মুখে
বোল ফোটার বয়সেই সংগীতের তাল ও সুর শুনে সেই সুর-তালের সঙ্গে মিল রেখে
আপন মনে হাত-পা নাচাত মেয়েটি। নাম ছিল টুম্পা। সংগীতের সঙ্গে মেয়ের হাত-পা
নাচন রেখাপাত করল টুম্পার স্কুলশিক্ষক বাবা হারাধন চৌধুরীর মনে, টুম্পার
স্কুলে ভর্তির সময়েই তাঁর নামটি বদলে দিলেন তিনি—সংগীতা চৌধুরী। সংগীতের
সুরে উদ্বেলিত হয় যে মেয়ে, সংগীতা ছাড়া তাঁর নাম আর কী-ই বা হতে পারত।
টুম্পা থেকে সংগীতা হয়ে যাওয়া সে দিনের সেই ছোট্ট মেয়েটি আজ আলো
ছড়াচ্ছেন ঢাকার মঞ্চে। নাট্যকেন্দ্রর প্রযোজনা আরজ চরিতামৃত, দুই যে ছিল
এক চাকরসহ বিভিন্ন নাটকে নানামাত্রিক চরিত্রে অভিনয় করে এর মধ্যেই সবার নজর
কেড়েছেন তিনি।
তবে শৈশব থেকে সংগীত অন্তঃপ্রাণ মেয়েটি, নানি রাধারানী সরকারের উৎসাহে যে মেয়ের নৃত্যগীত শেখা শুরু। একটু বড় হওয়ার পর থেকে নাচ ও আবৃত্তিতে যে মেয়ে কয়েকবারই জিতে নিয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কার, পরিণত বয়সে এসে সেই মেয়ে একদিন মঞ্চে দাঁড়াবেন, তন্ময় হয়ে বলতে থাকবেন নাটকের সংলাপ—এমনটি কি ভেবেছিলেন তিনি?
৯ এপ্রিল প্রথম আলো কার্যালয়ে বসে সংগীতার জবাব ছিল, ‘না, ভাবিনি। বড় হয়ে পড়তে এলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে। এখানে এসে নাট্যকার সেলিম আল দীন স্যারের সঙ্গে পরিচয়, আন্তহল নাট্য উৎসবে যৈবতী কন্যার মন নাটকে অভিনয়, সেই অভিনয় ও আমার গান নিয়ে সেলিম স্যারের উচ্ছ্বাস—এসবই বদলে দিল আমাকে।’
এ সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সেলিম আল দীনের গড়ে তোলা গানের দল ‘কহন কথা’র অন্যতম সক্রিয় সদস্য ছিলেন সংগীতা।
পড়াশোনা শেষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকল। তত দিনে ঢাকার একটি শীর্ষস্থানীয় কলেজে বাংলা পড়ান তিনি। হঠাৎই তাঁর মনে হলো, মঞ্চে কাজ করতে পারলে বোধ হয় এ শূন্যতা দূর হবে। পরিচিত একজনের মাধ্যমে অভিনেতা তারিক আনাম খানের সঙ্গে দেখা করলেন, যোগ দিলেন নাট্যকেন্দ্রে। সময়টা ২০০৪ সাল। তারপর প্রজাপতি নাটকে প্রথমবারের মতো উঠলেন ঢাকার মঞ্চে।
সংগীতার অভিনয়প্রতিভা আরও খোলতাই হলো আরজ চরিতামৃততে। সংগীতা বললেন, ‘এ নাটক লবেজান ও গায়েন চরিত্রে অভিনয় করেছি। নাটকটি নিয়ে গিয়েছি দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা, মিসরসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে। প্রত্যেক প্রদর্শনীতেই মনে হয়েছে, আমি লবেজান হয়ে গেছি।’
নাট্যকেন্দ্রের হয়ে সংগীতা আরও অভিনয় করেছেন মৃত মানুষের ছায়া, ডালিম কুমার ও দুই যে ছিল এক চাকর-এ। ‘দুই যে ছিল এক চাকর একে তো কমেডি নাটক, তারপর এখানে আমার ছেলে বেশ ধরেও অভিনয় করতে হয়। মেয়ে হয়ে আমি অভিনয় করি ছেলের ভূমিকায়। স্বাভাবিকভাবেই আমার জন্য এটি চ্যালেঞ্জিং চরিত্র।’
মঞ্চ ছাড়াও কিছু টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন সংগীতা। অভিনয়ের পাশাপাশি নিজের মা কস্তুরী চৌধুরীর নামে ঢাকার মিরপুরে ‘কস্তুরী সংস্কৃতি অনুশীলন কেন্দ্র’ নামে গড়ে তুলেছেন একটি প্রতিষ্ঠান।
সেদিন সংগীতার শেষ বাক্যটি উল্লেখ করার মতো, ‘মঞ্চ আমার অক্সিজেন। এখানে কাজ করে আমি শিখতে চাই। যা কিছু করি না কেন, মঞ্চই আমার আপন ঘর।’
তবে শৈশব থেকে সংগীত অন্তঃপ্রাণ মেয়েটি, নানি রাধারানী সরকারের উৎসাহে যে মেয়ের নৃত্যগীত শেখা শুরু। একটু বড় হওয়ার পর থেকে নাচ ও আবৃত্তিতে যে মেয়ে কয়েকবারই জিতে নিয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কার, পরিণত বয়সে এসে সেই মেয়ে একদিন মঞ্চে দাঁড়াবেন, তন্ময় হয়ে বলতে থাকবেন নাটকের সংলাপ—এমনটি কি ভেবেছিলেন তিনি?
