National news - বিদ্যুৎ চুরির নতুন কৌশল

বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই। বিদ্যুতের মিটারের ভেতরে লাগানো ছোট্ট একটি যন্ত্র (রিলে)। যন্ত্রটি আবার রিমোট-নিয়ন্ত্রিত। সেই রিমোট টিপে বিদ্যুৎ সরবরাহ যখন খুশি বন্ধ ও চালু রাখা যায়। এর ফলে বিদ্যুতের ব্যবহার বেশি হলেও বিল উঠবে কম।
গত শনিবার দুপুরে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে আনন্দ প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজে অভিযান চালিয়ে এই অভিনব মিটার কারসাজি ধরে ফেলে ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি (ডিপিডিসি)। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিপিডিসির বিদ্যুৎ চুরি ও রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে গঠিত বিশেষ টাস্কফোর্সের প্রধান মুনীর চৌধুরী এ অভিযান পরিচালনা করেন। সঙ্গে ছিলেন উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আহসানুজ্জামান। অভিযানের পরে বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর গতকাল রোববার কারখানার মালিক হাজি নেছার আহমেদ ডিপিডিসির কার্যালয়ে আত্মসমর্পণ করেন। ১ লাখ ২৬ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগে তাঁর কাছ থেকে ২৯ লাখ ১৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মুনীর চৌধুরী প্রথম আলোকে জানান, মিটারের ভোল্টেজ সার্কিটে একটি রিলে বসিয়ে তার সঙ্গে রিমোট সেন্সর বসানো হয়েছে। যার ফলে রিমোট টিপে রিলে যন্ত্রটিকে নিয়ন্ত্রণ করা হতো। রিমোট টিপে গ্রাহক ইচ্ছামতো মিটারটিকে বন্ধ বা চালু করতেন। মিটারটি বন্ধ করে দেওয়া হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু থাকলেও মিটারটিতে কোনো হিসাব (রিডিং) উঠত না। এ প্রযুক্তিতে এক ঘণ্টায় ১১০ ইউনিট বিদ্যুৎ চুরি করা হতো। তিনি বলেন, এ ধরনের প্রযুক্তিগত চুরি বন্ধে ভবিষ্যতে আরও উচ্চপ্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে এবং আরও বড় পরিসরে অভিযান চালানো হবে।
এদিকে ডিপিডিসি সূত্র জানায়, এ ধরনের চুরির সঙ্গে ডিপিডিসির একটি চক্র জড়িত বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। মিল-কারখানাগুলো থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে প্রতি মাসে বিদ্যুৎ চুরির সুযোগ করে দেওয়া হয়।
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts