বছর দশেক আগেও ভোলার পুকুর-জলাশয়ে শত শত
কচ্ছপ সাঁতরে বেড়াত। এখন সেই দৃশ্য তেমন একটা দেখা যায় না। বন বিভাগের
তদারকি না থাকায় শিকারিরা নির্বিচারে কচ্ছপ নিধন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া
গেছে।
ভোলা সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক মো. কামাল হোসেন বলেন, সরীসৃপজাতীয় প্রাণী কচ্ছপ খাদ্যশৃঙ্খল ও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে। শীতে কচ্ছপের প্রজনন সময়। কচ্ছপ ডিম পাড়ার জন্য বের হয়ে শিকারির হাতে নিধন হওয়ায় প্রাণীটি বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
২০১২ সালের ১০ জুলাই প্রকাশিত সরকারি প্রজ্ঞাপনে কচ্ছপকে বন্য প্রাণী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২-এর ৬ ও ৩৪ ধারায় বলা হয়েছে, অনুমোদন ছাড়া বন্য প্রাণী শিকার, সংগ্রহ ও আমদানি-রপ্তানি করা যাবে না।
দুই মাসে সরেজমিনে দেখা গেছে, পুকুর-জলাশয়ে ও জঙ্গলে বড়শি, কোঁচ, কারেন্ট জাল, খেওজালসহ বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম দিয়ে শিকার করা হচ্ছে কচ্ছপ। কয়েকজন শিকারি ও ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুকনো মৌসুমে ফসলের মাঠ, পুকুর, খাল ও কচুরিপানার নিচে কচ্ছপ আশ্রয় নেয়। শিকারিরা এসব কচ্ছপ ধরে ২০০ থেকে ১ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে।
ভোলার মৎস্য ব্যবসায়ী শিবু কর্মকার বলেন, একসময় প্রতিদিন শত শত মণ কচ্ছপ ভোলা থেকে ঢাকা ও চাঁদপুরে পাঠানো হতো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মৎস্য ব্যবসায়ীরা বলেন, ভোলায় এখনো প্রতিবছর চার-পাঁচ মেট্রিক টন কচ্ছপ শিকার করা হচ্ছে। এরপর সেগুলো দেশের বাইরে পাচার করা হচ্ছে।
ভোলার দৌলতখান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, কচ্ছপ প্রজননের সময় পানি থেকে ডাঙায় উঠে আসে। তখন শিকারির হাতে বেশি পরিমাণে ধরা পড়ছে। পুকুরগুলো মাছ চাষের উপযুক্ত করতে একদম শুকিয়ে কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়া ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করায় কচ্ছপের আবাসস্থল নষ্ট হচ্ছে।
অ্যাডভেঞ্চার ক্লাব অব ভোলার আহ্বায়ক ও প্রকৃতি সংরক্ষণকারী এস এম বাহাউদ্দিন বলেন, পুকুরে ভেসে থাকা কাঠ, বাঁশ, গাছের শিকড়ে বসে রোদ পোহানো কচ্ছপ আর দেখা যায় না। বছর দশেক আগেও ভোলার জলাশয়ে শত শত কচ্ছপ দেখা যেত। এগুলো বিভিন্ন রঙের হতো। লোকেরা একে কাউট্টা নামে ডাকত। এখন সেই কচ্ছপ আর দেখা যাচ্ছে না।
বোরহানউদ্দিন বাটামারা গ্রামের পল্লিচিকিৎসক শাহ আলমগীর বলেন, ‘আমরা কাউট্টার ডুব সাঁতার দ্যাহোনের লাইগ্যা হাই-হুই করতাম। কাছিম ডুব দিতো। অনেকসুম বড় কাছিমের পাও ধইর্যাখ সাঁতরাইতাম। এহোন আমগো পোলাইনে কাউট্টা চিনেই না।’
প্রাণী বিশেষজ্ঞ ও ক্যারিনামের নির্বাহী প্রধান এস এম এ রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, ভোলার পুকুরে বসবাস করা কচ্ছপের বাংলা নাম কড়ি কাইট্টা। বৈজ্ঞানিক নাম পাংসুরা টেকটা। একসময় প্রচুর পরিমাণে দেখা গেলেও এটি এখন বিলুপ্তির পথে।
ভোলা উপকূলীয় বন বিভাগের বন্য প্রাণী জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা বলেন, কচ্ছপ শিকার বন্ধে ভোলায় বন বিভাগের কর্মকর্তারা টহল দল গঠন করেছেন।
উপকূলীয় বন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বলেন, বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তার জন্য ভোলায় একটি শাখা হয়েছে। সম্প্রতি এটি কার্যক্রম শুরু করেছে। লোকবলসংকটে ভোলার মতো বড় অঞ্চল নজরে রাখা কঠিন। তবু বন্য প্রাণী রক্ষায় জনসচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
