জাতীয়
দলের ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে চিত্রনায়িকা
হ্যাপির করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর
শুনানির জন্য আগামী ১৭ মে দিন ধার্য করেছে ট্রাাইব্যুনাল।
বদলিমূলে
মামলাটি বিচারের পাঠানোর পর রবিবার ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন
দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তানজিনা ইসমাইল নথি গ্রহণ করে দাখিলকৃত
প্রতিবেদনের ওপর শুনানির জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
এর
আাাগে সাক্ষ্য-প্রমাণে রুবেলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায়
মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করে গত ২৯ মার্চ পুলিশ পরিদর্শক (নারী
তদন্ত বিভাগ) হালিমা খান চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন।
প্রতিবেদনে
বলা হয়েছে—বাদী মামলাটি দায়েরের দিনই রাত সাড়ে ৭টার দিকে নায়িকা হ্যাপিকে
পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নেয়া হয়। পরদিন ৩ সদস্য-বিশিষ্ট মেডিক্যাল
বোর্ড গঠন করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে তার শারীরিক
পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। হ্যাপির শরীরে কোথাও জোরপূর্বক ধর্ষণের চিহ্ন
পাওয়া যায়নি মর্মে ওই বোর্ড মতামত দেন।
সার্বিক
তদন্ত, সাক্ষ্য, ডাক্তারি রিপোর্ট, রাসায়নিক পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনা
করে দেখা যায় যে, রুবেলের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণের যে অভিযোগ হ্যাপির
এনেছেন তা প্রমাণ হয়নাই। রুবেলকে অভিযোগের দায় থেকে অব্যাহতি দেয়ার
প্রার্থনা করা হয়।
মামলার
এজাহার থেকে জানা যায়—প্রায় ৮ মাস আগে রুবেলের সঙ্গে হ্যাপির প্রেম হয়।
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সর্বশেষ গত বছরের সালের ১ ডিসেম্বর রুবেল হ্যাপির
ইচ্ছার বিরুদ্ধে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে হ্যাপি বিয়ের প্রস্তাব দিলে
রুবেল এড়িয়ে যায়।
এ
ঘটনায় চিত্রনায়িকা নাজনীন আকতার হ্যাপি (১৯) বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায়
নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯/১ ধারায় রুবেলের বিরুদ্ধে গত বছরের ১৩
ডিসেম্বর মামলাটি করেন।