৯ এপ্রিল প্রথম আলো কার্যালয়ে বসে সংগীতার জবাব ছিল, ‘না, ভাবিনি। বড় হয়ে পড়তে এলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে। এখানে এসে নাট্যকার সেলিম আল দীন স্যারের সঙ্গে পরিচয়, আন্তহল নাট্য উৎসবে যৈবতী কন্যার মন নাটকে অভিনয়, সেই অভিনয় ও আমার গান নিয়ে সেলিম স্যারের উচ্ছ্বাস—এসবই বদলে দিল আমাকে।’
এ সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সেলিম আল দীনের গড়ে তোলা গানের দল ‘কহন কথা’র অন্যতম সক্রিয় সদস্য ছিলেন সংগীতা।
পড়াশোনা শেষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকল। তত দিনে ঢাকার একটি শীর্ষস্থানীয় কলেজে বাংলা পড়ান তিনি। হঠাৎই তাঁর মনে হলো, মঞ্চে কাজ করতে পারলে বোধ হয় এ শূন্যতা দূর হবে। পরিচিত একজনের মাধ্যমে অভিনেতা তারিক আনাম খানের সঙ্গে দেখা করলেন, যোগ দিলেন নাট্যকেন্দ্রে। সময়টা ২০০৪ সাল। তারপর প্রজাপতি নাটকে প্রথমবারের মতো উঠলেন ঢাকার মঞ্চে।
সংগীতার অভিনয়প্রতিভা আরও খোলতাই হলো আরজ চরিতামৃততে। সংগীতা বললেন, ‘এ নাটক লবেজান ও গায়েন চরিত্রে অভিনয় করেছি। নাটকটি নিয়ে গিয়েছি দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা, মিসরসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে। প্রত্যেক প্রদর্শনীতেই মনে হয়েছে, আমি লবেজান হয়ে গেছি।’
নাট্যকেন্দ্রের হয়ে সংগীতা আরও অভিনয় করেছেন মৃত মানুষের ছায়া, ডালিম কুমার ও দুই যে ছিল এক চাকর-এ। ‘দুই যে ছিল এক চাকর একে তো কমেডি নাটক, তারপর এখানে আমার ছেলে বেশ ধরেও অভিনয় করতে হয়। মেয়ে হয়ে আমি অভিনয় করি ছেলের ভূমিকায়। স্বাভাবিকভাবেই আমার জন্য এটি চ্যালেঞ্জিং চরিত্র।’
মঞ্চ ছাড়াও কিছু টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন সংগীতা। অভিনয়ের পাশাপাশি নিজের মা কস্তুরী চৌধুরীর নামে ঢাকার মিরপুরে ‘কস্তুরী সংস্কৃতি অনুশীলন কেন্দ্র’ নামে গড়ে তুলেছেন একটি প্রতিষ্ঠান।
সেদিন সংগীতার শেষ বাক্যটি উল্লেখ করার মতো, ‘মঞ্চ আমার অক্সিজেন। এখানে কাজ করে আমি শিখতে চাই। যা কিছু করি না কেন, মঞ্চই আমার আপন ঘর।’