একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ বেদীতে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষার্থী
মুক্তিযোদ্ধাদের উপর হামলা চালিয়েছে।
হামলায় দু’জন আহত ও একজন প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিত হয়েছেন।
শহীদ
মিনারে সম্মিলিত
সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ সুশৃঙ্খলভাবে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের জন্য কন্ট্রোল রুম স্থাপন করে। সেখান থেকে রাত ১২টা এক মিনিটে দু’
জন সংসদ সদস্য
যথাক্রমে তালুকদার মো: ইউনুচ ও টিপু সুলতানের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর বিভাগীয় কমিশনার,
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কমিশনার শহীদ বেদীতে ফুল দিবেন বলে ঘোষণা করা হয়। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেন সেখানে ফুল দিতে আসা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষার্থী। তারা
কন্টোল রুমে গিয়ে ঘোষণার দায়িত্বে
থাকা সাংস্কৃতিক
সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে চরম দুর্ব্যবহার করেন। এক পর্যায়ে তারা সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে প্রতিবাদ জানান সাংস্কৃতিক সংগঠন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দ।
এক পর্যায়ে সেখানে গিয়ে সংসদ সদস্য
তালুকদার মো:
ইউনুচ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা তার সাথেও বচসায় লিপ্ত হয়। তখন সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো: ইউনুচ
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের
ভর্ত্সনা করেন।
এরপরও তারা বিভাগীয় কমিশনারের পূর্বেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের দাবিতে অনঢ় থাকে। মুক্তিযোদ্ধারা বিভাগীয় কমিশনারের পরপরই ফুল দিতে উঠলে
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. হারন অর রশিদের
নেতৃত্বে ছাত্ররা
শহীদ বেদীতে উঠে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। রাত ১টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা এমজি কবীর ভুলুসহ কয়েকজন বাসায় ফিরে যাওয়ার সময়
বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষার্থী
হামলা চালায়। শহীদ
মিনারের অদূরে সাহেবের গোরস্থানের সামনে তাদের ধাওয়া করে পিটানো হয় বলে ছাত্রদের হাতে লাঞ্ছিত প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা এমজি কবীর ভুলু জানান। হামলায় আহতদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা
আব্দুল কাদের ও মুক্তিযোদ্ধার
সন্তান কমান্ড
কাউন্সিলের সদস্য সচিব এহসান রাব্বীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।