National news - শ্রদ্ধা, সংবর্ধনায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন


Image result for pic smriti soudho bangladesh যথাযথ মর্যাদায় গতকাল বৃহস্পতিবার সারা দেশে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা, শিশুদের কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রদর্শন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার মধ্য দিয়ে উদ্যাপিত হয়েছে দিবসটি।
ঢাকার বাইরে প্রথম আলোর প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
মানিকগঞ্জ: সকাল সাড়ে সাতটায় জেলা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ, সিপিবিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
সকাল নয়টায় শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় শিশু-কিশোরদের শারীরিক কসরত প্রদর্শন। এতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও সরকারি শিশু পরিবার ও প্রতিবন্ধী শিশুরাও অংশ নেয়। দুপুর ১২টায় সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে বিজয় মেলামঞ্চে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের দেওয়া হয় সংবর্ধনা।
নরসিংদী: সকাল নয়টায় মুসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় শিশু-কিশোরদের কুচকাওয়াজ। পরে তারা শারীরিক কসরত প্রদর্শন করে। এতে জেলার বিভিন্ন সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বেলা তিনটায় শতাধিক ট্রাক নিয়ে শোভাযাত্রা বের করে জেলা আওয়ামী লীগ। এতে নেতৃত্ব দেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম।
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ): সোনারগাঁ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৫০০ মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ লিয়াকত হোসেন। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু নাছের ভূঞা।
মুন্সিগঞ্জ: ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়। এরপর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন সর্বস্তরের লোকজন। জেলা স্টেডিয়ামে হয় শিশু-কিশোরদের কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রদর্শন। বেলা সাড়ে ১১টায় শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারকে দেওয়া হয় সংবর্ধনা। এ ছাড়া সারা দিন নানা প্রতিযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শন, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা পুলিশ তাদের নতুন ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করে।
এ ছাড়া লৌহজং উপজেলায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের। উপজেলা মিলনায়তনে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর মো. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি।
ফরিদপুর: সকাল সাড়ে সাতটায় শহরের গোয়ালচামট এলাকায় শহীদদের নামসংবলিত স্মৃতিবেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল ও সংগঠন। পরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শোভাযাত্রা বের করা হয়। গণকবর জিয়ারত শেষে সাড়ে আটটায় ফরিদপুর স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ হয়। সাড়ে ১১টায় স্থানীয় কবি জসীমউদ্দীন হলে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
রাজবাড়ী ও গোয়ালন্দ: সকালে জেলা শহরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক চত্বরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। শহরের কাজী হেদায়েত হোসেন স্টেডিয়ামে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের মাঠ চত্বরে সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের শারীরিক কসরত প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
-

Latest

Popular Posts

Popular Posts

Popular Posts