Media news - ‘খামখেয়ালী সভা’য় শাওনের গান

‘খামখেয়ালী সভা’য় হ‌ুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে বলছেন মেহের আফরোজ শাওন। মঞ্চে (বাঁ থেকে) ইফতেখার মাহমুদ, শোয়াইব জিবরান, মোহাম্মদ আজম ও মাহমুদ হাশিম‘চরণ ধরিতে দিয়ো গো আমারে’ আর ‘মাঝে মাঝে তব দেখা পাই’—রবীন্দ্রনাথের এই দুটি গান খুব পছন্দ করতেন হুমায়ূন আহমেদ। তাঁকে প্রায়ই গান দুটি গেয়ে শোনাতেন স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন। নিজে ছিলেন নজরুলসংগীতের শিল্পী। স্বামীর জন্য পরে রবীন্দ্রসংগীতের চর্চা শুরু করেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এই গান দুটিই গেয়ে শোনালেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মিলনায়তনে ‘খামখেয়ালী সভা’র পঞ্চদশ আড্ডায়।
খামখেয়ালী সভার এবারের আড্ডায় শুরুতেই ‘হুমায়ূন আহমেদের ভেতরে রবীন্দ্রনাথ’ শিরোনামে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইফতেখার মাহমুদ। পরে এই প্রবন্ধ নিয়ে আলোচনা করেন মোহাম্মদ আজম ও মেহের আফরোজ শাওন। সভাপতিত্ব করেন খামখেয়ালী সভার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শোয়াইব জিবরান।
শাওন বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন রবীন্দ্রময় একজন মানুষ। তাঁর ওপর রবীন্দ্রনাথের প্রভাব ছিল সাংঘাতিক। প্রতিদিনই রবীন্দ্রসাহিত্য থেকে কিছু পড়তেন তিনি। রবীন্দ্রসংগীত ছিল তাঁর খুবই প্রিয়।’
হুমায়ূন আহমেদ নানা ধরনের লেখালেখি করলেও কখনো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোনো গল্প বা উপন্যাসের নাট্যরূপ দেননি। এ প্রসঙ্গে শাওন বলেন, ‘হুমায়ূন বলতেন, রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে ভুল করা যায় না। তাই রবীন্দ্রসাহিত্য নিয়ে কোনো কাজ করেননি তিনি।’
শাওন আরও বলেন, হুমায়ূন আহমেদের ‘পত্রসাহিত্য’ প্রকাশিত হলে অন্য এক হুমায়ূন আহমেদকে আবিষ্কার করবেন পাঠকেরা।
হুমায়ূন আহমেদের ‘যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো এক বরষায়’ গানটিও গেয়ে শোনান শাওন।
খামখেয়ালী সভার আড্ডায় সবশেষে শিল্পী রোকাইয়া হাসিনা রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন।
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts