কয়েকটি সংশোধনীসহ গতকাল মঙ্গলবার পাস হয়ে
গেল ভারতের আলোচিত জমি অধিগ্রহণ বিল। বিরোধীদের প্রবল আপত্তির মুখে
কেন্দ্রীয় সরকার কয়েকটি সংশোধনী এনে গতকালই বিলটি লোকসভায় পেশ করেছিল।
বিরোধী কংগ্রেস, বিজেডি ও টিআরএস দল এর প্রতিবাদে ওয়াকআউট করে। উচ্চকক্ষ
রাজ্যসভাতেও যদি কংগ্রেস ওয়াকআউট করে তাহলে বিজেপির পক্ষে বিলটি উতরে নেওয়া
সম্ভব হতে পারে। সব মিলিয়ে এ নিয়ে সংশয় রয়ে গেল।
মোদি সরকার যে সংশোধনীগুলো আনে সেগুলোর অন্যতম হলো, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর অন্তত একজনকে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে চাকরি দেওয়া। মূল বিলে এই ব্যবস্থা ছিল না। এই আইনে যাঁদের জমি অধিগ্রহণ করা হবে, তাঁদের সেই অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার অধিকারও ছিল না। সরকার সংশোধনী এনে এখন আদালতে যাওয়ার অধিকার ফিরিয়ে দিচ্ছে। তৃতীয় সংশোধনীতে বলা হচ্ছে, শিল্প স্থাপনার জন্য রেললাইন বা প্রধান সড়কের দুই ধারের এক কিলোমিটারের মধ্যে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ শিল্প করিডোরের বহু দূরে যত্রতত্র কারখানার জন্য অধিগ্রহণ চলবে না। চতুর্থ সংশোধনীতে বলা হয়েছে, অধিগ্রহণের আগে সরকার এটা নিশ্চিত করবে যে প্রকল্পের জন্য ঠিক যতটা জমি প্রয়োজন, ঠিক ততটাই নেওয়া হবে। বাড়তি জমি নয়। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার জলা জমি ও পতিত জমির জরিপ-রেকর্ডও রাখবে, যাতে কৃষিজমি যতটা সম্ভব কম অধিগ্রহণ করা হয়।
কংগ্রেস আমলের আইনে জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে জমিদাতাদের সম্মতি বাধ্যতামূলক ছিল। সরকারি প্রকল্পের জন্য ৭০ শতাংশ ও সরকারি-বেসরকারি প্রকল্পের (পিপিপি) ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ। বর্তমান আইনে অধিকাংশ প্রকল্পের ক্ষেত্রেই সেই সম্মতি তুলে দেওয়া হয়। মঙ্গলবারের সংশোধনীতে ছাড়ের তালিকা থেকে সামাজিক অবকাঠামোকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, সামাজিক অবকাঠামো তৈরিতে জমিদাতাদের সম্মতি বাধ্যতামূলক করা হলো।
সরকারের পক্ষ থেকে এই সংশোধনীগুলো পেশ করা হলেও বিরোধীরা সায় দেয়নি। কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, বাম দল, আকালি দল, শিবসেনা, এনসিপি মনে করে, এই বিল সম্পূর্ণভাবে শিল্পবান্ধব এবং এটি বাস্তবায়িত হলে দেশের কৃষক সম্প্রদায়কে সর্বনাশের মুখে পড়তে হবে। কারণ, উন্নয়নের নামে বহুফসলি কৃষিজমিও অধিগ্রহণ করা হবে। সেটি ঠেকানো যাবে না।
বিরোধীরা একজোট হওয়ার ফলে সরকারের দুশ্চিন্তা এখনো যায়নি। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে লোকসভায় বিলটি পাস হল বটে, কিন্তু বিজেপির জন্য অসুবিধা হবে রাজ্যসভায়। সেখানে এই বিলের বিরোধিতায় বিরোধীরা এখনো জোটবদ্ধ। জমি বিল নিয়ে বিজেপির চিন্তা যথেষ্ট। সংশোধনীগুলো মেনে নেওয়ার বিষয়ে বিরোধীদের বোঝাতে শাসক দলের চেষ্টার শেষ নেই। কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল সে জন্য বিভিন্ন বিরোধী নেতার সঙ্গে কথা বলছেন। গতকালও তিনি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কংগ্রেস বা তৃণমূল কংগ্রেসসহ পার্লামেন্টে বেশির ভাগ বিরোধী দল জমিদাতাদের সম্মতিসহ কয়েকটি বিষয়ে অনড়। রাজ্যসভায় এই বিল পাস না হলে শেষ পর্যন্ত সংসদের উভয় কক্ষের যৌথ অধিবেশন ডাকার ভাবনাচিন্তা সরকারের রয়েছে।