ভোলা সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক মো. কামাল হোসেন বলেন, সরীসৃপজাতীয় প্রাণী কচ্ছপ খাদ্যশৃঙ্খল ও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে। শীতে কচ্ছপের প্রজনন সময়। কচ্ছপ ডিম পাড়ার জন্য বের হয়ে শিকারির হাতে নিধন হওয়ায় প্রাণীটি বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
২০১২ সালের ১০ জুলাই প্রকাশিত সরকারি প্রজ্ঞাপনে কচ্ছপকে বন্য প্রাণী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২-এর ৬ ও ৩৪ ধারায় বলা হয়েছে, অনুমোদন ছাড়া বন্য প্রাণী শিকার, সংগ্রহ ও আমদানি-রপ্তানি করা যাবে না।
দুই মাসে সরেজমিনে দেখা গেছে, পুকুর-জলাশয়ে ও জঙ্গলে বড়শি, কোঁচ, কারেন্ট জাল, খেওজালসহ বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম দিয়ে শিকার করা হচ্ছে কচ্ছপ। কয়েকজন শিকারি ও ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুকনো মৌসুমে ফসলের মাঠ, পুকুর, খাল ও কচুরিপানার নিচে কচ্ছপ আশ্রয় নেয়। শিকারিরা এসব কচ্ছপ ধরে ২০০ থেকে ১ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে।
ভোলার মৎস্য ব্যবসায়ী শিবু কর্মকার বলেন, একসময় প্রতিদিন শত শত মণ কচ্ছপ ভোলা থেকে ঢাকা ও চাঁদপুরে পাঠানো হতো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মৎস্য ব্যবসায়ীরা বলেন, ভোলায় এখনো প্রতিবছর চার-পাঁচ মেট্রিক টন কচ্ছপ শিকার করা হচ্ছে। এরপর সেগুলো দেশের বাইরে পাচার করা হচ্ছে।
ভোলার দৌলতখান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, কচ্ছপ প্রজননের সময় পানি থেকে ডাঙায় উঠে আসে। তখন শিকারির হাতে বেশি পরিমাণে ধরা পড়ছে। পুকুরগুলো মাছ চাষের উপযুক্ত করতে একদম শুকিয়ে কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়া ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করায় কচ্ছপের আবাসস্থল নষ্ট হচ্ছে।
অ্যাডভেঞ্চার ক্লাব অব ভোলার আহ্বায়ক ও প্রকৃতি সংরক্ষণকারী এস এম বাহাউদ্দিন বলেন, পুকুরে ভেসে থাকা কাঠ, বাঁশ, গাছের শিকড়ে বসে রোদ পোহানো কচ্ছপ আর দেখা যায় না। বছর দশেক আগেও ভোলার জলাশয়ে শত শত কচ্ছপ দেখা যেত। এগুলো বিভিন্ন রঙের হতো। লোকেরা একে কাউট্টা নামে ডাকত। এখন সেই কচ্ছপ আর দেখা যাচ্ছে না।
বোরহানউদ্দিন বাটামারা গ্রামের পল্লিচিকিৎসক শাহ আলমগীর বলেন, ‘আমরা কাউট্টার ডুব সাঁতার দ্যাহোনের লাইগ্যা হাই-হুই করতাম। কাছিম ডুব দিতো। অনেকসুম বড় কাছিমের পাও ধইর্যাখ সাঁতরাইতাম। এহোন আমগো পোলাইনে কাউট্টা চিনেই না।’
প্রাণী বিশেষজ্ঞ ও ক্যারিনামের নির্বাহী প্রধান এস এম এ রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, ভোলার পুকুরে বসবাস করা কচ্ছপের বাংলা নাম কড়ি কাইট্টা। বৈজ্ঞানিক নাম পাংসুরা টেকটা। একসময় প্রচুর পরিমাণে দেখা গেলেও এটি এখন বিলুপ্তির পথে।
ভোলা উপকূলীয় বন বিভাগের বন্য প্রাণী জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা বলেন, কচ্ছপ শিকার বন্ধে ভোলায় বন বিভাগের কর্মকর্তারা টহল দল গঠন করেছেন।
উপকূলীয় বন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বলেন, বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তার জন্য ভোলায় একটি শাখা হয়েছে। সম্প্রতি এটি কার্যক্রম শুরু করেছে। লোকবলসংকটে ভোলার মতো বড় অঞ্চল নজরে রাখা কঠিন। তবু বন্য প্রাণী রক্ষায় জনসচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।