্গে বিশ্বাসযোগ্যতা এবং পরিকল্পিত কৌশলের মিল থাকবে বলে বিজ্ঞানীরা প্রত্যাশা করছেন।
মহাকাশশিল্পে কোনো মহাকাশযানের পৃথিবীতে ফিরে আসাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করা হয়। ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে মহাকাশযান কলম্বিয়া পৃথিবীতে ফিরে আসার সময় বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে ব্যর্থ হয় এবং যানটি বিধ্বস্ত হলে এর আরোহী নয়জন মহাকাশচারী মারা যান।
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে সংঘর্ষের কারণে মহাকাশযানের গতি কমে এবং এর উপরিভাগের তাপমাত্রা প্রচণ্ড বৃদ্ধি পায়। ফিরে আসার সময় মহাকাশযানের অবতরণের মাপজোখ যদি মাত্রাতিরিক্ত হয়, তবে সেটি পুড়ে যেতে পারে। আর যদি কম হয়, তবে এটি আবার মহাকাশে ফিরে যেতে পারে অথবা সেটি সম্পূর্ণভাবে অবতরণের স্থানের লক্ষভ্রষ্ট হতে পারে।
আর আইএক্সভির মহাকাশযানটিতে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার বৈশিষ্ট্যগুলোর সন্নিবেশ করা হয়েছে।
আগামীকাল বুধবার আন্তর্জাতিক মান সময় ১৩টায় ফ্রেন্স গায়ানার ইএসএর স্পেস প্যাড কউরু থেকে ভেগা রকেটে করে মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করা হবে। পাঁচ মিটার লম্বা এই যানটির ওজন দুই টন।
উৎক্ষেপণের ১৮ মিনিট পর ভূপৃষ্ঠের ৩২০ কিলোমিটার ওপরে উৎক্ষেপণযান থেকে এটি বিচ্ছিন্ন হবে। শব্দের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি গতিতে এটি ৪৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত যাবে।
তারপর আবার পৃথিবীতে ফিরে আসবে। প্রশান্ত মহাসাগরে নামার সময় গতি কমানোর জন্য এটি প্যারাস্যুট ব্যবহার করবে। পরে বিশ্লেষণের জন্য এটিকে একটি জাহাজ উদ্ধার করবে।
আইএক্সভির প্রকল্প ব্যবস্থাপক জিওরগই টিউমিনো বলেন, ‘এর মাধ্যমে আমরা মহাকাশে যেতে সক্ষম, কক্ষপথে অবস্থানে সক্ষম এবং কক্ষপথ থেকে ফিরে আসতে সক্ষম হব। এটিই মহাকাশবিজ্ঞানের সবচেয়ে জটিল অংশ।’
টিউমিনো আরও বলেন, ‘যানটিতে ইনফারেড ক্যামেরাসহ তিন শতাধিক ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। প্রথম উড্ডয়নেই এটি এমন কিছু তথ্য সরবরাহ করবে, যা সম্বন্ধে আমরা এখনো জানি না এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে এর ভবিষ্যদ্বাণীও করা যাবে না। এ জন্য আমাদের উড্ডয়ন অভিজ্ঞতার প্রয়োজন।
এ সময় এই উদ্ভাবনী নকশার সঙ্গে বিশ্বাসযোগ্যতা এবং পরিকল্পিত কৌশলের মিল থাকবে বলে বিজ্ঞানীরা প্রত্যাশা করছেন।
মহাকাশশিল্পে কোনো মহাকাশযানের পৃথিবীতে ফিরে আসাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করা হয়। ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে মহাকাশযান কলম্বিয়া পৃথিবীতে ফিরে আসার সময় বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে ব্যর্থ হয় এবং যানটি বিধ্বস্ত হলে এর আরোহী নয়জন মহাকাশচারী মারা যান।
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে সংঘর্ষের কারণে মহাকাশযানের গতি কমে এবং এর উপরিভাগের তাপমাত্রা প্রচণ্ড বৃদ্ধি পায়। ফিরে আসার সময় মহাকাশযানের অবতরণের মাপজোখ যদি মাত্রাতিরিক্ত হয়, তবে সেটি পুড়ে যেতে পারে। আর যদি কম হয়, তবে এটি আবার মহাকাশে ফিরে যেতে পারে অথবা সেটি সম্পূর্ণভাবে অবতরণের স্থানের লক্ষভ্রষ্ট হতে পারে।
আর আইএক্সভির মহাকাশযানটিতে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার বৈশিষ্ট্যগুলোর সন্নিবেশ করা হয়েছে।