আবার
সুন্দরবনে যাচ্ছেন সংগীতশিল্পী আনুশেহ আনাদিল। সুন্দরবনের প্রাকৃতিক
ভারসাম্য রক্ষায় সেখানকার বর্জ্য অপসারণের জন্যই আনুশেহর এবারের
সুন্দরবন-যাত্রা। এর আগে সুন্দরবনে তেল বিপর্যয়ের সময় নদীতে থাকা তেল তোলা
ও তেলবর্জ্য সংরক্ষণ করার কাজ করেছিলেন তিনি। সেই সংরক্ষিত বর্জ্য
অপসারণের জন্যই সুন্দরবন যাচ্ছেন। সেই সঙ্গে আনুশেহ স্থানীয় অধিবাসীদের
কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করলেন সম্প্রতি।
আনুশেহ ও তাঁর কয়েকজন বন্ধু মিলে গত ডিসেম্বর-জানুয়ারি থেকে সুন্দরবনে তেল বিপর্যয় নিয়ে কাজ শুরু করেন। সে সময় তাঁরা সুন্দরবনের জয়মণি গ্রামের বিভিন্ন স্থানে তেলবর্জ্যগুলো ছোট ছোট মাচা বানিয়ে তাতে সংরক্ষণ করেন। আনুশেহ জানান, বর্জ্য সংরক্ষণের পর তাঁরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে তা অপসারণের জন্য আবেদন করেন।
সুন্দরবনে যাওয়ার আগে আনুশেহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঝড়ের সময় চলে এসেছে। আমরা যেখানে বর্জ্যগুলো রেখে এসেছিলাম, এগুলো এখনই না সরানো হলে ঝড়ে তা আবারও নদীতে কিংবা গ্রামে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই স্থায়ীভাবে আবর্জনাগুলো সরাতে হবে। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে, এই কাজটি করতে হবে নিজ উদ্যোগে। তাই এখন আমরাই উদ্যোগী হয়েছি বর্জ্য অপসারণে। আমার বন্ধুরা অনেক আগেই সুন্দরবনে চলে গেছে। আমি দিন কয়েকের মধ্যেই সেখানে পৌঁছে যাব।’
বর্জ্য সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি জয়মণি গ্রামবাসীর জন্য কর্মসংস্থানের উদ্যোগও নিয়েছেন আনুশেহ ও তাঁর বন্ধুরা। আনুশেহ বলেন, ‘জয়মণি গ্রামের অধিকাংশ দরিদ্র মানুষই অবৈধভাবে বনের গাছ কেটে, মাছ মেরে কিংবা পশু শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। তাই তাদের অনেক সময় প্রশাসনিক হেনস্তার শিকার হতে হয়। তা ছাড়া তাদের এই কাজ পরিবেশকেও তো প্রভাবিত করছে। তাই তাদের এই অবৈধ কাজ থেকে ফেরাতে আমরা বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির চেষ্টা করছি। সেখানকার নারীরা দারুণ হাতের কাজ জানেন। সেলাই, বুননসহ এ ধরনের বিভিন্ন কাজ জানা মানুষদের সেখানে খোঁজ করছি। অবাক করা বিষয় হলো, আমরা প্রথম দিনই প্রায় ৭০ জন কারুশিল্পী পেয়ে গেছি, যাঁরা আমাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।’
আনুশেহ ও তাঁর কয়েকজন বন্ধু মিলে গত ডিসেম্বর-জানুয়ারি থেকে সুন্দরবনে তেল বিপর্যয় নিয়ে কাজ শুরু করেন। সে সময় তাঁরা সুন্দরবনের জয়মণি গ্রামের বিভিন্ন স্থানে তেলবর্জ্যগুলো ছোট ছোট মাচা বানিয়ে তাতে সংরক্ষণ করেন। আনুশেহ জানান, বর্জ্য সংরক্ষণের পর তাঁরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে তা অপসারণের জন্য আবেদন করেন।
সুন্দরবনে যাওয়ার আগে আনুশেহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঝড়ের সময় চলে এসেছে। আমরা যেখানে বর্জ্যগুলো রেখে এসেছিলাম, এগুলো এখনই না সরানো হলে ঝড়ে তা আবারও নদীতে কিংবা গ্রামে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই স্থায়ীভাবে আবর্জনাগুলো সরাতে হবে। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে, এই কাজটি করতে হবে নিজ উদ্যোগে। তাই এখন আমরাই উদ্যোগী হয়েছি বর্জ্য অপসারণে। আমার বন্ধুরা অনেক আগেই সুন্দরবনে চলে গেছে। আমি দিন কয়েকের মধ্যেই সেখানে পৌঁছে যাব।’
বর্জ্য সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি জয়মণি গ্রামবাসীর জন্য কর্মসংস্থানের উদ্যোগও নিয়েছেন আনুশেহ ও তাঁর বন্ধুরা। আনুশেহ বলেন, ‘জয়মণি গ্রামের অধিকাংশ দরিদ্র মানুষই অবৈধভাবে বনের গাছ কেটে, মাছ মেরে কিংবা পশু শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। তাই তাদের অনেক সময় প্রশাসনিক হেনস্তার শিকার হতে হয়। তা ছাড়া তাদের এই কাজ পরিবেশকেও তো প্রভাবিত করছে। তাই তাদের এই অবৈধ কাজ থেকে ফেরাতে আমরা বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির চেষ্টা করছি। সেখানকার নারীরা দারুণ হাতের কাজ জানেন। সেলাই, বুননসহ এ ধরনের বিভিন্ন কাজ জানা মানুষদের সেখানে খোঁজ করছি। অবাক করা বিষয় হলো, আমরা প্রথম দিনই প্রায় ৭০ জন কারুশিল্পী পেয়ে গেছি, যাঁরা আমাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।’