মোদি সরকার যে সংশোধনীগুলো আনে সেগুলোর অন্যতম হলো, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর অন্তত একজনকে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে চাকরি দেওয়া। মূল বিলে এই ব্যবস্থা ছিল না। এই আইনে যাঁদের জমি অধিগ্রহণ করা হবে, তাঁদের সেই অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার অধিকারও ছিল না। সরকার সংশোধনী এনে এখন আদালতে যাওয়ার অধিকার ফিরিয়ে দিচ্ছে। তৃতীয় সংশোধনীতে বলা হচ্ছে, শিল্প স্থাপনার জন্য রেললাইন বা প্রধান সড়কের দুই ধারের এক কিলোমিটারের মধ্যে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ শিল্প করিডোরের বহু দূরে যত্রতত্র কারখানার জন্য অধিগ্রহণ চলবে না। চতুর্থ সংশোধনীতে বলা হয়েছে, অধিগ্রহণের আগে সরকার এটা নিশ্চিত করবে যে প্রকল্পের জন্য ঠিক যতটা জমি প্রয়োজন, ঠিক ততটাই নেওয়া হবে। বাড়তি জমি নয়। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার জলা জমি ও পতিত জমির জরিপ-রেকর্ডও রাখবে, যাতে কৃষিজমি যতটা সম্ভব কম অধিগ্রহণ করা হয়।
কংগ্রেস আমলের আইনে জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে জমিদাতাদের সম্মতি বাধ্যতামূলক ছিল। সরকারি প্রকল্পের জন্য ৭০ শতাংশ ও সরকারি-বেসরকারি প্রকল্পের (পিপিপি) ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ। বর্তমান আইনে অধিকাংশ প্রকল্পের ক্ষেত্রেই সেই সম্মতি তুলে দেওয়া হয়। মঙ্গলবারের সংশোধনীতে ছাড়ের তালিকা থেকে সামাজিক অবকাঠামোকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, সামাজিক অবকাঠামো তৈরিতে জমিদাতাদের সম্মতি বাধ্যতামূলক করা হলো।
সরকারের পক্ষ থেকে এই সংশোধনীগুলো পেশ করা হলেও বিরোধীরা সায় দেয়নি। কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, বাম দল, আকালি দল, শিবসেনা, এনসিপি মনে করে, এই বিল সম্পূর্ণভাবে শিল্পবান্ধব এবং এটি বাস্তবায়িত হলে দেশের কৃষক সম্প্রদায়কে সর্বনাশের মুখে পড়তে হবে। কারণ, উন্নয়নের নামে বহুফসলি কৃষিজমিও অধিগ্রহণ করা হবে। সেটি ঠেকানো যাবে না।
বিরোধীরা একজোট হওয়ার ফলে সরকারের দুশ্চিন্তা এখনো যায়নি। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে লোকসভায় বিলটি পাস হল বটে, কিন্তু বিজেপির জন্য অসুবিধা হবে রাজ্যসভায়। সেখানে এই বিলের বিরোধিতায় বিরোধীরা এখনো জোটবদ্ধ। জমি বিল নিয়ে বিজেপির চিন্তা যথেষ্ট। সংশোধনীগুলো মেনে নেওয়ার বিষয়ে বিরোধীদের বোঝাতে শাসক দলের চেষ্টার শেষ নেই। কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল সে জন্য বিভিন্ন বিরোধী নেতার সঙ্গে কথা বলছেন। গতকালও তিনি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কংগ্রেস বা তৃণমূল কংগ্রেসসহ পার্লামেন্টে বেশির ভাগ বিরোধী দল জমিদাতাদের সম্মতিসহ কয়েকটি বিষয়ে অনড়। রাজ্যসভায় এই বিল পাস না হলে শেষ পর্যন্ত সংসদের উভয় কক্ষের যৌথ অধিবেশন ডাকার ভাবনাচিন্তা সরকারের রয়েছে।