প্রতিদিন
কাক ডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠেই ছুট দেন মিয়ানমারের ২৩ বছর বয়সী তরুণী সু
ওয়াই ফিয়ো। এমন একটা কাজের উদ্দেশে তিনি ভোর হতে না হতে দৌড়ঝাঁপ শুরু
করেন, যা দুই বছর আগে মিয়ানমারের শিক্ষার্থীরা কল্পনাও করতে পারতেন না।
ইউনিভার্সিটি অব ইয়াঙ্গুনে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ওপর একটি ডিপ্লোমা কোর্স
করছেন ফিয়ো। জান্তার শাসনামলে এসব বিষয়ে পড়া ছিল কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, মিয়ানমারে সামরিক শাসন শুরুর পর দেশটিতে রাজনীতি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পড়াশোনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে জান্তা সরকার। তবে ২০১১ সালে সাবেক সেনাপ্রধান থেইন সেইনের নেতৃত্বে যে সেনাসমর্থিত সরকার গঠিত হয়, তারা গণতন্ত্রে উত্তরণের লক্ষ্যে মিয়ানমারে নানা ধরনের সংস্কার কার্যক্রম শুরু করে। এরই অংশ হিসেবে ২০১৩ সালের শেষের দিকে শিক্ষানীতি পরিবর্তন করে রাজনীতি বিষয়ে পড়াশোনার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় সেনাসমর্থিত থেইন সেইন সরকার।
এ বছরের শেষ নাগাদ মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এ নির্বাচনে যে লাখো তরুণ নতুন ভোটার হবেন, সু ওয়াই ফিয়ো তাঁদেরই একজন। তাঁর ভাষ্য, ‘তরুণদের রাজনীতি সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিত। তাঁদের জানা উচিত, কারা আমাদের শাসন করছে-যাঁরা ক্ষমতায় আছেন। তাঁরা যা করছেন, তা আমাদের জন্য ভালো না মন্দ।’
সু ওয়াই ফিয়ো আরও বলেন, ‘আমি যদি ২০১১ সালের আগে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করার চেষ্টা করতাম, তাহলে আমার অভিভাবকেরা আমার কারাগারে যাওয়ার আশঙ্কায় দুশ্চিন্তা করতেন।’
আরেক শিক্ষার্থী কো কো অং চার বছর আগের ঘটনার স্মৃতি আওড়ে বলেন, ‘সে সময় আমরা জান্তা সরকারকে খুব ভয় পেতাম। মনে করতাম, চারপাশে সবখানেই গোয়েন্দা আছে। এ কারণে আমরা রাজনীতি নিয়ে কোনো আলোচনাও করতাম না।’
ইয়াঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধীনে সম্প্রতি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে ওই ডিপ্লোমা কোর্সটি চালু করা হয়। ওই বিভাগের অধ্যাপিকা চাও চাও সেইন জানান, তাঁদের শিক্ষার্থীরা রাজনীতি নিয়ে পড়তে ব্যাপকভাবে আগ্রহী। তিনি বলেন, ‘কেবল বিশ্ব রাজনীতিই নয়, মিয়ানমারে যে রাজনৈতিক পালাবদল চলছে, তা নিয়ে আমরা কথা বলতে ও আলোচনা করতে পারি।’
চাও চাও সেইনের মতে, গণতন্ত্রের দিকে ধীরে ধীরে এগোনোই মিয়ানমারের জন্য সঠিক পথ। তিনি বলেন, ‘যদিও বিশ্ব সম্প্রদায় আমাদের আধা গণতান্ত্রিক, আধা-বেসামরিক সরকারের বিষয়ে সমালোচনা মুখর, কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়নের ভেঙে যাওয়ার ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষাগ্রহণ করা উচিত। ধীরে ধীরে পরিবর্তন ঘটাই আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্য ভালো।’
