ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চাপড়ি গ্রামে বোরো
ধান চাষে সেচকাজে ব্যবহৃত হচ্ছে সৌরবিদ্যুৎ-চালিত গভীর নলকূপ। এতে গ্রামের
কৃষকদের সেচ খরচ যেমন কমেছে, তেমনি অবিরাম পানির সরবরাহও নিশ্চিত হয়েছে।
এবারের মৌসুমে তাই গতবারের তুলনায় ভালো ফলন আশা করছেন কৃষকেরা।
গ্রামের কয়েকজন কৃষক জানান, একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে তাঁদের গ্রামে সোলার প্যানেলের সাহায্যে গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সেচকাজ শুরু হয়েছে।
গভীর নলকূপ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত অ্যাকশন ইন ডেভেলপমেন্ট (এইড) নামের ওই সংগঠনের কর্মকর্তা চন্দন বসু জানান, আড়াই লাখ টাকা দিয়ে প্রথমে তাঁরা ১০ শতক জমি কেনেন। এরপর সেখানে ৩০ লাখ ৩১ হাজার টাকা ব্যয়ে নলকূপ প্লান্টটি স্থাপন করেন। এতে ৬৪টি সৌর প্যানেল আছে। এখান থেকে ১৯ দশমিক ৪ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। যা দিয়ে ৫০ বিঘা জমি চাষ করা যাবে। নিয়মিত পানিও সরবরাহ হবে। বছরে দুটি ধানের আবাদসহ আরও একটি সবজি চাষে সেচ দেওয়া যাবে। বোরো মৌসুমে বিঘাপ্রতি ৫ হাজার ৫০০, আমন মৌসুমে ১ হাজার ৭০০ আর সবজি চাষে ১ হাজার ৪০০ টাকা কৃষককে দিতে হবে। যা শ্যালোচালিত খরচের ৪০ শতাংশ কম। ইনফ্র্যাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির (ইডকল) সহযোগিতায় তাঁরা জেলায় ইতিমধ্যে চারটি সৌরবিদ্যুৎ-চালিত গভীর নলকূপ স্থাপন করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সেখানে ইরি-বোরো মৌসুমে পানির সংকট নেই। অবিরাম চলছে পানির প্রবাহ। মাঠজুড়ে সবুজ ধানের কচি পাতা দেখা যাচ্ছে।
গ্রামের রজব আলী জানান, আগে ধানখেতে বিঘাপ্রতি সেচের খরচ হতো আট হাজার টাকা। এখন তাঁর দুই বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করে শুধু সেচের খরচই বেঁচে যাবে পাঁচ হাজার টাকা। বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া নিয়েও নেই কোনো ঝামেলা।
একইভাবে মহব্বত মিয়া দুই বিঘা জমিতে ধানের চাষ করেছেন। তাঁরও সেচ খরচ হবে ১১ হাজার টাকা। যা শ্যালো মেশিনে চাষ করলে খরচ হতো ১৮ হাজার টাকা। তিনি জানান, তাঁদের গ্রামে দুটি সৌরবিদ্যুতের গভীর নলকূপ স্থাপন করেছেন ইডকল।
গ্রামের আরেক কৃষক ওমর আলী জানান, এই নলকূপ এক ঘণ্টা চললে এক বিঘা জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব। সেখানে দেড় ঘণ্টা সময় লাগছে। এর জন্য পানিপ্রবাহে মোটা পাইপ ব্যবহার করলে ভালো হয়।
এইডের কর্মকর্তা চন্দন বসু বলেন, প্লান্টটি ২০ বছর চলতে পারবে। সূর্যের আলো ভালোভাবে পাওয়া গেলেই নলকূপ সচল থাকবে। এ ছাড়া বর্ষার সময় ঠিকমতো সূর্যের আলো পাওয়া যায় না। তখন সেচেরও তেমন প্রয়োজন হয় না। ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও নলকূপ স্থাপনের পরিকল্পনা আছে বলেও জানান তিনি।
গ্রামের কয়েকজন কৃষক জানান, একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে তাঁদের গ্রামে সোলার প্যানেলের সাহায্যে গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সেচকাজ শুরু হয়েছে।
গভীর নলকূপ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত অ্যাকশন ইন ডেভেলপমেন্ট (এইড) নামের ওই সংগঠনের কর্মকর্তা চন্দন বসু জানান, আড়াই লাখ টাকা দিয়ে প্রথমে তাঁরা ১০ শতক জমি কেনেন। এরপর সেখানে ৩০ লাখ ৩১ হাজার টাকা ব্যয়ে নলকূপ প্লান্টটি স্থাপন করেন। এতে ৬৪টি সৌর প্যানেল আছে। এখান থেকে ১৯ দশমিক ৪ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। যা দিয়ে ৫০ বিঘা জমি চাষ করা যাবে। নিয়মিত পানিও সরবরাহ হবে। বছরে দুটি ধানের আবাদসহ আরও একটি সবজি চাষে সেচ দেওয়া যাবে। বোরো মৌসুমে বিঘাপ্রতি ৫ হাজার ৫০০, আমন মৌসুমে ১ হাজার ৭০০ আর সবজি চাষে ১ হাজার ৪০০ টাকা কৃষককে দিতে হবে। যা শ্যালোচালিত খরচের ৪০ শতাংশ কম। ইনফ্র্যাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির (ইডকল) সহযোগিতায় তাঁরা জেলায় ইতিমধ্যে চারটি সৌরবিদ্যুৎ-চালিত গভীর নলকূপ স্থাপন করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সেখানে ইরি-বোরো মৌসুমে পানির সংকট নেই। অবিরাম চলছে পানির প্রবাহ। মাঠজুড়ে সবুজ ধানের কচি পাতা দেখা যাচ্ছে।
গ্রামের রজব আলী জানান, আগে ধানখেতে বিঘাপ্রতি সেচের খরচ হতো আট হাজার টাকা। এখন তাঁর দুই বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করে শুধু সেচের খরচই বেঁচে যাবে পাঁচ হাজার টাকা। বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া নিয়েও নেই কোনো ঝামেলা।
একইভাবে মহব্বত মিয়া দুই বিঘা জমিতে ধানের চাষ করেছেন। তাঁরও সেচ খরচ হবে ১১ হাজার টাকা। যা শ্যালো মেশিনে চাষ করলে খরচ হতো ১৮ হাজার টাকা। তিনি জানান, তাঁদের গ্রামে দুটি সৌরবিদ্যুতের গভীর নলকূপ স্থাপন করেছেন ইডকল।
গ্রামের আরেক কৃষক ওমর আলী জানান, এই নলকূপ এক ঘণ্টা চললে এক বিঘা জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব। সেখানে দেড় ঘণ্টা সময় লাগছে। এর জন্য পানিপ্রবাহে মোটা পাইপ ব্যবহার করলে ভালো হয়।
এইডের কর্মকর্তা চন্দন বসু বলেন, প্লান্টটি ২০ বছর চলতে পারবে। সূর্যের আলো ভালোভাবে পাওয়া গেলেই নলকূপ সচল থাকবে। এ ছাড়া বর্ষার সময় ঠিকমতো সূর্যের আলো পাওয়া যায় না। তখন সেচেরও তেমন প্রয়োজন হয় না। ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও নলকূপ স্থাপনের পরিকল্পনা আছে বলেও জানান তিনি।