চিত্রনায়িকা
পূর্ণিমা চলচ্চিত্র থেকে দূরে আছেন অনেক দিন হলো। আপাতত বড় পর্দায় তাঁর
নতুন-পুরোনো কোনো ছবিই নেই। ঢাকার একটি সিনেমা হলে তবু বারো মাস তাঁর নাম
বড় করে লেখা থাকে। সে হলের দুর্দশা দেখলে অবশ্য পূর্ণিমার মন খারাপই হওয়ার
কথা। ১০ এপ্রিল কারওয়ান বাজারের পূর্ণিমা সিনেমা হলের সামনে দেখা গেল
ছোটখাটো ভিড়। সেই ভিড়ে এক-তৃতীয়াংশ গভীর আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে গুন্ডা দ্য
টেরোরিস্ট ছবির পোস্টারের দিকে। ৫০ টাকার টিকিট ৬০ টাকায় কিনে (হলের ভেতর,
মাথার ওপর দু-চারটা ফ্যান এখনো ঘোরে। সেই শুকরিয়াস্বরূপ সম্ভবত ১০ টাকা
বেশি রাখা হয়) আমরা হলে ঢুকে পড়ি।
ছবির টাইটেল অ্যানিমেশনেই তেলেসমাতি কারবার! পেছনে পিরামিড, সামনে আকাশ অভিমুখে রওনা হয়েছে একখানা রকেট। রকেটের গায়ে লেখা গুন্ডা দ্য টেরোরিস্ট। কী বিচিত্র অ্যানিমেশন! তখনো বুঝতে পারিনি, ছবি শুরুর আগে এ হলো এক বিচ্ছিন্ন মন্তাজ, দ্য সিম্বলিক শট!
শুরুতেই ছবির নায়িকা তৃষ্ণা (আঁচল) ঘোষণা দিয়ে দিলেন, প্রেমিক হিসেবে তাঁর ম্যান নয়, সুপারম্যানই পছন্দ। ব্যস, পরের দৃশ্যে উড়ে উড়ে হাজির আমাদের সুপারম্যান জীবন (বাপ্পী)। জীবন আর তৃষ্ণার প্রেম তখন জমে উঠেছে। মাঝখানে গুবলেট পাকাল শিখা (অমৃতা)। কে এই শিখা, যাকে জীবন বারবার কল্পনায় দেখতে পায়? দেয়ালে টানানো ছবিতে শিখার সঙ্গে আগুন (তানভির) নামের ছেলেটিই বা কে? জানা গেল, সুপারম্যান জীবনই আসলে আগুন! ভিলেন মেন্টাল মানিক (মিশা সওদাগর) আগুন আর শিখাকে পুড়িয়ে মারতে চেয়েছিল। ঘটনাক্রমে বেঁচে যাওয়া আগুন, প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে পেয়েছে জীবনের চেহারা। চেহারার সঙ্গে বেচারার গলার স্বর, কথা, স্মৃতি এমনকি উচ্চারণও বদলে গেছে!
ছবি দেখতে দেখতেই শুরুর সেই রকেট দৃশ্যের হেতু উদ্ঘাটন করা গেল। নায়িকার ‘সুপারম্যান’ বলে কথা! তাঁর চলাফেরা মাথার ওপর দিয়ে। সাধারণের সঙ্গে তাঁর কর্মকাণ্ডের মিল খুঁজলে কি চলবে? বাস্তবতার সঙ্গে নায়িকার পোশাকের মিল খোঁজাটাও ভুল হবে। নায়কের হুডিসমেত জ্যাকেট, স্যুট-কোট যখন পৌষ মাসের শীতের আভাস দিচ্ছিল, নায়িকার পোশাক তখন...থাক না হয়। স্বল্পদৈর্ঘ্য পোশাক আর ক্যামেরার বিচিত্র অ্যাঙ্গেল—এই দুই না থাকলেই যেন পরিচালকের সাধের বাণিজ্যিক ছবিটা ‘আর্টফিল্ম’ হয়ে যেত! পুরোদস্তুর ‘বাণিজ্যিক’ করে তোলার মসলা ছিল আরও। শাহরুখ-দীপিকার পর বাপ্পী-আঁচলের লুঙ্গি ড্যান্স দেখতে সিনেমা হলে ঢুঁ মারতে পারেন। কয়েক বছর হলো বাংলার এক নায়ক প্রমাণ করেছেন, শুধু উচ্চারণ জটিলতা কীভাবে একটা হুংকারকেও হাস্যরসাত্মক করতে পারে। সেই ধারাবাহিকতা থাকছে গুন্ডা দ্য টেরোরিস্ট ছবিতেও। বিরতির আগেই শুরু হবে নায়ক আগুনের কঠিন ‘প্রতিশোধ’।
হলের বাইরের পোস্টার যেসব দর্শককে ভেতর অবধি টেনে এনেছে, পরিচালক ইস্পাহানী আরিফ জাহান তাঁদের নিরাশ করেননি।
ছবির টাইটেল অ্যানিমেশনেই তেলেসমাতি কারবার! পেছনে পিরামিড, সামনে আকাশ অভিমুখে রওনা হয়েছে একখানা রকেট। রকেটের গায়ে লেখা গুন্ডা দ্য টেরোরিস্ট। কী বিচিত্র অ্যানিমেশন! তখনো বুঝতে পারিনি, ছবি শুরুর আগে এ হলো এক বিচ্ছিন্ন মন্তাজ, দ্য সিম্বলিক শট!
