Media news - চড়ের পক্ষে মিকার সাফাই

মিকা সিং
অসংযত আচরণের জন্য এক রকমের কুখ্যাতিই আছে বলিউডের প্লেব্যাক গায়ক মিকা সিংয়ের। ২০০৬ সালে একটি অনুষ্ঠানে সবার সামনে আইটেম গার্ল রাখি সাওয়ান্তের ঠোঁটে চুমু খেয়ে নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হন মিকা। সেই ছবি ফাঁস হওয়ার পর শোরগোল ওঠে বলিউডে। এবার এক চিকিৎসকের গালে চড় মেরে হইচই ফেলে দিয়েছেন মিকা। তাঁর চড় মারার ভিডিও কয়েকটি ওয়েবসাইটে ফাঁস হওয়ার পর অন্তর্জালে রীতিমতো তোলপাড় চলছে। এর মধ্যেই চড় মারার পক্ষে সাফাই গেয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করলেন ৩৭ বছর বয়সী মিকা।
গত পরশু রোববার দিল্লির একটি লাইভ কনসার্টের মঞ্চে হাজারো দর্শকের সামনে চিকিৎসক শ্রীকান্তের গালে সজোরে চড় মারেন মিকা। পরে ওই ঘটনায় মিকার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১/৩৪ এবং ৩২৩ ধারায় মামলা নথিভুক্ত করে দিল্লি পুলিশ। এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
চড় মারার পক্ষে সাফাই গেয়ে মিকা তাঁর বিবৃতিতে লিখেছেন, ‘আমি সব সময় মঞ্চে উঠে দর্শকদের অনুরোধ করি, নারী ও শিশুদের জায়গা করে দিতে যাতে তাঁরা নেচে নেচে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারেন। এবারও আমি একই অনুরোধ করেছি। বিশেষ করে ওই ভদ্রলোককে আমি বেশ কয়েকবার অনুরোধ করি। কিন্তু আমার অনুরোধ বারবার উপেক্ষা করেন তিনি। কয়েকজন নারী দর্শক ওই ভদ্রলোককে সরে যেতে বলার জন্য আমাকে অনুরোধ করেন। আবারও আমি তাঁকে সরে যেতে বলি। তখন তিনি আমাকে গালিগালাজ করতে থাকেন এবং আঙুল উঠিয়ে অশ্লীলতা প্রকাশ করেন। আমি বুঝতে পারি, তিনি মাতাল অবস্থায় আছেন যা সেখানে উপস্থিত অন্য চিকিৎসকরাও দেখেছেন।’
মিকা আরও লিখেছেন, ‘একপর্যায়ে আমি ওই ভদ্রলোককে মঞ্চে ডাকি। তাঁকে জিজ্ঞেস করি, তিনি যেসব কাণ্ড করছেন তা মঞ্চে দাঁড়িয়ে কিংবা পরিবারের সদস্যদের সামনে করতে পারবেন কি না। মঞ্চে আমার কাছে আসার পরও উদ্ধত আচরণ করতে থাকেন তিনি। আমি রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে তাঁকে চড় মারি, যা হয়তো আমার করা উচিত হয়নি। এখন আমার প্রশ্ন হলো, সব সময় আমাকে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরা হয় কেন? নারীদের সাহায্য কিংবা রক্ষা করার জন্য কোনো পদক্ষেপ না নিলেই কি সবাই খুশি হতেন? এ ধরনের লোকদের অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ দেখেও চোখ বন্ধ করে রেখে আমাদের দেশে এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটতে দিলেই কি ভালো হতো? তাহলে কি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে ভুলে যাব আমি? গত ১৮ বছর ধরে আমি অন্যায়ের প্রতিবাদ করে চলেছি। কখনোই নিজেকে বদলাতে পারব না।’
মিকা এও লিখেছেন, ‘গত বছরের একটি ঘটনা আমি বলতে চাই। দুজন মানুষকে গাড়িচাপা দিয়ে পালিয়ে যায় একটি গাড়ি। তখন আমি ওই দুজনকে সাহায্য করি। পরদিন বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হল, আমার গাড়িতেই নাকি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এভাবে আমাকে হেয় করার কোনো মানে হয় না। সবশেষে আমি বলতে চাই, আমি ভুল না সঠিক তা মানুষই নির্ধারণ করবে। নারীদের সম্মানের জন্য যা করা উচিত বলে মনে করেছি, আমি সেটাই করেছি। অতীতের মতো সামনেও আমি সব সময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যাব।’
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts