এত
দিন দাবিটা ছিল মৌখিক। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক (আরএসএস)-সহ গেরুয়া শিবিরের
অন্যান্য গোষ্ঠীর নেতারা দাবি কর েআসছিলেন। কিন্তু আবার আর শুধু মুখের কথা
নয়, একে বারে আদালতের শরণাপন্ন হলেন আরএসএসপন্থী আইনজীবীরা।
ছয় আইনজীবী আগ্রা সিভিল কোর্টে মামলা করেছেন। তাদের দাবি, তাজমহল নাকি আদতে শিব মন্দির। অবিলম্বে তার আইনি স্বীকৃতি দেয়া হোক।
বর্তমানে
তাজমহলের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া।
হরি শঙ্কর জৈন ও আরো পাঁচ আইনজীবীর দাবি, তাজমহলের আসল মালিক ঈশ্বর
আগ্রেশ্বর মহাদেব।
এই
মোকদ্দমায় দাবি করা হয়েছে, তাজমহলের সব সমাধি সরিয়ে সেখানে মুসলিমদের
উপাসনার অধিকার বন্ধ করা হোক, এর বদলে সেখানে চলুক হিন্দুদের শিব পূজা।
এখনো
অযোধ্যায় রামজন্মভূমি সংক্রান্ত বিতর্কিত মামলা ঝুলে রয়েছে। এর মধ্যে আরো
একটি ধর্ম সংক্রান্ত বিতর্কিত দাবিপূর্ণ মোকাদ্দমায় দেশের সাম্প্রদায়িক
সম্প্রীতি নষ্টের আশঙ্কা করছেন অনেকে।
এই
মোকাদ্দমায় তাজমহলের মূল ইমারতটিও (যেটিকে একটি মসজিদ হিসাবে বর্তমানে
গণ্য করা হয়) তার সামনের অঞ্চল রয়েছে। পশ্চিম দিকে বাগানসহ মূল ইমারতের
রেপ্লিকাসহ সমগ্র ৭৭ বিঘা জমির মালিকানা দাবি করা হয়েছে।
আইনজীবীদের
দাবি, এই সম্পতির মালিকানা দেবতার। এখানে নাকি বহু বহু যুগ আগে ঈশ্বর
আগ্রেশ্বর মহাদেব নগ্নাথেশ্বর বাস করতেন। এটি কোনো কবরস্থান নয়, কোনো দিন
ছিলও না। এখানে কোনো প্রকৃত কবরই নেই। এই স্থানে হিন্দুদের পূজা ছাড়া বাকি
সব কিছুই বেআইনি ও অসাংবিধানিক। হিন্দু আইন অনুযায়ী এই স্থানের মালিক পূজ্য
দেবতা। এমন কী রাজারও অধিকার নেই ঈশ্বরের সম্পত্তি হস্তান্তর করার।