কখনো
কি ভেবেছেন, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে পিঁপড়ারা কোথাও যায়? বেশিরভাগই হয়তো
ভাবছেন অবশ্যই তাদের আবাসস্থলের বাইরে অথবা যে কোনো জায়গায়। তবে বিজ্ঞানীরা
বলছেন নতুন কথা। তাদের ভাষ্যে, নিজেদের আবাস্থলের একটি কোণার দিকে
নির্দিষ্ট স্থানকে টয়লেট হিসেবে ব্যবহার করে পিঁপড়ারা।
জার্মান
গবেষক টোমার জ্যাকজকেস ও তার সঙ্গিরা পিঁপড়াদের নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন।
তাদের এই গবেষণা ‘প্লজ ওয়ান’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
বহু
পিঁপড়াদের আবাসস্থল দীর্ঘদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করে গবেষকরা দেখেছেন পিপড়েদের
বাসার মধ্যেই রয়েছে নির্দিষ্ট ‘টয়লেট’ বা 'শৌচালয়'। এই নির্দিষ্ট স্থানেই
প্রাকৃতিক কাজ সারে তারা।
ব্ল্যাক
গার্ডেন পিঁপড়াদের ২১টি কলোনিকে তারা প্লাস্টার বাসায় দুই মাস ধরে যত্ন
সহকারে পালন করেছেন। এই পিঁপড়াদের নিয়ম করে মিষ্টিজাতীয় খাবার খাইয়েছেন।
দেখেছেন প্রত্যেকটি কলোনিতেই একটি নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্টস্থানেই
বর্জ্যপদার্থ ত্যাগ করছে তারা।
পতঙ্গ
বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন, পিঁপড়া বা পিঁপড়ার মতো সমাজবদ্ধ পতঙ্গরা সাধারণত
পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সচেতন হয়। এই পতঙ্গরা নিজেদের কলোনি সবসময় পরিষ্কার রাখতে
চায়। তারা বাসার বাইরে একটি নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্যপদার্থ ত্যাগ করে অথবা
বাসার মধ্যেই নির্দিষ্ট একটি স্থানে বর্জ্য পদার্থ ত্যাগ করে।
সম্ভবত
রোগ-অসুখ ছড়ানো ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ রোধ করতেই নির্দিষ্ট স্থানকে
বর্জ্যত্যাগের জন্য বেছে নেয় তারা। তবে, বাসার মধ্যেই শৌচাগারের অবস্থান
বোঝায় প্যাথোজেনের প্রকোপ সেখানে খুব একটা বেশি নয়।