ধরুন আপনি রাতের
খাবার খেতে বসেছেন-কিন্তু একা খাওয়ার মজা কৈ?
যদি কম্পিউটারের ওয়েবক্যামেরাটা চালিয়ে দেন
আর আপনার খাওয়া ক্যামেরার মাধ্যমে
পৌঁছে যায় অসংখ্য
টিভি দর্শকের সামনে-আপনার খাওয়ার অভিজ্ঞতা-খাওয়ার ধরন যদি তাদের আনন্দ দেয়, আর তারা যদি আপনাকে এর বিনিময়ে পাঠায় শত
শত ডলার-তাহলে ব্যাপারটা হয়তো মজাদার হয়ে উঠতে পারে।
এমনটাই হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ায়।
রাত বারোটা নাগাদ
কম্পিউটার চালিয়ে তাতে ওয়েব-ক্যামেরা লাগিয়ে দুই বন্ধুকে নিয়ে খেতে বসেন লি চ্যাং হিউন। কোনোদিন খান মসলা মাখানো কাঁচা স্কুইড-অক্টোপাস জাতীয় সামুদ্রিক
প্রাণী-কোনদিন আবার মেনুতে থাকে কাঁকড়া।
কিন্তু আসল
ব্যাপারটা হল তিনি কিভাবে খাচ্ছেন-সেটার প্রদর্শন নিয়েই চলে রীতিমত একটি অনুষ্ঠান। নানা মুখভঙ্গি করে-জোরে শব্দ তুলে-মুখে ঝোল টেনে-রসিয়ে রসিয়ে খান তিনি। তার খাওয়ার
প্রতিটা শব্দ যাতে ভালভাবে শোনা
যায়-কচমচ করে
চিবানোর আওয়াজ যাতে কানো কান এড়িয়ে না যায় তার জন্য লি চ্যাং হিউন অনেক অর্থ খরচ করে কিনেছেন শক্তিশালী এক মাইক্রোফোন। দর্শকরা তার খাওয়ায় আনন্দ পেলে কম্পিউটারের পর্দায়
তাকে ‘তারার বেলুন’ পাঠায়। এক একটি তারার বেলুন আনন্দের বিনিময়ে এক একজনের
কাছ থেকে আসা অর্থের প্রতিশ্রুতি।
লি তার আয়ের
পরিমানটা কাউকে বলতে চাননি। তবে দুই ঘন্টা ধরে দর্শকদের সঙ্গে খাওয়ার আনন্দ ভাগ করে নিলে প্রতি রাতে
অন্তত বেশ কয়েকশ’ ডলার আয় করেন লি