‘ছোটপর্দার
তারকারা বড়পর্দায় ফ্লপ’ এই কথাটিকে মিডিয়াপাড়ার বাগধারা বলা যায়। কিন্তু
এই বাগধারাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বড়পর্দাতেও সাফল্য ছিনিয়ে এনেছেন অভিনেতা
চঞ্চল চৌধুরী। কিছুদিন আগে আরও একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। তার
বর্তমান ব্যস্ততা এবং সমসাময়িক অবস্থা নিয়ে সম্প্রতি কথা বললেন বিনোদন
প্রতিদিনের সাথে। সাক্ষাত্কার নিয়েছেন দিব্যজ্যোতি দত্ত
এখনকার ব্যস্ততা সম্পর্কে জানতে চাই।
এখন
কিছু ধারাবাহিক নাটকে কাজ করছি। কাজ করছি হিমেল আশরাফের ‘একদিন ছুটি হবে’,
সঞ্জিত সরকারের ‘মামা বাড়ির আবদার’সহ আরও কয়েকটি ধারাবাহিকে। এই মাসের
শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছি ঢালিউড অ্যাওয়ার্ডে অংশ নিতে। ফিরে এসে
অমিতাভ রেজার ‘আয়না বাজি’ চলচ্চিত্রে কাজ করবো।
কমার্শিয়াল ছবিতে আপনাকে দেখা যাবে কবে?
কমার্শিয়াল ছবির অর্থ দুনিয়ার সব জায়গায় একরকম আর আমাদের এখানে আরেক রকম।
আমাদের
এখানে মনে করা হয় কমার্শিয়াল ছবির মানেই হচ্ছে ছবিতে নাচ-গান থাকতে হবে।
আচ্ছা, আমি যে মনপুরা করেছিলাম সেই ছবিটি কি কমার্শিয়াল ছবি ছিল না? যে
ছবিতে ব্যবসা হচ্ছে তা-ই কমার্শিয়াল ছবি। যদি পার্থক্য করতেই হয় তাহলে আমি
বলবো আমার কাছে ছবি হচ্ছে দু’রকম আর তা হচ্ছে হিট ছবি আর ফ্লপ ছবি।
চলচ্চিত্রে নিয়মিত নন কেন?
চলচ্চিত্রে
যে কাজ করতেই হবে এমন কিছু আমি মনে করি না। চলচ্চিত্রে যেভাবে কাজ করছি
সেভাবেই কাজ করে যাবো। ভালো গল্প-চরিত্র পেলে অবশ্যই আমি চলচ্চিত্রে কাজ
করবো। নতুন যে ছবিতে কাজ করতে যাচ্ছি এই ছবিটি হাতে না পেলে হয়তো আরও ছয়
মাস পর কোনো ছবিতে কাজ করতাম। আমি ভালো ছবিতে কাজ করতে চাই। আর এর জন্য
অপেক্ষা করতে কোনো আপত্তি নেই আমার।
শিল্পীরা এখন একই সাথে অনেকগুলো নাটকে কাজ করছেন। কাজের মানের ওপর এর কোনো প্রভাব পড়ে কি?
অনেকগুলো
নাটকে একসাথে কাজ করলে শিল্পীদের চিন্তার জায়গাটা থাকে না। আর এজন্য আমি
একসাথে ততগুলো কাজই করি যেটা করলে আমার কাজের মানে কোনো প্রভাব পড়ে না।
অভিনয় একটা সৃজনশীল পেশা, যেখানে অনেক চিন্তার বিষয় আছে। এটা ব্যাংকের কাজ
নয় বা অন্য কিছু নয়। অতিরিক্ত কাজ করলে শিল্পীরা চিন্তার জায়গাটা হারিয়ে
ফেলেন। আমি কাজের বাইরে আমার পরিবারকে সময় দেই। আর একটা নির্দিষ্ট সময় সীমা
মেনে কাজ করি। ঢাকায় কাজ করলে রাত ১০টা পর্যন্ত আমি কাজ করি। ঢাকার বাইরে
গেলে রাত ৯টার বেশি কাজ করি না।
বাজেট সমস্যা নিয়ে এত আলোচনার পরেও কোনো পরিবর্তন আসছে না কেন?
সবকিছুর
দাম বাড়ছে, শুধু নাটকের দাম কমছে। চাল, ডাল, তেল, নুন বাজারে যা যা পাওয়া
যায় খেয়াল করে দেখবেন তার সবকিছুরই দাম বেড়েছে। অথচ আগে যেখানে তিন, চার বা
পাঁচ লাখ টাকায় বিক্রি হতো সেখানে এখন নাটক বিক্রি হচ্ছে এক লাখ আশি হাজার
থেকে দুই লাখ টাকায়। আমরা অনেকদিন ধরেই এসব নিয়ে কথা বলছি কিন্তু কোনো লাভ
হচ্ছে না। আসলে নাটক নির্মাণের জন্য পরিচালকরা প্রযোজকের সাথে চুক্তি করে।
প্রযোজক আবার চ্যানেলের সাথে চুক্তি করে। যে যত কম সময়ে নির্মাণ কাজ শেষ
করতে পারবে তার খরচও কমে যাবে। যার প্রভাব কাজেও পড়ছে। তবে শুধু বাজেটই নয়
ভালো স্ক্রিপ্টের অভাবও রয়েছে।