শুরুতেই ছবির নায়িকা তৃষ্ণা (আঁচল) ঘোষণা দিয়ে দিলেন, প্রেমিক হিসেবে তাঁর ম্যান নয়, সুপারম্যানই পছন্দ। ব্যস, পরের দৃশ্যে উড়ে উড়ে হাজির আমাদের সুপারম্যান জীবন (বাপ্পী)। জীবন আর তৃষ্ণার প্রেম তখন জমে উঠেছে। মাঝখানে গুবলেট পাকাল শিখা (অমৃতা)। কে এই শিখা, যাকে জীবন বারবার কল্পনায় দেখতে পায়? দেয়ালে টানানো ছবিতে শিখার সঙ্গে আগুন (তানভির) নামের ছেলেটিই বা কে? জানা গেল, সুপারম্যান জীবনই আসলে আগুন! ভিলেন মেন্টাল মানিক (মিশা সওদাগর) আগুন আর শিখাকে পুড়িয়ে মারতে চেয়েছিল। ঘটনাক্রমে বেঁচে যাওয়া আগুন, প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে পেয়েছে জীবনের চেহারা। চেহারার সঙ্গে বেচারার গলার স্বর, কথা, স্মৃতি এমনকি উচ্চারণও বদলে গেছে!
ছবি দেখতে দেখতেই শুরুর সেই রকেট দৃশ্যের হেতু উদ্ঘাটন করা গেল। নায়িকার ‘সুপারম্যান’ বলে কথা! তাঁর চলাফেরা মাথার ওপর দিয়ে। সাধারণের সঙ্গে তাঁর কর্মকাণ্ডের মিল খুঁজলে কি চলবে? বাস্তবতার সঙ্গে নায়িকার পোশাকের মিল খোঁজাটাও ভুল হবে। নায়কের হুডিসমেত জ্যাকেট, স্যুট-কোট যখন পৌষ মাসের শীতের আভাস দিচ্ছিল, নায়িকার পোশাক তখন...থাক না হয়। স্বল্পদৈর্ঘ্য পোশাক আর ক্যামেরার বিচিত্র অ্যাঙ্গেল—এই দুই না থাকলেই যেন পরিচালকের সাধের বাণিজ্যিক ছবিটা ‘আর্টফিল্ম’ হয়ে যেত! পুরোদস্তুর ‘বাণিজ্যিক’ করে তোলার মসলা ছিল আরও। শাহরুখ-দীপিকার পর বাপ্পী-আঁচলের লুঙ্গি ড্যান্স দেখতে সিনেমা হলে ঢুঁ মারতে পারেন। কয়েক বছর হলো বাংলার এক নায়ক প্রমাণ করেছেন, শুধু উচ্চারণ জটিলতা কীভাবে একটা হুংকারকেও হাস্যরসাত্মক করতে পারে। সেই ধারাবাহিকতা থাকছে গুন্ডা দ্য টেরোরিস্ট ছবিতেও। বিরতির আগেই শুরু হবে নায়ক আগুনের কঠিন ‘প্রতিশোধ’।
হলের বাইরের পোস্টার যেসব দর্শককে ভেতর অবধি টেনে এনেছে, পরিচালক ইস্পাহানী আরিফ জাহান তাঁদের নিরাশ করেননি।