কেউ কেউ আবার দ্রুত পরিবর্তনের পক্ষে। অল বার্মা স্টুডেন্ট ফেডারেশন ইউনিয়নের নেতা মিন থয়ে থিত বলেন, ‘আমরা স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি তুলছি, যেসব বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে স্বাধীন থাকবে। ওপর থেকে গ্রহণ করা নীতি চাপিয়ে দেওয়া হোক, তা আমরা চাই না। আমরা চাই প্রান্তিক পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।’
এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, মিয়ানমারে সামরিক শাসন শুরুর পর দেশটিতে রাজনীতি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পড়াশোনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে জান্তা সরকার। তবে ২০১১ সালে সাবেক সেনাপ্রধান থেইন সেইনের নেতৃত্বে যে সেনাসমর্থিত সরকার গঠিত হয়, তারা গণতন্ত্রে উত্তরণের লক্ষ্যে মিয়ানমারে নানা ধরনের সংস্কার কার্যক্রম শুরু করে। এরই অংশ হিসেবে ২০১৩ সালের শেষের দিকে শিক্ষানীতি পরিবর্তন করে রাজনীতি বিষয়ে পড়াশোনার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় সেনাসমর্থিত থেইন সেইন সরকার।
এ বছরের শেষ নাগাদ মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এ নির্বাচনে যে লাখো তরুণ নতুন ভোটার হবেন, সু ওয়াই ফিয়ো তাঁদেরই একজন। তাঁর ভাষ্য, ‘তরুণদের রাজনীতি সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিত। তাঁদের জানা উচিত, কারা আমাদের শাসন করছে-যাঁরা ক্ষমতায় আছেন। তাঁরা যা করছেন, তা আমাদের জন্য ভালো না মন্দ।’
সু ওয়াই ফিয়ো আরও বলেন, ‘আমি যদি ২০১১ সালের আগে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করার চেষ্টা করতাম, তাহলে আমার অভিভাবকেরা আমার কারাগারে যাওয়ার আশঙ্কায় দুশ্চিন্তা করতেন।’
আরেক শিক্ষার্থী কো কো অং চার বছর আগের ঘটনার স্মৃতি আওড়ে বলেন, ‘সে সময় আমরা জান্তা সরকারকে খুব ভয় পেতাম। মনে করতাম, চারপাশে সবখানেই গোয়েন্দা আছে। এ কারণে আমরা রাজনীতি নিয়ে কোনো আলোচনাও করতাম না।’
ইয়াঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধীনে সম্প্রতি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে ওই ডিপ্লোমা কোর্সটি চালু করা হয়। ওই বিভাগের অধ্যাপিকা চাও চাও সেইন জানান, তাঁদের শিক্ষার্থীরা রাজনীতি নিয়ে পড়তে ব্যাপকভাবে আগ্রহী। তিনি বলেন, ‘কেবল বিশ্ব রাজনীতিই নয়, মিয়ানমারে যে রাজনৈতিক পালাবদল চলছে, তা নিয়ে আমরা কথা বলতে ও আলোচনা করতে পারি।’
চাও চাও সেইনের মতে, গণতন্ত্রের দিকে ধীরে ধীরে এগোনোই মিয়ানমারের জন্য সঠিক পথ। তিনি বলেন, ‘যদিও বিশ্ব সম্প্রদায় আমাদের আধা গণতান্ত্রিক, আধা-বেসামরিক সরকারের বিষয়ে সমালোচনা মুখর, কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়নের ভেঙে যাওয়ার ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষাগ্রহণ করা উচিত। ধীরে ধীরে পরিবর্তন ঘটাই আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্য ভালো।’
কেউ কেউ আবার দ্রুত পরিবর্তনের পক্ষে। অল বার্মা স্টুডেন্ট ফেডারেশন ইউনিয়নের নেতা মিন থয়ে থিত বলেন, ‘আমরা স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি তুলছি, যেসব বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে স্বাধীন থাকবে। ওপর থেকে গ্রহণ করা নীতি চাপিয়ে দেওয়া হোক, তা আমরা চাই না। আমরা চাই প্রান্তিক পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।’