জনপ্রিয় ব্যান্ড সোলস-এর ভোকালিস্ট পার্থ বড়ুয়া। গানের পাশাপাশি অভিনয়েও বেশ জনপ্রিয় তিনি। নিয়মিত নাটকে তাকে
না দেখা গেলেও বিশেষ দিনগুলোতে অভিনয় করেন পার্থ। কিন্তু বর্তমানে নতুন
কোনো নাটকে কাজ করছেন না। এদিকে শিগগিরই বাজারে আসছে তাদের নতুন অ্যালবাম।
নিজেদের নতুন অ্যালবাম ও অডিও বাজারে বিকল্প ব্যবস্থার সমস্যা নিয়ে কথা
বললেন বিনোদন প্রতিদিনের সাথে। সাক্ষাত্কার নিয়েছেন মোস্তাফিজ মিঠু।
চলতি সময়ের ব্যস্ততা?
আগামীকাল
(আজ) অস্ট্রেলিয়ায় যাচ্ছি। সেখানে বেশ কয়েক জায়গায় শো করবো। ১৫দিনের জন্য
যাচ্ছি। মেলবোর্ন, সিডনি, ব্রিসবেন’সহ আরও বেশ কয়েক জায়গায় শো আছে।
সম্প্রতি পহেলা বৈশাখ গেল, সেই সময়টা অনেক ব্যস্ততায় কেটেছে।
নতুন অ্যালবাম কবে রিলিজ হচ্ছে?
নতুন
অ্যালবাম নিয়েও এখন বেশ ব্যস্ততা চলছে। অ্যালবামের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়।
মোট ৭-৮টি গান থাকবে অ্যালবামটিতে। রোজার পর রিলিজের পরিকল্পনা আছে। এখনও
শিরোনাম ঠিক করা হয়নি।
নতুন ব্যান্ডগুলো কি আমাদের ব্যান্ডের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারছে?
নতুনরা
বেশ ভালো করছে। দেশের বাইরেও অনেকে শো করছে। এখন নতুনদের সময় দিতে হবে।
আমরাও তো একদিনে জনপ্রিয় হইনি। টিকে থেকে কাজ করতে করতে শ্রোতাদের নজরে আসা
যায়। এখন নতুনরা যদি টিকে থাকতে পারে, ভালো কাজ করতে পারে তাহলে তারাও
একটি সময় ব্যান্ডের জনপ্রিয়তা ধরে রাখবে।
অডিও
বাজারের বিকল্প এখন অনলাইন ও বিকল্প মাধ্যমে গান রিলিজ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু
সেখানেও অনেক শিল্পীরা টাকা পাচ্ছেন না। এর বিকল্প কী হতে পারে?
বিশ্বে
কোথাও এখন অডিও বাজারের অবস্থা ভালো না। সবাই বিকল্প মাধ্যম দিয়ে চলছে।
অনলাইনেই এখন প্রায় সবাই গান রিলিজ দিচ্ছে। কিন্তু আমাদের সমস্যা হচ্ছে
আমাদের সিস্টেম ঠিক নেই। আমাদের প্রযুক্তি এখনও এতটা উন্নতি হয়নি। এর চেয়েও
সবচেয়ে বড় সমস্যা আমরা নিজেরা। অনেকেই আছে ইচ্ছা করেই কোনো এক ওয়েবসাইটে
গান আপলোড করছে। সেখান থেকে কিন্তু সে এক টাকাও পাবে না। শুধু শুধু সে
করছে। এতে একজন শিল্পী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আমাদের ক্ষতি করার জন্য আমরা
নিজেরাই যথেষ্ট। এখন আইটিউন থেকে শুরু করে সবখানে টাকা পাওয়া যাচ্ছে। যারা
এসবের সাথে যুক্ত আছেন তাদের সততার জায়গা ঠিক করতে হবে। শিল্পীরা টাকা না
পেলে তো ইন্ডাস্ট্রিই থাকবে না।
ঈদকে সামনে রেখে নাটকের ব্যস্ততা কেমন?
এবার আর কোনো কাজ করিনি। নাটকের কাজ এখন বন্ধ রেখেছি। অনেকদিন তো নাটক করলাম। এখন কিছুদিন বন্ধ থাক। গত ঈদ থেকেই কাজ করছি না।
এখন নাটকের মান নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠছে। আপনিও অনেকগুলো নাটক করেছেন, সমস্যাটা কোথায় মনে করেন?
এখন
মূল সমস্যা বাজেট। যেখানে বাজেট নেই সেখানে ভালো কাজ কীভাবে হবে! যারা
ট্যালেন্ট তারা তো আর কম সম্মানিতে নাটক লিখবে না। লিখলেও কয়দিন! একসময়
তারাও সরে যাবে। কম টাকায় যারা নাটক লিখছে তাদের গল্প নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে।
সেখানে ভালো নাটক সম্ভব না। অনেক ভালো পরিচালক এখন আর নাটক করছে না
বাজেটের জন্য। তারা এখন বিজ্ঞাপন নির্মাণ করছেন। চ্যানেলগুলোরও প্রয়োজন এই
বিষয়ে নজর দেয়া। কারণ এখন সবকিছুর খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই অনুযায়ি ভালো
নাটকের একটি ভালো বাজেট প্রয়োজন।
প্লেব্যাকে কখনও আপনাকে পাওয়া যায়নি, কেন?
আসলে সবাইকে দিয়ে তো সব কাজ হয় না। আমিও হয়তো এই কাজটির জন্য না।
বড়পর্দায় অভিনয়ে দেখা যাবে?
এখনও বলতে পারছি না। দেখা যাক।