National news - প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় বিমান ওঠানামা বন্ধ

প্রধানমন্ত্রীর যাতায়াতের সময় নিরাপত্তাজনিত কারণে সড়কে সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ রাখার রেওয়াজ পুরোনো। এবার আকাশপথেও এর প্রভাব পড়েছে। এ কারণে গতকাল রোববার বিকেলে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ঘণ্টা বিমান ওঠানামা বন্ধ রাখা হয়।
ফলে ওই সময়ে উড্ডয়ন-অবতরণের জন্য নির্ধারিত অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো বিলম্বিত হয়। পরে এর সঙ্গে যুক্ত হয় ঝোড়ো আবহাওয়া। এ কারণে বিলম্বের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। ফলে বিভিন্ন বিমানবন্দরে ঢাকামুখী ও ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া বিভিন্ন ফ্লাইটের যাত্রীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বাংলাদেশ বিমানের অভ্যন্তরীণ গন্তব্যের জন্য আনা দুটি উড়োজাহাজ উদ্বোধন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে গতকাল বিকেল চারটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে নটাম (নোটিশ টু এয়ারমেন) দেওয়া হয়। এর অর্থ এই সময়কালে কোনো উড়োজাহাজ উড্ডয়ন বা অবতরণ করতে পারবে না।
বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ফ্লাইট সেফটি অ্যান্ড রেগুলেশন) গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস এম নাজমুল আনাম প্রথম আলোকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার কারণে এক ঘণ্টা উড়োজাহাজ উড্ডয়ন-অবতরণ বন্ধ রাখা হয়েছিল। এটা এক দিন আগেই সব বিমান সংস্থাকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, গতকাল বিকেল চারটার দিকে সৌদিয়া এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট অবতরণের কথা ছিল। আগাম খবর পেয়ে সৌদিয়া তাদের ফ্লাইটসূচি পুনর্বিন্যাস করে। সৌদিয়ার আরেকটি ফ্লাইট বিকেল পাঁচটায় ঢাকা থেকে দাম্মামের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল। সেটির যাত্রা সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পিছিয়ে ফ্লাইট-সূচি পুনর্বিন্যাস করা হয়। অবশ্য দূর-দূরান্তের অনেক যাত্রী আগের সময়সূচি অনুযায়ী বিমানবন্দরে চলে আসেন।
একই কারণে ঢাকা থেকে কলকাতাগামী জেট এয়ারওয়েজ ও ইতিহাদের দুটি ফ্লাইট প্রায় এক ঘণ্টা করে বিলম্বিত হয়। এ ছাড়া জেট এয়ার ও ইতিহাদের দিল্লি-ঢাকা এক ঘণ্টা ও এমিরেটসের দুবাই-ঢাকা ফ্লাইট আধা ঘণ্টা বিলম্বে অবতরণ করে।
ওই একই সময়ে অভ্যন্তরীণ গন্তব্যে নভো এয়ারের তিনটি ফ্লাইট ছিল। বিমান সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানান, তাঁরা একদিন আগেই খবর পান, তাই তাঁদের তিনটি ফ্লাইট-সূচি পুনর্বিন্যাস করে তা যাত্রীদের জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে বিকেল পাঁচটার পর ঝোড়ো আবহাওয়ার কারণে তাঁদের আরও দুটি ফ্লাইট-সূচি পুনর্বিন্যাস করতে হয়েছে।
একই কারণে ইউএস-বাংলা বিকেল সাড়ে চারটার চট্টগ্রাম-ঢাকা ফ্লাইটটি দীর্ঘ বিলম্বিত হয়। বিলম্বের কথা না জানিয়ে যাত্রীদের উড়োজাহাজে তোলা হয়। অনেক্ষণ বসিয়ে রেখে নাশতাও খাওয়ানো হয়। এরপর দেরি হওয়ার কারণ জানিয়ে সবাইকে নামিয়ে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের লাউঞ্জে নেওয়া হয়। অনেক্ষণ পর যাত্রীদের আবার উড়োজাহাজে তুলে বসিয়ে রাখা হয়। তখন অবশ্য জানানো হয় যে ঝড়ের কারণে দেরি হচ্ছে। এভাবে নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাতটার দিকে ফ্লাইটটি যাত্রা শুরু করে।
এ ছাড়া ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে একটি ও রিজেন্ট এয়ারকে তিনটি ফ্লাইট পুনর্বিন্যাস করতে হয়েছে বলে জানা গেছে।

-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts